প্রধানমন্ত্রীর চুক্তিতে ভরসা পাচ্ছে না গণফোরাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:৩২
ফাইল ফটো
ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব চুক্তি করেছেন, তাতে ভরসা নেই জানিয়ে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেছেন, ‘এ সরকারের ওপর আমাদের ভরসা নেই। জনগণেরও ভরসা নেই। জনস্বার্থ রক্ষা করার মতো দক্ষতা কিংবা ইচ্ছা সরকারের আছে কি না তা নিয়ে আমরা সন্দিহান।’
শনিবার রাতে বেইলি রোডে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় প্রেসিডিয়াম বৈঠক শেষে রেজা কিবরিয়া সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ও ভারত সমুদ্র উপকূলে নজরদারি, চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার, এলওসি বাস্তবায়নসহ কয়েকটি বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করে।
রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘চুক্তির পুরোটা জানা নেই। পানি বণ্টনের টেকনিক্যাল দিকগুলো না জেনে কিছু বলা ঠিক হবে না। সাধারণভাবে বলতে চাই– বর্তমান সরকার জনগণের স্বার্থরক্ষা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ। পুরনো রোহিঙ্গা সমস্যা রয়েছে। পানি পাওয়া, ব্যবসা-বাণিজ্য, ট্রানজিট বিষয়েও তারা ব্যর্থ। দেশের মাটিতে সরকার যেমন ব্যর্থ, পররাষ্ট্রনীতিতেও তাদের ব্যর্থতা স্পষ্ট।’
‘শিগগিরই দেশে আরেকটি নির্বাচন হবে’– কিসের ভিত্তিতে এ কথা বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি কথাটি ওভাবে বলিনি। প্রত্যেক খাতে সরকারের যে ব্যর্থতা, তাতে মোটামুটি রাষ্ট্র কলাপসের দিকে যাচ্ছে। সরকার প্রত্যেক ড়্গেত্রে যে ব্যর্থ, মানুষ আগে টের পায়নি, এখন বুঝে গেছে। আমার ধারণা, কোনো আন্দোলনে নয়, ব্যর্থতার জন্য সরকারই ক্ষমতা ছেড়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে মানুষকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করবে। আমার ধারণা, এটি খুব তাড়াতাড়ি হবে।’
রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ৩০ ডিসেম্বর বড় আকারের সমাবেশ করা হবে। তবে তার আগেই দেশে অনেক কিছু ঘটতে পারে। হয়তো এ সরকার ক্ষমতায় থাকবে না। সুতরাং সেটি নিয়ে এখনই কিছু ভাবছি না।’ চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘চতুর্থ-পঞ্চম শ্রেণির কয়েক নেতা ধরলেই আমরা উৎফুল্ল হয়ে যাব, সরকার যেন এটা না ভাবে। যারা ব্যাংক-শেয়ারবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে, বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে, তখন আমরা স্বাগত জানাব।’
এর আগে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রেসিডিয়ামের বৈঠক হয়।
বৈঠকে নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, অ্যাডভোকেট মোহসিন রশীদ, মোকাব্বির খান এমপি, জগলুল হায়দার আফ্রিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, মেজর (অব.) আমিন আফসারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:৩২

ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব চুক্তি করেছেন, তাতে ভরসা নেই জানিয়ে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেছেন, ‘এ সরকারের ওপর আমাদের ভরসা নেই। জনগণেরও ভরসা নেই। জনস্বার্থ রক্ষা করার মতো দক্ষতা কিংবা ইচ্ছা সরকারের আছে কি না তা নিয়ে আমরা সন্দিহান।’
শনিবার রাতে বেইলি রোডে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় প্রেসিডিয়াম বৈঠক শেষে রেজা কিবরিয়া সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ও ভারত সমুদ্র উপকূলে নজরদারি, চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার, এলওসি বাস্তবায়নসহ কয়েকটি বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করে।
রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘চুক্তির পুরোটা জানা নেই। পানি বণ্টনের টেকনিক্যাল দিকগুলো না জেনে কিছু বলা ঠিক হবে না। সাধারণভাবে বলতে চাই– বর্তমান সরকার জনগণের স্বার্থরক্ষা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ। পুরনো রোহিঙ্গা সমস্যা রয়েছে। পানি পাওয়া, ব্যবসা-বাণিজ্য, ট্রানজিট বিষয়েও তারা ব্যর্থ। দেশের মাটিতে সরকার যেমন ব্যর্থ, পররাষ্ট্রনীতিতেও তাদের ব্যর্থতা স্পষ্ট।’
‘শিগগিরই দেশে আরেকটি নির্বাচন হবে’– কিসের ভিত্তিতে এ কথা বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি কথাটি ওভাবে বলিনি। প্রত্যেক খাতে সরকারের যে ব্যর্থতা, তাতে মোটামুটি রাষ্ট্র কলাপসের দিকে যাচ্ছে। সরকার প্রত্যেক ড়্গেত্রে যে ব্যর্থ, মানুষ আগে টের পায়নি, এখন বুঝে গেছে। আমার ধারণা, কোনো আন্দোলনে নয়, ব্যর্থতার জন্য সরকারই ক্ষমতা ছেড়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে মানুষকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করবে। আমার ধারণা, এটি খুব তাড়াতাড়ি হবে।’
রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ৩০ ডিসেম্বর বড় আকারের সমাবেশ করা হবে। তবে তার আগেই দেশে অনেক কিছু ঘটতে পারে। হয়তো এ সরকার ক্ষমতায় থাকবে না। সুতরাং সেটি নিয়ে এখনই কিছু ভাবছি না।’ চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘চতুর্থ-পঞ্চম শ্রেণির কয়েক নেতা ধরলেই আমরা উৎফুল্ল হয়ে যাব, সরকার যেন এটা না ভাবে। যারা ব্যাংক-শেয়ারবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে, বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে, তখন আমরা স্বাগত জানাব।’
এর আগে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রেসিডিয়ামের বৈঠক হয়।
বৈঠকে নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, অ্যাডভোকেট মোহসিন রশীদ, মোকাব্বির খান এমপি, জগলুল হায়দার আফ্রিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, মেজর (অব.) আমিন আফসারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।