পেশিতে টান
ফারাহ বিলকিস | ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
ঠাণ্ডার এই সময়টাতে পেশির টান অস্বাভাবিক কিছু নয়। দৌড়াতে গিয়ে হোক বা ভারী কিছু তুলতে গিয়ে হোক, হঠাৎই টান লেগে যেতে পারে পা বা পিঠের পেশিতে। এমনকি কিছু না করেও অনেক সময় ব্যথা হয় পেশির। ঘুমানোর সময় হয়তো টান লেগে গেল ঘাড়ে কিংবা গোসল করে মাথা মোছার সময় কাঁধে।
কেন হয় : পেশির মধ্যে পানির পরিমাণ কমে গেলে পেশি স্থিতিস্থাপকতা হারায়। সে কারণেই প্রয়োজনমতো সংকোচন-প্রসারণ করে উঠতে পারে না। তাই হঠাৎ প্রসারণের ফলে সেখানে আঘাত লাগে। পেশিতে প্রয়োজনীয় মিনারেল বা খনিজ পদার্থের অভাবেও এ সমস্যা হতে পারে।
প্রতিকার
n পেশির জন্য প্রয়োজন পানি। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকলে পেশিতে ব্যথা হবে না। আবার এ ধরনের মতামতও প্রচলিত আছে_ পানি বেশি থাকলেও পেশির ব্যথা হতে পারে। তবে শরীর যদি সঠিকভাবে হাইড্রেটেড থাকে, তাহলে টান লাগলেও ব্যথার পরিমাণ খুব বেশি হয় না। যখনই তেষ্টা পাবে অল্প করে পানি খান। এতে আপনার পেশি ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়বে। আচমকা টান ধরে গেলেও, সেই ব্যথা কম সময়ের জন্য থাকবে।
n অনেকেই ওজন বাড়ার ভয়ে কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ ভাতজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, আসলে কার্বোহাইড্রেট পেশির জন্য খুবই দরকার। এ ধরনের হাই-কার্বোহাইড্রেট খাবারগুলো পেশিকে দ্রুত পুষ্টি জোগায়। পেশির আঘাত সামলে ওঠার জন্য যে প্রয়োজনীয় উপাদানের দরকার হয়, তা-ও পাওয়া যায় কার্বোহাইড্রেট থেকেই।
n লবণ ও চিনি খাওয়ার ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। শুধু পানির পক্ষে পেশিকে হাইড্রেট রাখা সম্ভব নয়। পেশির ফ্লেক্সিবিলিটি বা স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখার জন্য দরকার লবণও। কারণ এই লবণে থাকে ইলেকট্রোলাইটস। পেশির কোষের মধ্যে পানি কীভাবে ঢুকবে, কতটা ঢুকবে, কতটাইবা বের হবে, তার পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করে এই ইলেকট্রোলাইটস। তাই সোডিয়ামের মতো লবণের শরীরে উপস্থিতিটা খুব দরকারি। না হলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যাবে। তাই শরীর হাইড্রেট রাখতে একটা করে খাবার স্যালাইন গুলে তা অল্প অল্প করে সারা দিন খেতে পারেন। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইটস শরীর এই পানীয় থেকে পেয়ে যায়।
n চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করলেও পেশির টানের হাতে থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। কারণ মাল্টি ভিটামিনের মধ্যে সঠিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম আর ম্যাগনেশিয়াম পেশির স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে।
n যারা নিয়মিত স্ট্রেচিং বা যোগাসন করেন, তাদের পেশির স্থিতিস্থাপকতা অন্যদের তুলনায় বেশি এবং শরীরের চাহিদাতেই তারা বেশি পরিমাণে ফ্লুইড নিতে বাধ্য হন। সব মিলিয়ে পেশির গুণগত মান তাতে ভালো থাকে। তাই এই স্ট্রেচিংয়ের দিকে নজর দিতে পারেন। এতে পেশির টান থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।
শেয়ার করুন
ফারাহ বিলকিস | ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

ঠাণ্ডার এই সময়টাতে পেশির টান অস্বাভাবিক কিছু নয়। দৌড়াতে গিয়ে হোক বা ভারী কিছু তুলতে গিয়ে হোক, হঠাৎই টান লেগে যেতে পারে পা বা পিঠের পেশিতে। এমনকি কিছু না করেও অনেক সময় ব্যথা হয় পেশির। ঘুমানোর সময় হয়তো টান লেগে গেল ঘাড়ে কিংবা গোসল করে মাথা মোছার সময় কাঁধে। কেন হয় : পেশির মধ্যে পানির পরিমাণ কমে গেলে পেশি স্থিতিস্থাপকতা হারায়। সে কারণেই প্রয়োজনমতো সংকোচন-প্রসারণ করে উঠতে পারে না। তাই হঠাৎ প্রসারণের ফলে সেখানে আঘাত লাগে। পেশিতে প্রয়োজনীয় মিনারেল বা খনিজ পদার্থের অভাবেও এ সমস্যা হতে পারে। প্রতিকার n পেশির জন্য প্রয়োজন পানি। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকলে পেশিতে ব্যথা হবে না। আবার এ ধরনের মতামতও প্রচলিত আছে_ পানি বেশি থাকলেও পেশির ব্যথা হতে পারে। তবে শরীর যদি সঠিকভাবে হাইড্রেটেড থাকে, তাহলে টান লাগলেও ব্যথার পরিমাণ খুব বেশি হয় না। যখনই তেষ্টা পাবে অল্প করে পানি খান। এতে আপনার পেশি ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়বে। আচমকা টান ধরে গেলেও, সেই ব্যথা কম সময়ের জন্য থাকবে। n অনেকেই ওজন বাড়ার ভয়ে কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ ভাতজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, আসলে কার্বোহাইড্রেট পেশির জন্য খুবই দরকার। এ ধরনের হাই-কার্বোহাইড্রেট খাবারগুলো পেশিকে দ্রুত পুষ্টি জোগায়। পেশির আঘাত সামলে ওঠার জন্য যে প্রয়োজনীয় উপাদানের দরকার হয়, তা-ও পাওয়া যায় কার্বোহাইড্রেট থেকেই। n লবণ ও চিনি খাওয়ার ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। শুধু পানির পক্ষে পেশিকে হাইড্রেট রাখা সম্ভব নয়। পেশির ফ্লেক্সিবিলিটি বা স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখার জন্য দরকার লবণও। কারণ এই লবণে থাকে ইলেকট্রোলাইটস। পেশির কোষের মধ্যে পানি কীভাবে ঢুকবে, কতটা ঢুকবে, কতটাইবা বের হবে, তার পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করে এই ইলেকট্রোলাইটস। তাই সোডিয়ামের মতো লবণের শরীরে উপস্থিতিটা খুব দরকারি। না হলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যাবে। তাই শরীর হাইড্রেট রাখতে একটা করে খাবার স্যালাইন গুলে তা অল্প অল্প করে সারা দিন খেতে পারেন। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইটস শরীর এই পানীয় থেকে পেয়ে যায়। n চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করলেও পেশির টানের হাতে থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। কারণ মাল্টি ভিটামিনের মধ্যে সঠিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম আর ম্যাগনেশিয়াম পেশির স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে। n যারা নিয়মিত স্ট্রেচিং বা যোগাসন করেন, তাদের পেশির স্থিতিস্থাপকতা অন্যদের তুলনায় বেশি এবং শরীরের চাহিদাতেই তারা বেশি পরিমাণে ফ্লুইড নিতে বাধ্য হন। সব মিলিয়ে পেশির গুণগত মান তাতে ভালো থাকে। তাই এই স্ট্রেচিংয়ের দিকে নজর দিতে পারেন। এতে পেশির টান থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।