সরকার যেকোনো সময় পড়ে যাবে: নজরুল ইসলাম খান
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:৪৬
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘ক্ষমতা দখলে রাখতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার অনেক নৌকায় পা দিয়ে বসে আছে। যেকোনো সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পড়ে যেতে পারে।’
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ২০ দলীয় জোট শরিক জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচি নূর হোসাইন কাসেমী ও মুসলিম লীগের সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান খানের স্মরণসভায় তিনি এসব বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশ এক অদ্ভুত রাষ্ট্র। দেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আছে, আবার ধর্মনিরপেক্ষতাও আছে। একই সংবিধানে গণতন্ত্রও আছে, সমাজতন্ত্রও আছে। একই সংবিধানে বাঙালি জাতীয়তাবাদও আছে, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদও আছে। আসলে ক্ষমতায় থাকার জন্য সব ব্যাপারে কম্প্রোমাইজ করছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। মানুষের মধ্যে কষ্ট এত বেশি, মানুষের প্রতিবাদ এত সত্য, এত তীব্র যে আন্দোলন অবশ্যম্ভাবী। নিশ্চয়ই আন্দোলন হবে এবং সেই আন্দোলনের মুখে যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, যারা দুর্নীতি-অনাচার করে জনগণকে কষ্ট দিয়েছে, তাদেরই পতন হবে। আর সেই আন্দোলনের জন্য ২০ দলীয় জোটকে প্রস্তুতি নিতে হবে।’
২০ দলীয় জোট নেতাদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যে নীতি ও আদর্শের ওপর ভিত্তি করে ২০ দলীয় জোট গঠন করা হয়েছিল তা হল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সেটার জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে একটাই- সেটা হলো মানসিক প্রস্তুতি নিন। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দায়িত্ব আমাদের ওপর। আমরা যারা দেশকে ভালোবাসি, আমরা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, আমরা যারা জনগণের ক্ষমতার প্রতি আস্থাশীল, আমরা যারা ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, আমাদের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়া।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের জনপ্রিয়তা নেই বলে তারা ভোটার, রাজনৈতিক দল ও জনগণকে ভয় পায়। তারা জানে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা মোটেও জিততে পারবে না। এটা আমাদের কথা না। তাদের নেতারাই বলছেন। পালানোর জায়গা পাবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। এটাই বাস্তবতা। এজন্যই তারা জনগণকে ভোট দেয়ার সুযোগ দেয় না।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, একবার হলো প্রার্থীহীন নির্বাচন। যেখানে তিনশ’র মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোনো প্রার্থী ছিল না। আর একবার হলো আগের রাতে নির্বাচন। কেন এটা হলো? কেন একটা রাজনৈতিক দল জেতার জন্য কোনো বিশেষ বাহিনীর ওপর নির্ভর করে? কিংবা অন্যদের প্রার্থী হতে দেয় না? কিংবা ভোটার যাতে ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে না পারে তার চেষ্টা করে? কারণ, তারা জানে- জনগণ ভোট দিলে তারা মোটেই জিততে পারবে না।’
নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। বক্তব্য দেন, জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমেদ আব্দুল কাদের প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:৪৬

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘ক্ষমতা দখলে রাখতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার অনেক নৌকায় পা দিয়ে বসে আছে। যেকোনো সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পড়ে যেতে পারে।’
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ২০ দলীয় জোট শরিক জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচি নূর হোসাইন কাসেমী ও মুসলিম লীগের সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান খানের স্মরণসভায় তিনি এসব বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশ এক অদ্ভুত রাষ্ট্র। দেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আছে, আবার ধর্মনিরপেক্ষতাও আছে। একই সংবিধানে গণতন্ত্রও আছে, সমাজতন্ত্রও আছে। একই সংবিধানে বাঙালি জাতীয়তাবাদও আছে, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদও আছে। আসলে ক্ষমতায় থাকার জন্য সব ব্যাপারে কম্প্রোমাইজ করছে সরকার।’ তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। মানুষের মধ্যে কষ্ট এত বেশি, মানুষের প্রতিবাদ এত সত্য, এত তীব্র যে আন্দোলন অবশ্যম্ভাবী। নিশ্চয়ই আন্দোলন হবে এবং সেই আন্দোলনের মুখে যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, যারা দুর্নীতি-অনাচার করে জনগণকে কষ্ট দিয়েছে, তাদেরই পতন হবে। আর সেই আন্দোলনের জন্য ২০ দলীয় জোটকে প্রস্তুতি নিতে হবে।’
২০ দলীয় জোট নেতাদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যে নীতি ও আদর্শের ওপর ভিত্তি করে ২০ দলীয় জোট গঠন করা হয়েছিল তা হল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সেটার জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে একটাই- সেটা হলো মানসিক প্রস্তুতি নিন। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দায়িত্ব আমাদের ওপর। আমরা যারা দেশকে ভালোবাসি, আমরা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, আমরা যারা জনগণের ক্ষমতার প্রতি আস্থাশীল, আমরা যারা ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, আমাদের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়া।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের জনপ্রিয়তা নেই বলে তারা ভোটার, রাজনৈতিক দল ও জনগণকে ভয় পায়। তারা জানে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা মোটেও জিততে পারবে না। এটা আমাদের কথা না। তাদের নেতারাই বলছেন। পালানোর জায়গা পাবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। এটাই বাস্তবতা। এজন্যই তারা জনগণকে ভোট দেয়ার সুযোগ দেয় না।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, একবার হলো প্রার্থীহীন নির্বাচন। যেখানে তিনশ’র মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোনো প্রার্থী ছিল না। আর একবার হলো আগের রাতে নির্বাচন। কেন এটা হলো? কেন একটা রাজনৈতিক দল জেতার জন্য কোনো বিশেষ বাহিনীর ওপর নির্ভর করে? কিংবা অন্যদের প্রার্থী হতে দেয় না? কিংবা ভোটার যাতে ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে না পারে তার চেষ্টা করে? কারণ, তারা জানে- জনগণ ভোট দিলে তারা মোটেই জিততে পারবে না।’
নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। বক্তব্য দেন, জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমেদ আব্দুল কাদের প্রমুখ।