গরম কাপড়ের যত্ন
| ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
শীতে গরম পোশাক পরবেন না তা তো হয় না। শীতের পোশাকের জন্য আছে আলাদা নিয়ম-কানুন। জেনে নিন ঝটপট শীতের পোশাক পরার আগে ও পরের যতœ জানালেন ওয়াশ আউট বিডির জেনারেল ম্যানেজার সোহেল আলম
পশমি বা উলেন
উলেন বা পশমি কাপড় এক ঘণ্টার বেশি ভিজিয়ে রাখবেন না। কাপড়ে রং ওঠার আশঙ্কা থাকলে রিঠা দিয়ে ধুয়ে নিন। ধোয়ার সময় পানিতে সাদা কাপড়ের ক্ষেত্রে লেবুর রস ও রঙিন কাপড়ে ভিনেগার মিশান। কাপড়ের উজ্জ্বলতা ঠিক থাকবে। হাতমোজা ও মাফলার ধোয়ার সময়ও একই কাজ করুন। উলেন বা পশমি কাপড় ধোয়ার সময় ব্রাশ দিয়ে ঘষবেন না। আর কড়া রোদে শুকাতে দেবেন না।
শাল বা চাদর
শীতের পোশাক পরিষ্কারে কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে। হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট নিয়ে তাতে আধা ঘণ্টা চাদর বা শাল ভিজিয়ে রাখুন। পরে হাত দিয়ে হালকা করে কচলে নিন। খুব বেশি কাঁচা যাবে না। পশমি শাল হলে পরিষ্কার পানিতে ধোয়ার পর পানি নিংড়ানোর জন্য মোড়াবেন না। কাপড়ের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর বদলে পরিষ্কার তোয়ালে বা পুরনো কাপড় দিয়ে শাল জড়িয়ে নিংড়ে নিন। তারপর শুকাতে দিন। ইস্ত্রির সময় কাপড়ের ওপর হালকা ভেজা পাতলা কাপড় বিছিয়ে ইস্ত্রি করুন। শাল বা চাদরে ববলিন হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
স্যুট
বাইরে থেকে ফিরলে অনেক সময় দেখা যায় ঘামে স্যুট ভিজে গেছে। এ রকম হলে স্যুট হ্যাঙ্গারে বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় ঝুলিয়ে রাখবেন। স্যুটে ধুলাবালি পড়লে ব্যবহারের আগে ব্রাশ দিয়ে ঝেড়ে নিন। বেশি ময়লা হলে ড্রাইওয়াশে দিন। স্যুট হ্যাঙ্গারে ঝোলানোর সময় কাঁধে আর্টিফিশিয়াল প্যাড দিয়ে রাখলে স্যুটের আকার ভালো থাকবে। এছাড়া হ্যাঙ্গারের ওপর পলিথিনের কভার দিতে পারেন।
লেপ ও কম্বল
শীতে পরিষ্কার লেপ- কম্বল ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যালার্জি ও হাঁপানি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কম্বল সাধারণত ড্রাই ওয়াশ করানোই ভালো। তবে ঘরে পরিষ্কার করতে চাইলে কম্বল লিকুইড সাবান মেশানো পানিতে মিনিট দশেক ভিজিয়ে রাখুন। পরে হালকা কচলে ধুয়ে নিন। এরপর পানি ঝরিয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে না ঝুলিয়ে বিছিয়ে শুকাতে দিন। ব্যবহারের পর মাঝেমধ্যে হালকা রোদে দিতে ভুলবেন না। যাদের কম্বল থেকে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা আছে, তারা অবশ্যই কম্বলে কভার ব্যবহার করবেন। তুলার লেপ মাঝেমধ্যে রোদে দিয়ে ব্যবহার করলে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
শেয়ার করুন
| ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

শীতে গরম পোশাক পরবেন না তা তো হয় না। শীতের পোশাকের জন্য আছে আলাদা নিয়ম-কানুন। জেনে নিন ঝটপট শীতের পোশাক পরার আগে ও পরের যতœ জানালেন ওয়াশ আউট বিডির জেনারেল ম্যানেজার সোহেল আলম
পশমি বা উলেন
উলেন বা পশমি কাপড় এক ঘণ্টার বেশি ভিজিয়ে রাখবেন না। কাপড়ে রং ওঠার আশঙ্কা থাকলে রিঠা দিয়ে ধুয়ে নিন। ধোয়ার সময় পানিতে সাদা কাপড়ের ক্ষেত্রে লেবুর রস ও রঙিন কাপড়ে ভিনেগার মিশান। কাপড়ের উজ্জ্বলতা ঠিক থাকবে। হাতমোজা ও মাফলার ধোয়ার সময়ও একই কাজ করুন। উলেন বা পশমি কাপড় ধোয়ার সময় ব্রাশ দিয়ে ঘষবেন না। আর কড়া রোদে শুকাতে দেবেন না।
শাল বা চাদর
শীতের পোশাক পরিষ্কারে কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে। হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট নিয়ে তাতে আধা ঘণ্টা চাদর বা শাল ভিজিয়ে রাখুন। পরে হাত দিয়ে হালকা করে কচলে নিন। খুব বেশি কাঁচা যাবে না। পশমি শাল হলে পরিষ্কার পানিতে ধোয়ার পর পানি নিংড়ানোর জন্য মোড়াবেন না। কাপড়ের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর বদলে পরিষ্কার তোয়ালে বা পুরনো কাপড় দিয়ে শাল জড়িয়ে নিংড়ে নিন। তারপর শুকাতে দিন। ইস্ত্রির সময় কাপড়ের ওপর হালকা ভেজা পাতলা কাপড় বিছিয়ে ইস্ত্রি করুন। শাল বা চাদরে ববলিন হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
স্যুট
বাইরে থেকে ফিরলে অনেক সময় দেখা যায় ঘামে স্যুট ভিজে গেছে। এ রকম হলে স্যুট হ্যাঙ্গারে বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় ঝুলিয়ে রাখবেন। স্যুটে ধুলাবালি পড়লে ব্যবহারের আগে ব্রাশ দিয়ে ঝেড়ে নিন। বেশি ময়লা হলে ড্রাইওয়াশে দিন। স্যুট হ্যাঙ্গারে ঝোলানোর সময় কাঁধে আর্টিফিশিয়াল প্যাড দিয়ে রাখলে স্যুটের আকার ভালো থাকবে। এছাড়া হ্যাঙ্গারের ওপর পলিথিনের কভার দিতে পারেন।
লেপ ও কম্বল
শীতে পরিষ্কার লেপ- কম্বল ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যালার্জি ও হাঁপানি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কম্বল সাধারণত ড্রাই ওয়াশ করানোই ভালো। তবে ঘরে পরিষ্কার করতে চাইলে কম্বল লিকুইড সাবান মেশানো পানিতে মিনিট দশেক ভিজিয়ে রাখুন। পরে হালকা কচলে ধুয়ে নিন। এরপর পানি ঝরিয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে না ঝুলিয়ে বিছিয়ে শুকাতে দিন। ব্যবহারের পর মাঝেমধ্যে হালকা রোদে দিতে ভুলবেন না। যাদের কম্বল থেকে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা আছে, তারা অবশ্যই কম্বলে কভার ব্যবহার করবেন। তুলার লেপ মাঝেমধ্যে রোদে দিয়ে ব্যবহার করলে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।