যোগাসনের আগে ও পরে
যোগাসন করলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে যোগাসনের সময় ভুল পদক্ষেপ নিলে, শরীরে বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই আসন করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কী করবেন জেনে নিন।
যোগাসনের সময় অকারণে শ্বাস ধরে রাখবেন না। এই সময় স্বাভাবিকভাবেই শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত ক্লান্তি অথবা অসুস্থতার মধ্যে কখনোই যোগাসন করা উচিত নয়। যোগাসনের মূল উদ্দেশ্যই হলো, শরীর এবং মনকে সুখী ও সতেজ রাখা। ক্লান্ত করা নয়। যোগাসন একা করা থেকে বিরত থাকুন। যদি নতুন যোগাসন শিখছেন, এমন হয় তবে কারও পরামর্শ নিয়ে তবেই প্র্যাকটিস করুন, এতে পেশিতে টান বা অস্বস্তি হতে পারে। আসন করার সময় টাইট জামাকাপড় এবং জুতো পরবেন না। খালি পায়ে ব্যায়াম করুন। বিশেষ করে, টাইট পোশাক পরলে পাঁজর এবং ফুসফুসের গতিবিধি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। যার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়। যোগাসন শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই গোসল করবেন না। আসনের পর স্বাভাবিকভাবে ঘাম শুকাতে দিন এবং তারপর গোসল করুন। পিরিয়ডের সময় কঠোর যোগাসন করবেন না। বিশেষ করে ‘ফিট আপ’ বা ইনভার্সন আসন না করাই ভালো। এই সময় রিল্যাক্সেশন এবং ব্রিদিং আসন করতে পারেন। প্রাণায়াম করতে পারেন। অতিরিক্ত পানি পান করবেন না যোগাসনের সময়। অতিরিক্ত পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। এই সময় কেবল মাত্র তৃষ্ণা মেটাতে অল্প পরিমাণে পানি পান করা যেতে পারে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় যোগাসন একদমই নয়। অর্থাৎ খুব গরম, খুব ঠান্ডা কিংবা খুব আর্দ্র আবহাওয়ায় যোগাসন করা এড়িয়ে চলুন। খাওয়ার পর যোগাসন করবেন না। বিশেষ করে ভারী খাবার খাওয়ার পরে একেবারেই নয়। খাবার খাওয়ার ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর যোগাসন করা যেতে পারে।
শেয়ার করুন

যোগাসন করলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে যোগাসনের সময় ভুল পদক্ষেপ নিলে, শরীরে বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই আসন করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কী করবেন জেনে নিন।
যোগাসনের সময় অকারণে শ্বাস ধরে রাখবেন না। এই সময় স্বাভাবিকভাবেই শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত ক্লান্তি অথবা অসুস্থতার মধ্যে কখনোই যোগাসন করা উচিত নয়। যোগাসনের মূল উদ্দেশ্যই হলো, শরীর এবং মনকে সুখী ও সতেজ রাখা। ক্লান্ত করা নয়। যোগাসন একা করা থেকে বিরত থাকুন। যদি নতুন যোগাসন শিখছেন, এমন হয় তবে কারও পরামর্শ নিয়ে তবেই প্র্যাকটিস করুন, এতে পেশিতে টান বা অস্বস্তি হতে পারে। আসন করার সময় টাইট জামাকাপড় এবং জুতো পরবেন না। খালি পায়ে ব্যায়াম করুন। বিশেষ করে, টাইট পোশাক পরলে পাঁজর এবং ফুসফুসের গতিবিধি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। যার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়। যোগাসন শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই গোসল করবেন না। আসনের পর স্বাভাবিকভাবে ঘাম শুকাতে দিন এবং তারপর গোসল করুন। পিরিয়ডের সময় কঠোর যোগাসন করবেন না। বিশেষ করে ‘ফিট আপ’ বা ইনভার্সন আসন না করাই ভালো। এই সময় রিল্যাক্সেশন এবং ব্রিদিং আসন করতে পারেন। প্রাণায়াম করতে পারেন। অতিরিক্ত পানি পান করবেন না যোগাসনের সময়। অতিরিক্ত পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। এই সময় কেবল মাত্র তৃষ্ণা মেটাতে অল্প পরিমাণে পানি পান করা যেতে পারে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় যোগাসন একদমই নয়। অর্থাৎ খুব গরম, খুব ঠান্ডা কিংবা খুব আর্দ্র আবহাওয়ায় যোগাসন করা এড়িয়ে চলুন। খাওয়ার পর যোগাসন করবেন না। বিশেষ করে ভারী খাবার খাওয়ার পরে একেবারেই নয়। খাবার খাওয়ার ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর যোগাসন করা যেতে পারে।