কারবালা ছাড়াও যেসব কারণে আশুরার গুরুত্ব
অনলাইন ডেস্ক | ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৭:২০
ছবি: বিবিসি বাংলা
আরবি বর্ষের প্রথম মাস মহরমের ১০ তারিখ মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি আশুরা হিসেবে পরিচিত। ইসলামের ভেতর দুটি মত- সুন্নি এবং শিয়া উভয়ের কাছেই আশুরার দিনটি গুরুত্বপূর্ণ।
আশুরা তথা ১০ মহররম নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন করেছে বিবিসি বাংলা। এতে উঠে এসেছে দিনটির গুরুত্বের নানা দিক।
ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, নবী মুহাম্মদ (সা.) এর সময় থেকেই মুসলিমরা ১০ মহররম পালন করতো। এর পেছনে নানা ধর্মীয় বিশ্বাস নিহিত আছে।
মুসলিমরা বিশ্বাস করেন, এই দিনটিতে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে এবং এই দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হবে, যেটি মুসলিমদের বিশ্বাস অনুযায়ী কেয়ামতের দিন।
এছাড়া ইসলামের দৃষ্টিতে যারা নবী এবং রাসুল বলে পরিচিত তাদের জীবনে এই দিনটিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটছে বলে বিশ্বাস করেন মুসলিমরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, আশুরা বা ১০ মহররম দিনটি মুসলিমদের জন্য নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিনটিতে পয়গম্বরদের কেন্দ্র করে নানা ঘটনা ঘটেছে। সেগুলোর স্মরণ করেই মুহাম্মদ (সা.) এর সময়কাল থেকে এই দিনটি পালন করা হতো। পরবর্তীতে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কারবালার ঘটনা।
৬৮০ সালের এই দিনে বর্তমান ইরাকের কারবালা নামক স্থানে মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হোসাইন ইবনে আলীকে সপরিবারে প্রতিপক্ষ নৃশংসভাবে হত্যা করে। তিনি ইমাম হোসাইন নামে অধিক পরিচিত।
এরপর থেকে এই ঘটনাটিও যুক্ত হয় আশুরা পালন করার ক্ষেত্রে। বিশেষ করে শিয়া মতাবলম্বীরা এই ঘটনাটিকে বেশি গুরুত্ব দেয়। সুন্নি মতাবলম্বীদের কাছেও এই ঘটনাটি গুরুত্ব বহন করে।
মুসলিমদের অনেকেই আশুরারা দিন রোজা রাখেন। অনেকে আশুরার আগের দিন এবং পরদিনও রোজা পালন করেন। এদিন অনেকে প্রাত্যহিক নামাজের পাশাপাশি অতিরিক্ত নামাজ আদায় ও দোয়া মোনাজাত করে থাকনে।
ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে রমজান মাস চালুর আগে আশুরার দিন রোজা পালন করা বাধ্যতামূলক ছিল।
অবশ্য সুন্নি মুসলিমদের চেয়ে শিয়া মুসলিমরা আশুরার দিনটিকে যেভাবে পালন করেন সেটি বেশ চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন জায়গায় তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিয়া মতাবলম্বীরা তাদের নিজেরে শরীরে ছুরি মেরে কষ্ট অনুভব করেন।
তাদের বিশ্বাস, ইমাম হোসাইনকে হত্যার সময় যে তিনি যে কষ্ট পেয়েছিলেন, তারাও নিজেদের পিঠে ছুরি মেরে সে কষ্ট অনুভবের চেষ্টা করেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৭:২০

আরবি বর্ষের প্রথম মাস মহরমের ১০ তারিখ মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি আশুরা হিসেবে পরিচিত। ইসলামের ভেতর দুটি মত- সুন্নি এবং শিয়া উভয়ের কাছেই আশুরার দিনটি গুরুত্বপূর্ণ।
আশুরা তথা ১০ মহররম নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন করেছে বিবিসি বাংলা। এতে উঠে এসেছে দিনটির গুরুত্বের নানা দিক।
ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, নবী মুহাম্মদ (সা.) এর সময় থেকেই মুসলিমরা ১০ মহররম পালন করতো। এর পেছনে নানা ধর্মীয় বিশ্বাস নিহিত আছে।
মুসলিমরা বিশ্বাস করেন, এই দিনটিতে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে এবং এই দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হবে, যেটি মুসলিমদের বিশ্বাস অনুযায়ী কেয়ামতের দিন।
এছাড়া ইসলামের দৃষ্টিতে যারা নবী এবং রাসুল বলে পরিচিত তাদের জীবনে এই দিনটিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটছে বলে বিশ্বাস করেন মুসলিমরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, আশুরা বা ১০ মহররম দিনটি মুসলিমদের জন্য নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিনটিতে পয়গম্বরদের কেন্দ্র করে নানা ঘটনা ঘটেছে। সেগুলোর স্মরণ করেই মুহাম্মদ (সা.) এর সময়কাল থেকে এই দিনটি পালন করা হতো। পরবর্তীতে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কারবালার ঘটনা।
৬৮০ সালের এই দিনে বর্তমান ইরাকের কারবালা নামক স্থানে মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হোসাইন ইবনে আলীকে সপরিবারে প্রতিপক্ষ নৃশংসভাবে হত্যা করে। তিনি ইমাম হোসাইন নামে অধিক পরিচিত।
এরপর থেকে এই ঘটনাটিও যুক্ত হয় আশুরা পালন করার ক্ষেত্রে। বিশেষ করে শিয়া মতাবলম্বীরা এই ঘটনাটিকে বেশি গুরুত্ব দেয়। সুন্নি মতাবলম্বীদের কাছেও এই ঘটনাটি গুরুত্ব বহন করে।
মুসলিমদের অনেকেই আশুরারা দিন রোজা রাখেন। অনেকে আশুরার আগের দিন এবং পরদিনও রোজা পালন করেন। এদিন অনেকে প্রাত্যহিক নামাজের পাশাপাশি অতিরিক্ত নামাজ আদায় ও দোয়া মোনাজাত করে থাকনে।
ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে রমজান মাস চালুর আগে আশুরার দিন রোজা পালন করা বাধ্যতামূলক ছিল।
অবশ্য সুন্নি মুসলিমদের চেয়ে শিয়া মুসলিমরা আশুরার দিনটিকে যেভাবে পালন করেন সেটি বেশ চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন জায়গায় তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিয়া মতাবলম্বীরা তাদের নিজেরে শরীরে ছুরি মেরে কষ্ট অনুভব করেন।
তাদের বিশ্বাস, ইমাম হোসাইনকে হত্যার সময় যে তিনি যে কষ্ট পেয়েছিলেন, তারাও নিজেদের পিঠে ছুরি মেরে সে কষ্ট অনুভবের চেষ্টা করেন।