পদ্মা সেতুর আনন্দ-উৎসব বিনষ্ট করতে যে শিক্ষকদের ওপর হামলা হয়নি, তা বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

‘শিক্ষক নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড: ভূলুণ্ঠিত মূল্যবোধ ও মানবিকতা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন। 

সাভারের আশুলিয়ায় কলেজ শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যা ও নড়াইলে কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে এ সভা হয়।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার প্রাক্কালে ও তার পরবর্তী সময়ে সারা দেশে আনন্দ-উৎসব বয়ে গেছে, সেগুলোকে বিনষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা নানা জায়গায় চেষ্টা করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে, সামাজিকভাবে নানা ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে চেষ্টা হচ্ছে। এর সার্বিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ ঘটনাগুলো যে ঘটানো হয়নি, এটা বলা যাবে না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষক হত্যা ও লাঞ্ছিতের এসব ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন ও দায়ী সব ব্যক্তিকে জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের সব পর্যায়ে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান উপমন্ত্রী। 

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত। 

স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু ও সভাপতিত্ব করেন স্বাশিপের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী।