গোপালগঞ্জের মানুষের কোন অভাব থাকবে না: শেখ সেলিম
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:৩০
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ জেলার মানুষের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছিল। তাই ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ জেলার উন্নয়নে একটা মাস্টার প্লান তৈরী করি। সেই মাস্টার প্লান অনুযায়ী গোপালগঞ্জের উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে।
এ জেলায় এমন কোন রাস্তা বা ব্রীজ নেই যা নির্মাণ করা হয়নি। এখন গোপালগঞ্জের মানুষের কোন অভাব থাকবে না।
শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের মধুমতি নদীর উপর ভার্চুয়াল ব্রিজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এ ব্রীজটির গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা ও নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার অন্তত ২০ গ্রামের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরী হবে। এসব গ্রামের মানুষের যাতায়াত ও অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
শেখ সেলিম এমপি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, আমাদের দেশে কোন গৃহহীন থাকবে না। আজই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের মধ্যে জমিসহ ঘর বিতরণ করেছেন।
প্রত্যেকটা মানুষকে বঙ্গবন্ধুর মতো ত্যাগের আদর্শ নিয়ে বাচঁতে হবে উল্লেখ করে শেখ সেলিম এমপি বলেন, বাংলাদেশে আর কোন গরীব মানুষ থাকবে না। ২০৪০ সালের মধ্যে আমাদের দেশ উন্নত দেশ হবে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে চরঘাঘা এলাকায় এ ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নির্মাণাধীন ব্রিজ প্রকল্পের পিডি মঞ্জুরুল আলম সিদ্দিকী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ রুহুল আমীন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিটু, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুর রহমান, শহর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম, জালালাবাদ ইউ.পি চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, এলজিইইড ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প’ এর আওতায় ৯৭ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাধীন গোপীনাথপুর-ঘাঘাধলাইতলা সড়কের মধুমতি নদীর উপর ৭৮৮.৯০ মিটার দীর্ঘ পিএসসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:৩০
_(1).jpg)
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ জেলার মানুষের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছিল। তাই ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ জেলার উন্নয়নে একটা মাস্টার প্লান তৈরী করি। সেই মাস্টার প্লান অনুযায়ী গোপালগঞ্জের উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে।
এ জেলায় এমন কোন রাস্তা বা ব্রীজ নেই যা নির্মাণ করা হয়নি। এখন গোপালগঞ্জের মানুষের কোন অভাব থাকবে না।
শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের মধুমতি নদীর উপর ভার্চুয়াল ব্রিজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এ ব্রীজটির গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা ও নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার অন্তত ২০ গ্রামের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরী হবে। এসব গ্রামের মানুষের যাতায়াত ও অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
শেখ সেলিম এমপি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, আমাদের দেশে কোন গৃহহীন থাকবে না। আজই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের মধ্যে জমিসহ ঘর বিতরণ করেছেন।
প্রত্যেকটা মানুষকে বঙ্গবন্ধুর মতো ত্যাগের আদর্শ নিয়ে বাচঁতে হবে উল্লেখ করে শেখ সেলিম এমপি বলেন, বাংলাদেশে আর কোন গরীব মানুষ থাকবে না। ২০৪০ সালের মধ্যে আমাদের দেশ উন্নত দেশ হবে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে চরঘাঘা এলাকায় এ ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নির্মাণাধীন ব্রিজ প্রকল্পের পিডি মঞ্জুরুল আলম সিদ্দিকী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ রুহুল আমীন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিটু, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুর রহমান, শহর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম, জালালাবাদ ইউ.পি চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, এলজিইইড ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প’ এর আওতায় ৯৭ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাধীন গোপীনাথপুর-ঘাঘাধলাইতলা সড়কের মধুমতি নদীর উপর ৭৮৮.৯০ মিটার দীর্ঘ পিএসসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে।