ইবাদত-বন্দেগিতে কাটলো সৌভাগ্যের রজনী
অনলাইন ডেস্ক | ১৯ মার্চ, ২০২২ ১১:০০
ছবি: ফোকাস বাংলা
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় মহান আল্লাহর রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগির’ মধ্য দিয়ে পালন করেছেন পবিত্র শবে বরাত।
হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন।
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগি করে থাকেন।
হিজরি বর্ষ অনুযায়ী নতুন দিবসের শুরু হয় সূর্যাস্তের পর। এ অনুসারে শুক্রবার দিবাগত রাতে শবে বরাত পালন করেন বাংলাদেশের মুসলমানরা।
এ দিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ছিল বিশেষ আয়োজন। শুক্রবার বাদ মাগরিব ও বাদ এশা এবং রাত ২টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘পবিত্র শবে বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশের মসজিদগুলোতে ছিল বিশেষ দোয়া-মাহফিলের আয়োজন। এ ছাড়া বাড়িতে তৈরি হয়েছে ঐতিহ্যবাহী খাবার।
শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, ‘মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। শবে বরাতের এই পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উন্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই। সৌভাগ্যমণ্ডিত পবিত্র শবে বরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।’
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে পবিত্র শবে বরাতের মহাত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৯ মার্চ, ২০২২ ১১:০০

ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় মহান আল্লাহর রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগির’ মধ্য দিয়ে পালন করেছেন পবিত্র শবে বরাত।
হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন।
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগি করে থাকেন।
হিজরি বর্ষ অনুযায়ী নতুন দিবসের শুরু হয় সূর্যাস্তের পর। এ অনুসারে শুক্রবার দিবাগত রাতে শবে বরাত পালন করেন বাংলাদেশের মুসলমানরা।
এ দিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ছিল বিশেষ আয়োজন। শুক্রবার বাদ মাগরিব ও বাদ এশা এবং রাত ২টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘পবিত্র শবে বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশের মসজিদগুলোতে ছিল বিশেষ দোয়া-মাহফিলের আয়োজন। এ ছাড়া বাড়িতে তৈরি হয়েছে ঐতিহ্যবাহী খাবার।
শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, ‘মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। শবে বরাতের এই পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উন্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই। সৌভাগ্যমণ্ডিত পবিত্র শবে বরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।’
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে পবিত্র শবে বরাতের মহাত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।