‘লাঙল সরকারে না বিরোধী দলে সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টারি বোর্ডে’
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৪:৫৮
ফাইল ছবি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের হয়ে অংশ নিয়েছিল জাতীয় পার্টি। লাঙল প্রতীকে ২২টি আসন পেয়ে হয়েছে সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। তবে জাতীয় পার্টি মহাজোট সরকারে নাকি বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকবে সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার পার্টির পার্লামেন্টারি বোর্ডে সিদ্ধান্ত হবে।
বুধবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সংসদে জাতীয় পার্টির অবস্থান বিষয়ে বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টারি বোর্ডে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ২৯৮ জনের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। অবশ্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিজয়ীরা শপথ নিচ্ছেন না বলে গুঞ্জন রয়েছে।
একই সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির ভূমিকা কী হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সরকার নাকি বিরোধী দলে থাকবে এখনই সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আলাপ-আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ৩০০ আসনের মধ্যে ঘোষিত ২৯৮ আসনের ২৮৮টিতে জয়লাভ করেছে। মহাজোট শরিক জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২টি আসন। বিরোধী জোট বিএনপিপ্রধান জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৬টি এবং অন্যান্য প্রার্থীরা ৪টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন করায় তাদের বিজয়ী ছয়জন শপথ নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফলে শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলের আসনে বসতে হতে পারে জাতীয় পার্টিকে।
অবশ্য বিএনপিসহ নিবন্ধিত প্রায় তিন-চতুর্থাংশ দলের বর্জনে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টি সরকারে থাকার পাশাপাশি বিরোধী দলের ভূমিকাও পালন করেছিল।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৪:৫৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের হয়ে অংশ নিয়েছিল জাতীয় পার্টি। লাঙল প্রতীকে ২২টি আসন পেয়ে হয়েছে সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। তবে জাতীয় পার্টি মহাজোট সরকারে নাকি বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকবে সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার পার্টির পার্লামেন্টারি বোর্ডে সিদ্ধান্ত হবে।
বুধবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সংসদে জাতীয় পার্টির অবস্থান বিষয়ে বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টারি বোর্ডে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ২৯৮ জনের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। অবশ্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিজয়ীরা শপথ নিচ্ছেন না বলে গুঞ্জন রয়েছে।
একই সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির ভূমিকা কী হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সরকার নাকি বিরোধী দলে থাকবে এখনই সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আলাপ-আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ৩০০ আসনের মধ্যে ঘোষিত ২৯৮ আসনের ২৮৮টিতে জয়লাভ করেছে। মহাজোট শরিক জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২টি আসন। বিরোধী জোট বিএনপিপ্রধান জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৬টি এবং অন্যান্য প্রার্থীরা ৪টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন করায় তাদের বিজয়ী ছয়জন শপথ নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফলে শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলের আসনে বসতে হতে পারে জাতীয় পার্টিকে।
অবশ্য বিএনপিসহ নিবন্ধিত প্রায় তিন-চতুর্থাংশ দলের বর্জনে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টি সরকারে থাকার পাশাপাশি বিরোধী দলের ভূমিকাও পালন করেছিল।