ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল: লেখক
অনলাইন ডেস্ক | ২৬ মে, ২০২২ ১৯:০৪
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় অস্ত্র হাতে এক যুবকের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাবি করছেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরাই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। সংবাদ মাধ্যমের খবর, সেখানে ছাত্রলীগের এক কর্মীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে, ছোড়া হয়েছে গুলিও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লেখক ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তারা হাইকোর্টের ভেতর থেকে সশস্ত্র অবস্থায় মিছিল শুরু করেছে।
তিনি বলেন, যাদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত হলো, তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত।
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, যখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসবে, তখনই তাদের প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ছাত্রদল আবার তাদের পুরোনো রূপে ফিরে আসতে চায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরই তাদের প্রতিহত করে এসেছে, আগামীতেও করবে। অছাত্র-বহিরাগতদের নিয়ে এসে ক্যাম্পাসের পরিবেশ উত্তপ্ত করার সুযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেবে না।
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা কখনোই কোনো ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের অস্ত্র হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখিনি। কিন্তু সম্প্রতি ছাত্রদলের নেতাদের এ ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে৷ ইদানীং ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ভাঙচুর থেকে শুরু করে অছাত্র-বহিরাগতদের নিয়ে অস্ত্রশস্ত্রসহ ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার অপকৌশল নিয়েছে। শিক্ষার পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ছাত্রদলকে প্রতিহত করেছে। তারা যাদের আহত বলে দাবি করছে, খোঁজ নিয়ে আমরা জেনেছি তারা বহিরাগত ও সহিংসতায় অংশগ্রহণকারী। এখন থেকে সহিংসতার উদ্দেশ্যে ছাত্রদল যখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসবে, তখনই তাদের প্রতিহত করা হবে।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত ১২ বছরে শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। এর ফলে শেখ হাসিনার স্থান প্রতিটি শিক্ষার্থীর হৃদয়ে। সুতরাং তাকে উদ্দেশ করে কেউ মানহানিকর ও অবমাননাকর কথা বললে শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবেন না। গত রোববার শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক (সাইফ মাহমুদ) বিতর্কিত বক্তব্য দেন। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছিলেন, ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে তিনি জাতির সামনে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আমরা ভেবে দেখব। কিন্তু তিনি তা করেননি।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৬ মে, ২০২২ ১৯:০৪

ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় অস্ত্র হাতে এক যুবকের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাবি করছেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরাই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। সংবাদ মাধ্যমের খবর, সেখানে ছাত্রলীগের এক কর্মীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে, ছোড়া হয়েছে গুলিও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লেখক ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তারা হাইকোর্টের ভেতর থেকে সশস্ত্র অবস্থায় মিছিল শুরু করেছে।
তিনি বলেন, যাদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত হলো, তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত।
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, যখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসবে, তখনই তাদের প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ছাত্রদল আবার তাদের পুরোনো রূপে ফিরে আসতে চায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরই তাদের প্রতিহত করে এসেছে, আগামীতেও করবে। অছাত্র-বহিরাগতদের নিয়ে এসে ক্যাম্পাসের পরিবেশ উত্তপ্ত করার সুযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেবে না।
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা কখনোই কোনো ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের অস্ত্র হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখিনি। কিন্তু সম্প্রতি ছাত্রদলের নেতাদের এ ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে৷ ইদানীং ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ভাঙচুর থেকে শুরু করে অছাত্র-বহিরাগতদের নিয়ে অস্ত্রশস্ত্রসহ ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার অপকৌশল নিয়েছে। শিক্ষার পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ছাত্রদলকে প্রতিহত করেছে। তারা যাদের আহত বলে দাবি করছে, খোঁজ নিয়ে আমরা জেনেছি তারা বহিরাগত ও সহিংসতায় অংশগ্রহণকারী। এখন থেকে সহিংসতার উদ্দেশ্যে ছাত্রদল যখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসবে, তখনই তাদের প্রতিহত করা হবে।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত ১২ বছরে শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। এর ফলে শেখ হাসিনার স্থান প্রতিটি শিক্ষার্থীর হৃদয়ে। সুতরাং তাকে উদ্দেশ করে কেউ মানহানিকর ও অবমাননাকর কথা বললে শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবেন না। গত রোববার শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক (সাইফ মাহমুদ) বিতর্কিত বক্তব্য দেন। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছিলেন, ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে তিনি জাতির সামনে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আমরা ভেবে দেখব। কিন্তু তিনি তা করেননি।’