লবিস্ট নিয়োগ করে পতন ঠেকানো যাবে না: শওকত মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:৫৯
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন শওকত মাহমুদ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ বলেছেন, বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে লাভ হবে না, তদবির করে ক্ষমতা টিকানো যাবে না।
আরও বলেন, বিশ্ব বিবেক জেগে উঠেছে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো একের পর এক রিপোর্ট প্রকাশ করছে। সরকার যতই লবিস্ট নিয়োগ করুক সত্যকে আর ধামাচাপা দেওয়া যাবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলামের মুক্তির দাবিতে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মানববন্ধনে তিনি এ সব কথা বলেন।
শওকত মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে যখন চূড়ান্ত বিজয় সমাগত যখন জনগণ বিজয়ের জন্য অপেক্ষা করছে তারা বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষকদের হত্যা করেছে কিন্তু তারপরও বিজয় অর্জন করতে পারেননি। তাদের পতন হয়েছে। নব্বইয়ে এরশাদের পতনের প্রাক্কালেও স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পেশাজীবী নেতা ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব ডা. মিলনকে হত্যা করেও তার পতন ঠেকাতে পারেনি। সেদিন ২৭ নভেম্বর থেকে স্বৈরাচার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
আরও বলেন, সাংবাদিকেরা সেদিন থেকে পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছিল এবং এরশাদের পতন পর্যন্ত তারা পত্রিকা বের করেনি। আজকে এই স্বৈরাচার সরকার তাদের পতনের প্রাক্কালে আবার সেই শিক্ষকের ওপর আক্রমণ শুরু করেছে, তাজমেরী ইসলামকে গ্রেপ্তার করা করা হয়েছে ভয় ধরানোর জন্য। আমরা কোন অবস্থাতেই পিছু হটবো না। আমরা এ সরকারের পতন ঘটাবো এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তাজমেরী এস ইসলাম, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীসহ সকল রাজবন্দীকে মুক্ত করে আনব ইনশা আল্লাহ।
সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবদুল কুদ্দুস, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রুকন, ঢাবির অধ্যাপক আক্তার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সাঙবাদিক নেতা রাশেদুল হকসহ পেশাজীবী নেতারা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:৫৯

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ বলেছেন, বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে লাভ হবে না, তদবির করে ক্ষমতা টিকানো যাবে না।
আরও বলেন, বিশ্ব বিবেক জেগে উঠেছে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো একের পর এক রিপোর্ট প্রকাশ করছে। সরকার যতই লবিস্ট নিয়োগ করুক সত্যকে আর ধামাচাপা দেওয়া যাবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলামের মুক্তির দাবিতে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মানববন্ধনে তিনি এ সব কথা বলেন।
শওকত মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে যখন চূড়ান্ত বিজয় সমাগত যখন জনগণ বিজয়ের জন্য অপেক্ষা করছে তারা বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষকদের হত্যা করেছে কিন্তু তারপরও বিজয় অর্জন করতে পারেননি। তাদের পতন হয়েছে। নব্বইয়ে এরশাদের পতনের প্রাক্কালেও স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পেশাজীবী নেতা ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব ডা. মিলনকে হত্যা করেও তার পতন ঠেকাতে পারেনি। সেদিন ২৭ নভেম্বর থেকে স্বৈরাচার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
আরও বলেন, সাংবাদিকেরা সেদিন থেকে পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছিল এবং এরশাদের পতন পর্যন্ত তারা পত্রিকা বের করেনি। আজকে এই স্বৈরাচার সরকার তাদের পতনের প্রাক্কালে আবার সেই শিক্ষকের ওপর আক্রমণ শুরু করেছে, তাজমেরী ইসলামকে গ্রেপ্তার করা করা হয়েছে ভয় ধরানোর জন্য। আমরা কোন অবস্থাতেই পিছু হটবো না। আমরা এ সরকারের পতন ঘটাবো এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তাজমেরী এস ইসলাম, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীসহ সকল রাজবন্দীকে মুক্ত করে আনব ইনশা আল্লাহ।
সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবদুল কুদ্দুস, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রুকন, ঢাবির অধ্যাপক আক্তার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সাঙবাদিক নেতা রাশেদুল হকসহ পেশাজীবী নেতারা।