বিএনপি-জামায়াতের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে যা বললেন ইনু
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৫০
ফাইল ছবি
বিএনপি-জামায়াতের আসল উদ্দেশ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও তাদের রাজনৈতিক শরিকদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে, তারা নির্বাচনের আগেই ক্ষমতার প্রশ্ন ফয়সালা করতে চায়।
ক্ষমতাসীন জোটের এই শরিক নেতা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তাদের আসল দাবি কি নিরপেক্ষ নির্বাচন, না সরকার উৎখাত?’
শনিবার রাজধানীর শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশে চলমান রাজনীতির প্রধান প্রশ্ন, মূল বিরোধ নিরপেক্ষ নির্বাচন, না-কি ২০০৮ সাল থেকে রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক রাজনীতিতে যে পরিবর্তনের ধারার সূত্রপাত হয় তা রোধ করা, পাল্টে দেওয়া?’
‘নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান, নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন প্রণয়ন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনকালীন সরকারের ধরন, ক্ষমতা, এখতিয়ার, ভূমিকা ইত্যাদি কি আসল বিষয় না-কি নির্দলীয় সরকারের নামে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে বা পদত্যাগে বাধ্য করা বা উৎখাত করা আসল বিষয়’ প্রশ্ন তোলেন তিনি।
জাসদ সভাপতি বলেন, দেশে ক্ষমতার বিরোধ হচ্ছে, সংঘাত হচ্ছে। এই বিরোধে একপক্ষ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব-ভিত্তি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংবিধানের মৌলিক নীতিমালা এবং মীমাংসিত মৌলিক বিষয় বিরোধী পাকিস্তানপন্থী ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক ধারা। আরেক পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে অসাম্প্রদায়িক শক্তি।
এজন্য শুধু নিরপেক্ষ নির্বাচন এই রাজনৈতিক বিরোধ, ক্ষমতার বিরোধের অবসান করে গণতন্ত্র, রাজনৈতিক শান্তি স্থিতিশীলতা দিতে পারছে না বলেও মনে করেন তিনি।
ইনু বলেন, অতীতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিরপেক্ষ নির্বাচনের পর এই মীমাংসিত মৌলিক রাজনৈতিক বিরোধের সমাধান হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনের পর সরকার গঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান, বিরোধের অবসান, সংঘাতের অবসান করে গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক শান্তি চাইলে শুধুমাত্র নির্বাচন না, মীমাংসিত মৌলিক রাজনৈতিক প্রশ্নে ঐকমত্য প্রয়োজন।
সভায় দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর খসড়া রাজনৈতিক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি। খসড়া রাজনৈতিক রিপোর্টের ওপর আলোচনা করেন দলের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, সাখাওয়াত হোসেন রাঙ্গা, অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, আব্দুল্লাহহিল কাইয়ূম প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৫০

বিএনপি-জামায়াতের আসল উদ্দেশ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও তাদের রাজনৈতিক শরিকদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে, তারা নির্বাচনের আগেই ক্ষমতার প্রশ্ন ফয়সালা করতে চায়।
ক্ষমতাসীন জোটের এই শরিক নেতা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তাদের আসল দাবি কি নিরপেক্ষ নির্বাচন, না সরকার উৎখাত?’
শনিবার রাজধানীর শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশে চলমান রাজনীতির প্রধান প্রশ্ন, মূল বিরোধ নিরপেক্ষ নির্বাচন, না-কি ২০০৮ সাল থেকে রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক রাজনীতিতে যে পরিবর্তনের ধারার সূত্রপাত হয় তা রোধ করা, পাল্টে দেওয়া?’
‘নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান, নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন প্রণয়ন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনকালীন সরকারের ধরন, ক্ষমতা, এখতিয়ার, ভূমিকা ইত্যাদি কি আসল বিষয় না-কি নির্দলীয় সরকারের নামে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে বা পদত্যাগে বাধ্য করা বা উৎখাত করা আসল বিষয়’ প্রশ্ন তোলেন তিনি।
জাসদ সভাপতি বলেন, দেশে ক্ষমতার বিরোধ হচ্ছে, সংঘাত হচ্ছে। এই বিরোধে একপক্ষ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব-ভিত্তি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংবিধানের মৌলিক নীতিমালা এবং মীমাংসিত মৌলিক বিষয় বিরোধী পাকিস্তানপন্থী ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক ধারা। আরেক পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে অসাম্প্রদায়িক শক্তি।
এজন্য শুধু নিরপেক্ষ নির্বাচন এই রাজনৈতিক বিরোধ, ক্ষমতার বিরোধের অবসান করে গণতন্ত্র, রাজনৈতিক শান্তি স্থিতিশীলতা দিতে পারছে না বলেও মনে করেন তিনি।
ইনু বলেন, অতীতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিরপেক্ষ নির্বাচনের পর এই মীমাংসিত মৌলিক রাজনৈতিক বিরোধের সমাধান হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনের পর সরকার গঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান, বিরোধের অবসান, সংঘাতের অবসান করে গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক শান্তি চাইলে শুধুমাত্র নির্বাচন না, মীমাংসিত মৌলিক রাজনৈতিক প্রশ্নে ঐকমত্য প্রয়োজন।
সভায় দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর খসড়া রাজনৈতিক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি। খসড়া রাজনৈতিক রিপোর্টের ওপর আলোচনা করেন দলের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, সাখাওয়াত হোসেন রাঙ্গা, অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, আব্দুল্লাহহিল কাইয়ূম প্রমুখ।