‘ভোটের অধিকার কাজে লাগাতে হবে, কাপুরুষরা ভয় দেখায়’
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:৩২
ফাইল ছবি
আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের অধিকার কাজে লাগাতে হবে মন্তব্য করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যারা কাপুরুষ, তারাই ভয় দেখায়।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পেশাজীবীদের করণীয় শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।
ড. কামাল বলেন, “যারা বলে দেশ বিভক্ত হয়ে গেছে, আমি বলি তোমাদের মাথা বিভক্ত হয়ে গেছে। হুমকি দাও, তোমাদের হুমকিতে ভীত হয়ে যাব? আসো সামনাসামনি। আমি তোমাদের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি।”
এসময় টেবিলে চাপড়িয়ে উচ্চ স্বরে তিনি বলেন, “১৬ কোটি মানুষকে মেরে ফেলতে পারবে না। যারা হুমকি দাও, তোমরা কাপুরুষ।”
সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলেন, “ভোটের অধিকার আমাদের কাজে লাগাতে হবে দেশের মালিক হিসেবে। অনির্বাচিতরা এখন দেশ শাসন করছে, এটা মেনে নিতে পারি না। আমাদের যে ঐক্য আছে সেটা এগিয়ে নিতে হবে। কোনো স্বৈরাচারের হাতে দেশ দেব না।”
পুলিশ মহাপরিদর্শককে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “বেআইনি আদেশ মানা অপরাধ। যারা বেআইনি আদেশ দিচ্ছেন. তারা কত বড় অপরাধী?”
ভোটারদের উদ্দেশে ড. কামাল আরও বলেন, আপনারা ৩০ ডিসেম্বর গুনে গুনে ভোট দিয়ে আসবেন। আপনার ভোট যাতে ছিনতাই না হয়, জালিয়াতি করতে না পারে।
এসময় ক্ষমতাসীনদের এক নেতার নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, “স্বাধীন দেশে কেউ প্রজা নয়, তারা নাগরিক। যারা প্রজার কথা বলছেন মাথা ঠিক করে কথা বলেন। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।”
সভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, সেনাবাহিনীর কাছে একটায় চাওয়া- জনগণ যাতে নিরাপদে ভোট দিতে পারে। যদি তারা নিরাপদে ভোট দিতে পারে, তাহলে ভোট বিপ্লব ঘটে যাবে।
বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল খান বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ১৬ জন প্রার্থী কারাগারে আছেন। ছয়জনকে তফসিল ঘোষণার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া আটজন জনকে অবৈধ করা হয়েছে। আর কয়েকজন অবৈধ করার কথা বলা হয়েছে।”
তিনি বলেন, আট আসনে ধানের শীষের কোনো প্রার্থী রইল না। সরকারকে এই আটটি আসন উপহার দেওয়া হলো।
সেনা মোতায়েনের প্রসঙ্গ টেনে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “আজকে আমাকে বলল- স্যার, আরেকটু ধৈর্য ধরুন। আমরা ৩০ ডিসেম্বর ফাইনাল খেলা দেখাব। তাই আমি বলি, আমাদের দাঁত কামড়ে সহ্য করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “৩০ ডিসেম্বর ভোর ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে থাকতে হবে। ভোটের হিসাব না নিয়ে ঘরে ফিরে যাওয়া যাবে না।”
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ওপর নির্ভর না করে নিজেরা ভোট কেন্দ্রে যাবেন। সবাইকে ঐক্য হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করুন।
সংঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, প্রফেসর মাহবুব উল্লাহ, প্রফেসর মুস্তাহিদুর রহমান, ড্যাবের সভাপতি ডা. একেএম আজিজুল হক, প্রফেসর ড. সদরুল আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:৩২

আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের অধিকার কাজে লাগাতে হবে মন্তব্য করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যারা কাপুরুষ, তারাই ভয় দেখায়।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পেশাজীবীদের করণীয় শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।
ড. কামাল বলেন, “যারা বলে দেশ বিভক্ত হয়ে গেছে, আমি বলি তোমাদের মাথা বিভক্ত হয়ে গেছে। হুমকি দাও, তোমাদের হুমকিতে ভীত হয়ে যাব? আসো সামনাসামনি। আমি তোমাদের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি।”
এসময় টেবিলে চাপড়িয়ে উচ্চ স্বরে তিনি বলেন, “১৬ কোটি মানুষকে মেরে ফেলতে পারবে না। যারা হুমকি দাও, তোমরা কাপুরুষ।”
সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলেন, “ভোটের অধিকার আমাদের কাজে লাগাতে হবে দেশের মালিক হিসেবে। অনির্বাচিতরা এখন দেশ শাসন করছে, এটা মেনে নিতে পারি না। আমাদের যে ঐক্য আছে সেটা এগিয়ে নিতে হবে। কোনো স্বৈরাচারের হাতে দেশ দেব না।”
পুলিশ মহাপরিদর্শককে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “বেআইনি আদেশ মানা অপরাধ। যারা বেআইনি আদেশ দিচ্ছেন. তারা কত বড় অপরাধী?”
ভোটারদের উদ্দেশে ড. কামাল আরও বলেন, আপনারা ৩০ ডিসেম্বর গুনে গুনে ভোট দিয়ে আসবেন। আপনার ভোট যাতে ছিনতাই না হয়, জালিয়াতি করতে না পারে।
এসময় ক্ষমতাসীনদের এক নেতার নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, “স্বাধীন দেশে কেউ প্রজা নয়, তারা নাগরিক। যারা প্রজার কথা বলছেন মাথা ঠিক করে কথা বলেন। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।”
সভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, সেনাবাহিনীর কাছে একটায় চাওয়া- জনগণ যাতে নিরাপদে ভোট দিতে পারে। যদি তারা নিরাপদে ভোট দিতে পারে, তাহলে ভোট বিপ্লব ঘটে যাবে।
বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল খান বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ১৬ জন প্রার্থী কারাগারে আছেন। ছয়জনকে তফসিল ঘোষণার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া আটজন জনকে অবৈধ করা হয়েছে। আর কয়েকজন অবৈধ করার কথা বলা হয়েছে।”
তিনি বলেন, আট আসনে ধানের শীষের কোনো প্রার্থী রইল না। সরকারকে এই আটটি আসন উপহার দেওয়া হলো।
সেনা মোতায়েনের প্রসঙ্গ টেনে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “আজকে আমাকে বলল- স্যার, আরেকটু ধৈর্য ধরুন। আমরা ৩০ ডিসেম্বর ফাইনাল খেলা দেখাব। তাই আমি বলি, আমাদের দাঁত কামড়ে সহ্য করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “৩০ ডিসেম্বর ভোর ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে থাকতে হবে। ভোটের হিসাব না নিয়ে ঘরে ফিরে যাওয়া যাবে না।”
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ওপর নির্ভর না করে নিজেরা ভোট কেন্দ্রে যাবেন। সবাইকে ঐক্য হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করুন।
সংঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, প্রফেসর মাহবুব উল্লাহ, প্রফেসর মুস্তাহিদুর রহমান, ড্যাবের সভাপতি ডা. একেএম আজিজুল হক, প্রফেসর ড. সদরুল আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া প্রমুখ।