
কয়েক ধরনের কাবাবের রেসিপি দিয়েছেন মারজানা তাবাসসুম অন্যা
চিকেন বটি কাবাব
উপকরণ
হাড় ছাড়া মুরগির মাংস বিউব করে কাটা আধা কেজি, পানি ছাড়া টক দই ২ টেবিল চামচ, বেসন ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা আধা টেবিল চামচ, রসুন বাটা আধা টেবিল চামচ, গরম মসলা এক টেবিল চামচ, টালা জিরার গুঁড়ো আধা চা চামচ, ধনেগুঁড়ো ১ চা চামচ, গোল মরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, চিলি সস ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ, সরিষার তেল সিকি কাপ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. মাংসে সব উপকরণ মাখিয়ে কয়লা চুলা জালিয়ে বাটিতে নিয়ে সামান্য তেল দিয়ে মেরিনেট করা মাংসগুলো এর মধ্যে দিয়ে ১৫ মিনিট ঢেকে রাখুন।
২. এবার শাসলিক কাঠিতে চিকেন একটার পর একটা গেঁথে নিন।
৩. তাওয়ায় সরিষার তেল দিয়ে গেঁথে রাখা কাবাবগুলো স্যালো ফ্রাই করুন অথবা কয়লার আগুনে রান্না করুন।
শ্রিম্প বারবিকিউ
উপকরণ
চিংড়ি ১ কেজি, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, ওরিগ্যানো আধা টেবিল চামচ, চিলি ফ্লেক্স ১ চা চামচ, বারবিকিউ সস ৩ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, গোল মরিচের গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, অলিভ অয়েল সিকি কাপ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. চিংড়ি ভালো করে ধুয়ে মাথা ও লেজ রেখে চিরে নিন।
২. এবার সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে ১৫ মিনিট মেরিনেট করুন।
৩. শাসলিক কাঠিতে চিংড়ি মাছ একটার পর একটা গেঁথে নিন।
৪. এবার চিংড়ি মাছগুলোকে ভালো করে অলিভ অয়েল ব্রাশ করে কয়লায় পুড়িয়ে নিন অথবা স্যালো ফ্রাই করুন।
টেংরি কাবাব
উপকরণ
মুরগির রান ১০ পিস, পানি ছাড়া টক দই ১ কাপ, বেসন আড়াই টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, শাহি গরম মসলা ১ টেবিল চামচ, টালা জিরার গুঁড়ো আধা চা চামচ, ধনেগুঁড়ো ১ চা চামচ, গোল মরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ, ফুড কালার বা হলুদের গুঁড়ো ১ চা চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. মুরগির রান ভালো করে ধুয়ে চিরে নিন।
২. ফ্রাইপ্যানে ঘি নিয়ে এর মধ্যে বেসন দিয়ে তিন মিনিট ভাজুন।
৩. চিকেনের সঙ্গে বেসন ও বাকি উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে মেরিনেট করে সাত-আট ঘণ্টা রেখে দিন।
৪. এবার ফ্রাইপ্যানে ঘি দিয়ে মুরগির রানগুলো স্যালো ফ্রাই করে নিন।
স্মোকি মাসালা চিকেন তন্দুরি
উপকরণ
মুরগির রান ৪টি, বেসন ৪ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ১ চিমটি, টকদই আধা কাপ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, ধনেগুঁড়ো ২ চা চামচ, তন্দুরি মসলা ২ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা চামচ, ধনেপাতা কুচি সিকি কাপ, লাল মরিচের গুঁড়ো ২ চা চামচ, সাদা সরিষা বাটা ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ, টমেটো পেস্ট ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪টি।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. মাংস ভালো করে ধুয়ে চিরে নিন।
২. ফ্রাইপ্যানে সরিষার তেল নিয়ে এর মধ্যে পাঁচফোড়ন দিন। এবার এর মধ্যে বেসন দিয়ে ৩ মিনিট ভাজুন।
৩. এবার চিকেনের সঙ্গে বেসনের মিশ্রণ ও বাকি উপাদানগুলা ভালো করে মিশিয়ে সাত-আট ঘণ্টা মেরিনেট করে রেখে দিন।
৪. চিকেনকে ভালো করে সরিষার তেল ব্রাশ করে কয়লায় পুড়িয়ে নিন।
৫. একটি প্যানে সরিষার তেল নিয়ে এর মধ্যে পেঁয়াজ বাটা, মেরিনেট করা মশল্লা, টমেটো পেস্ট দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো হলে চিকেনগুলো দিয়ে পাঁচ মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। এর মধ্যে ৩-৪টি কাঁচা মরিচ ফালি করে দিন। হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
শীতের এ সময়টাতেই বিয়ে, পার্টি, পিকনিক, আরও নানা রকম আয়োজন দেখা যায়। যারা শাড়ি পরেন তাদের শাড়ির সঙ্গে শাল বা সোয়েটার পরতে গেয়ে সাজটা মাটি করে ফেলেন। তাই এই শীতে বেছে নিন হাল ফ্যাশনের লংকাট ব্লাউজ, যা আপনার শীত কাটাবে আর ফ্যাশনে যোগ করবে নতুন মাত্রা। লিখেছেন মোহসীনা লাইজু
নকশায় বৈচিত্র্য
শার্টের ডিজাইনেও বানানো যেতে পারে ব্লাউজ। শার্টের মতো গলা পর্যন্ত বোতাম আর লম্বা হাতায় কাফ ডিজাইন দেওয়া ব্লাউজ এই শীতের জনপ্রিয় ট্রেন্ড। আমাদের দেশের অল্প শীতে শাড়ির সঙ্গে এ ধরনের ব্লাউজ বেশ চলনসই। শাড়ির সঙ্গে আলাদা করে আর শীতের কাপড় পরার প্রয়োজন হয় না। জনপ্রিয় এই ব্লাউজের নাম জ্যাকেট-ব্লাউজ। যারা লম্বা ব্লাউজ পরতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাদের জন্য উপযোগী। এ ব্লাউজের কোমরের দৈর্ঘ্যে লোয়ার বাস্টের পরের অংশ থেকে দুই সাইডে কামিজের মতো করে কাটা থাকে। ফলে ব্লাউজের ফিটিং ভালো হয়। পরতেও স্বাচ্ছন্দ্য আসে। জ্যাকেট-ব্লাউজের গলায়ও আছে নানা ধরনের বৈচিত্র্য। হাইনেক, রাউন্ড নেক, শার্ট কলার ও কি শেরওয়ানি কলার। ব্লাউজের হাতার কাটিংও নানা ধরনের কাট দেখা যায়। ঝালর হাতা, ফুল বটম ঘটি হাতা, ফ্রিল হাতা, মাইক হাতা ইত্যাদি। শাড়ির সঙ্গে শীতের ব্লাউজ নিয়ে ডিজাইনাররা নানা ধরনের নিরীক্ষা করেছেন। কাটিং প্যাটার্নের সঙ্গে সঙ্গে এর ফেব্রিকসেও এসেছে বৈচিত্র্য। সুতি, সিল্ক, ফানেল, নিটও ডেনিম কাপড়ের ব্লাউজরূপী জ্যাকেটের ব্লাউজ পাওয়া যাচ্ছে ব্র্যান্ড ও নন-ব্র্যান্ডের ফ্যাশন হাউজে। ডিজাইনার তানিয়া কাউসার বলেন, ‘দেখতে পুরোটা ব্লাউজ হলেও শীতের কথা মাথায় রেখে এতে জ্যাকেটের একটা আমেজ আনা হয়েছে। ব্লাউজের লেন্থ মিডিয়াম ও লং দুই ধরনের স্টাইলই হয়। কোনো কোনো ব্লাউজের বাটন লাইনে চেইন ও ফ্রিল ব্যবহার করেছি।’ ডিজাইনার রাহুল হোসেন বলেন, ‘শীত মানেই উৎসবের মৌসুম। এ সময় শাড়ির সঙ্গে চাইলেও কোনো গরম কাপড় সহজে ব্যবহার করা যায় না। শাল বা চাদর শাড়ির সঙ্গে মানানসই হলেও এগুলো ব্যবহারে কিছুটা বয়স্ক ভাব চলে আসে। শাড়ির সঙ্গে আলাদা করে কার্ডিগান পরলে অনেক গরম ও মোটা লাগার আশঙ্কা থাকে। তাদের জন্য উপযোগী হলো লংকাটের ব্লাউজ। প্রতিটি শাড়ির সঙ্গে আলাদা করে শীতের কাপড় ম্যাচিং করা কষ্টকর। তাই জ্যাকেট-ব্লাউজ এ সমস্যার সমাধান।’
ব্লাউজের ধরন
ডেনিম,খাদি বা মোটা কাপড়ের জ্যাকেট-ব্লাউজই এখন বেশি চলছে। সঙ্গে রয়েছে মোটা সুতি, ডেনিম, ফ্লানেলের জ্যাকেট-ব্লাউজ। ফুলস্লিভ, হাফস্লিভ ও স্লিভলেস এই তিন প্যাটার্নের ব্লাউজ বানাতে পারেন। যেকোনো ধরনের শাড়ির সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যাবে। শাড়ির রঙ যদি খুব গাঢ় হয় তাহলে ব্লাউজের রঙ হতে হবে ঠিক উল্টো। অর্থাৎ হালকা। আবার শাড়ি হালকা হলে ব্লাউজ গাঢ় হবে। গর্জিয়াস শাড়ি হলে জ্যাকেট ব্লাউজ হবে একদম সাদামাটা। শীতের সময় গাঢ় রঙ যেমন লাল, মেরুন, বিস্কুট, ম্যাজেন্টা ও ডিপ পেস্ট বেছে নিতে পারেন। সুতির পাশাপাশি খাদি, এন্ডি কটন, এন্ডি সিল্ক, হাফ সিল্ক, কন্ট্রাস্ট মসলিন বেছে নেওয়া যায়। জ্যাকেট ব্লাউজের আছে নানা নাম। কোট ব্লাউজ, কার্ডিগান ব্লাউজ, টপস কাটিং ব্লাউজ বেশি চলছে বলে জানালেন দেশালের বিক্রয়কর্মী। একরঙা ব্লাউজের নকশায় জামদানি নকশা, ব্লকপ্রিন্ট, বাটিক, টাইডাই, কলংকারি, ফুলকারি, হ্যান্ড পেইন্টিংয়ে নানা ধরনের ডিজাইন ব্যবহার করা যেতে পারে।
কোন শাড়িতে কেমন ব্লাউজ
এক রঙের জর্জেট শাড়ির সঙ্গে ভারী নকশার এমব্রয়ডারি করা ব্লাউজ দারুণ মানানসই। হালকা শীতে বেছে নিতে পারেন কলার নেক-ব্লাউজ। এই ব্লাউজগুলো এখন বেশ চলছে। মোটা সুতি দিয়ে ফুল হাতা দিয়ে আর নিজের পছন্দমতো ডিজাইনের কলার দিয়ে এই ব্লাউজগুলো যেকোনো শাড়ির সঙ্গে পরা যায়। উলের ব্লাউজও পরা যায় শাড়ির সঙ্গে। ব্লাউজের জায়গায় এখন অনেকেই এক রঙের সোয়েটার পরেন। এতে ফ্যাশন যেমন হয়, তেমনি শীতের হাত থেকে রেহাইও পাওয়া যায়। তবে সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে সোয়েটার, যাতে একদম ফিটিং হয়, ঢিলেঢালা ভাব থাকলে ভালো লাগবে না। শীতের সময়টা শাড়ির সঙ্গে পরার জন্য ভেলভেট বা ব্রোকেট কাপড় দিয়ে ব্লাউজ তৈরি করতে পারেন। ভেলভেট কাপড় শরীরকে যেমন উষ্ণ রাখবে, তেমনি ব্রোকেট গর্জিয়াস লুক দেবে। এ ছাড়া সিল্কের শাড়ির সঙ্গে পরতে পারেন সিকুইন ব্লাউজ। সিকুইন ব্লাউজ সাধারণত ফুলসিøভ হয়। কিন্তু শাড়ি খুব বেশি হেভি আর কাজ করা হলে এই ব্লাউজ না এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। সাধারণত হালকা কিংবা এক রঙের শাড়ির সঙ্গে সিকুইন ব্লাউজ বেশি মানানসই। এই ব্লাউজ পরে ছিমছামভাবে শাড়ির ভেতরেই গরম থাকা যায়। ব্লাউজের পরিবর্তে পরতে পারেন হাইনেক স্কিনি কিংবা নিটেড টপ।
কোথায় পাবেন ও দরদাম : বেশির ভাগ মানুষ নিজের পছন্দ ও মাপমতো ডিজাইন দিয়ে ব্লাউজ বানিয়ে নেয়। যারা বানাতে চান না তারা রেডিমেড ব্লাউজ কিনতে পারেন। ঢাকার নিউ মার্কেট, বসুন্ধরা সিশিপিং মল, গাউছিয়া, আনারকলি মার্কেট, নুরজাহান মার্কেটসহ নানা জায়গায় রেডিমেড ব্লাউজ বিক্রি হয় এমন দোকান পাবেন। এ ছাড়া দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলোতে রেডিমেড ব্লাউজ পাবেন। এসব ব্লাউজ কিনে শুধু দুপাশ সেলাই করে নিতে হবে। অনলাইন শপ থেকেও নানা ধরনের কাস্টমাইজ ব্লাউজ কিনতে পারবেন। সাদামাটা এক রঙের ব্লাউজ কিনতে পারবেন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। আর নকশাদার ব্লাউজ কিনতে আপনার খরচ হবে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। টেইলারি শপ থেকে যদি কাপড় কিনে বানাতে চান তবে সেলাই খরচ হবে ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা।
অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আত্মিক বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। কিন্তু অধিকাংশ অভিভাবকই জানেন না কীভাবে শিশুকে শ্রদ্ধাবোধ শেখাতে হবে। লিখেছেন প্যারেন্টিং গবেষক শ্যামল আতিক
শিশুর শ্রদ্ধাবোধ শিক্ষার মূল গাঁথুনিটা শুরু হয় পরিবার থেকে। পরিবারে একে অন্যকে সম্মান করলে খুব সহজেই শিশুদের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। একটু খেয়াল করলে দেখবেন, পরিবারের সবাই আস্তে কথা বলে, সেখানে গৃহকর্মী থেকে শুরু করে ছোট শিশুও কোমল কণ্ঠে কথা বলে। আবার উল্টোটাও ঘটে। আসলে শিশুরা উপদেশ শুনে শিখে না, বরং দেখে শিখে। মা-বাবা যদি অন্যকে সম্মান করে, শিশুও অন্যকে সম্মান করতে শিখবে। আমরা যদি অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনি, অন্যের কথার মাঝখানে কথা না বলি তাহলে এই গুণ শিশুদের মধ্যে সঞ্চারিত হবে। বয়সে বড়দের যদি আপনি বলে সম্বোধন করি, শিশু এই গুণটি রপ্ত করবে।
তবে কিছু বিষয় শিশুকে স্পষ্ট করে বলতে হবে। যেমন সাক্ষাতে হাসিমুখে কুশল জিজ্ঞেস করা ও হাত মেলানো, বড়দের অগ্রাধিকার দেওয়া, মেহমান বাড়িতে এলে বসতে বলা, কাউকে কটু কথা না বলা এগুলো শিশুকে স্পষ্ট করে বলতে হবে। তার আগে জানতে হবে শিশু এ বিষয়গুলো বুঝে কি না? যদি না বুঝে তাহলে আপনি নিজে এগুলো চর্চা করুন, আপনাকে দেখেই শিশু শিখবে। যদি বুঝে, তাহলে তা তাকে বলতে পারেন। তবে কোনোভাবেই জোরজবরদস্তি, বকাবকি কিংবা প্রহার করা যাবে না। ছোট হলেও শিশুকে সম্মান করতে হয়। কারণ সম্মান পেলে শিশুর মধ্যে আত্মমর্যাদা ও আত্মসম্মানবোধ তৈরি হয়। শিশুও অন্যকে সম্মান করতে শিখে। তাই দেখা হলে শিশুকে সালাম অথবা অভিবাদন দিন। আপনার পক্ষ থেকে কোনো ভুল হলে শিশুকে দুঃখিত বলুন। শিশু কোনো সহযোগিতা করলে ‘ধন্যবাদ’ জানান। আস্তে আস্তে এই গুণ শিশুর মধ্যেও সঞ্চারিত হবে। শিশু ভুল করলে সবার সামনে তিরস্কার করা যাবে না। বিশেষ করে তার বন্ধুদের সামনে কোনোভাবেই নয়। যদি শাসন করতেই হয়, তা করতে হবে আড়ালে ডেকে। শিশুর ব্যক্তিগত ব্যাপারেও আমাদের শ্রদ্ধা করতে জানতে হবে। যেমন শিশুর ডায়েরি না পড়া, বাথরুমে ঢোকার আগে শিশুর অনুমতি নেওয়া ইত্যাদি।
এ ছাড়া শিশুর মধ্যে যদি অন্যকে সম্মান করার গুণ থাকে তা তাকে ধরিয়ে দিন। যখন সে কাউকে শ্রদ্ধা কিংবা সহযোগিতা করে, এর জন্য তাকে প্রশংসা করুন, মাঝেমধ্যে পুরস্কৃত করুন। এই গুণগুলো যে শিশুর মধ্যে আছে তা তাকে বারবার বলুন। যদি এই বিষয়গুলো পালন করতে পারেন, তাহলে আশা করা যায়, আপনার শিশু পারস্পরিক আদব ও অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার গুণ নিয়ে বেড়ে উঠবে।
অনেক দিন ধরেই নো মেকআপ লুকের ট্রেন্ড চলছে। এর বৈশিষ্ট্য হলো আপনি মেকআপ করবেন কিন্তু দেখে বোঝা যাবে না। লিখেছেন নাহার সুলতানা
কেমন মেকআপ
শ্যামলা ত্বক : যাদের গায়ের রং একটু চাপা, তারা ওয়াটার বেস ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। ত্বকের স্বাভাবিক রঙের কাছাকাছি যে ফাউন্ডেশন শেড, সেটিই বেছে নিন। তারপর কমপ্যাক্ট বা ফেস পাউডার দিন। দিনের বেলায় গাঢ় গোলাপি রঙ ও রাতের বেলায় ব্রোঞ্জ বা বার্গান্ডি রঙ ব্যবহার করে দেখতে পারেন। যদি রাতের পার্টি হয়, তাহলে গোল্ডেন শেড ট্রাই করতে পারেন। লিপস্টিক হিসেবে ওয়ার্ম রঙ কপার, ব্রোঞ্জ, গাঢ় লাল, বার্গান্ডি রঙ হতে পারে।
মিশ্র ত্বক : মেকআপ শুরুতে ত্বক পরিষ্কার করে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। তারপর ভিজে স্পঞ্জ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে কমপ্যাক্ট পাউডার লাগান। ঠোঁটের জন্য বোল্ড কালারের লিপস্টিক ভালো মানাবে। তবে বেবি পিংক এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
ফর্সা ত্বক : মেকআপ লাগানোর আগে মুখে ময়েশ্চারাইজার দিন। প্রয়োজনে কনসিলার লাগাতে পারেন। ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে না চাইলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যায়। গায়ের রঙ বেশি ফর্সা হলে হালকা পিংক শেডের ক্রিম ব্লাশন ব্যবহার করতে পারেন। কালোর পরিবর্তে ব্রাউন মাশকারাই ভালো হবে। মেটালিক আইশ্যাডো বা আইশ্যাডোর কোনো প্যাস্টেল শেড বা গোল্ডেন শিমারÑসবকিছুই ভালো লাগবে। লাল, গোলাপি রঙের কোনো নরম শেডের লিপস্টিকের সঙ্গে লিপগ্লস না দিয়ে ঠোঁটে গ্লস বা শিমার ব্যবহার করা ভালো।
যা করবেন না
ফাউন্ডেশন : মেকআপের ক্ষেত্রে বেসের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভুলেও বেস হিসেবে হেভি ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। ফাউন্ডেশনের বদলে বরং বিবি বা সিসি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো মেকআপ বেস হিসেবে বেশ হালকা, তাই ব্যবহারে ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ন্যাচারাল শেডের ফাউন্ডেশনেরও হালকা শেড ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের টোনের এক শেড ওপরেও হতে পারে।
কাজল বা আইলাইনার : চোখের মেকআপে কাজল বা আইলাইনার এমনভাবে ব্যবহার করেন যেন চোখের সাজ স্পষ্ট হয়ে পড়ে। তাই নো মেকআপ লুকে কাজল বা আইলাইনের ব্যবহার কখনোই করবেন না। বরং চোখে মাশকারা দিন। এতে চোখ বড় ও সুন্দর দেখাবে।
আইশ্যাডো : চোখের কোণে কালি ঢাকতে নিতান্তই যদি আইশ্যাডো লাগাতে হয় তাহলে লাইট ব্রাউন বা হালকা গোল্ডেন ভাব রয়েছে এমন আইশ্যাডো বেছে নিন।
ব্লাশ : ব্লাশের ব্যবহার ছাড়া কোনো মেকআপই সম্পূর্ণ হয় না। নো মেকআপ লুকে ব্লাশের ঠিকভাবে ব্যবহার জরুরি। এই মেকআপে লাইট পিঙ্ক লিপস্টিক কিংবা মুস ব্লাশ ব্যবহার করলে গালে একেবারে হালকা একটা টিন্ট লুক দিতে হবে। এর ফলে মেকআপ আকর্ষণীয় হবে।
ক্যানসার আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার পর বা যেকোনো ধরনের অস্ত্রোপচারের পর সেই রোগীদের নানান শারীরিক ও মানসিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এসব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অবশ্যই শারীরিক ও মানসিক যত্নের একান্ত প্রয়োজন। এ সময়ে যেসব খাবার খেতে পারবেন এবং যা খেতে পারবেন না জানালেন মানবিক সাহায্য সংস্থার স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মকর্তা নাজিয়া আফরিন
যেসব খাবার খাবেন না : ফ্রিজে রাখা খাবার এমন রোগীদের খাওয়া যাবে না। চিনিজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। যেসব খাবারে চিনির পরিমাণ বেশি কেক-পেস্ট্রি, কোল্ড ড্রিংকস তা এড়িয়ে চলাই ভালো। প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাবার খাওয়া যাবে না। যেমন : আচার, চাটনি, নোনা মাছ, জেলি, পাউরুটি, অধিক চিনি ও অধিক লবণযুক্ত খাবার। জাংক ফুড বা অতিরিক্ত ভাজাভুজি-জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্সফ্যাট থাকে। এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। শরীরের সরাসরি ক্ষতি করতে পারে এ ধরনের খাবার। যেমন: শিঙাড়া, সমুচা ও অতিরিক্ত মসলা-জাতীয় খাবার ক্ষতিকর। কিছু কিছু দুগ্ধজাত দ্রব্য খেলে রোগপ্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। এর মধ্যে রয়েছে মাখন, চিজের মতো বেশ কিছু খাবার। এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
যেকোনো ধরনের রেড মিড বা অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস শরীরের জন্য মারাত্মক খারাপ। তাই এই জাতীয় মাংস বাদ দিতে হবে। বারবিকিউ-জাতীয় খাবার, অর্থাৎ যেসব খাবার সরাসরি আগুনে পুড়িয়ে তৈরি করা হয় যেসব খাবার খাবেন না।
যা খেতে পারবেন : জাও ভাত বা নরম ভাতের সঙ্গে তেল-মসলা কম দিয়ে তৈরি তরকারি খেতে হবে। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় প্রোটিন ও আয়রন রাখা অপরিহার্য। তাই মুরগির মাংস, সামুদ্রিক মাছ, বিভিন্ন ধরনের ডাল, বিচিজাতীয় খাদ্য, ডিম, বাদামের মতো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন।বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিজ্জ তেল যেমন : অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, সূর্যমুখী তেলÑএসব খেলেও দ্রুত ত্বকের সৌন্দর্য ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
স্ট্রবেরি, ব্লু বেরি-জাতীয় ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। এ সময় শরীরে ভিটামিন, মিনারেল, আয়রনের অভাব দেখা যায়। তাই সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে।
হিমোগ্লোবিনের অভাব দেখা দেওয়ায় বিট রুটের শরবত বা সালাদ দেওয়া যেতে পারে। আনার বা ডালিমও খাওয়া যাবে। ফাইবার-জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-জাতীয় টক ফল রাখা লাগবে। যেমন : লেবু, জাম্বুরা, আমরা, আমলকী, আনারস ইত্যাদি মৌসুমি ফল। ভিটামিন-এ, ই খাবার বেশি করে খেতে হবে। যেমন : লাল, কমলা ফল ও সবজি এবং পালংশাক, লেটুসপাতা, ধনেপাতা, বিভিন্ন ধরনের বাদাম-জাতীয় খাবার। প্রতিদিন কয়েক কোয়া রসুন খাওয়া যেতে পারে। কেননা রসুন এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরের বিভিন্ন টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। বেশি করে পানি পান করা প্রয়োজন। এ ধরনের রোগীকে তরল-জাতীয় খাবার যেমন : টমেটো, ব্রোকলি, গাজর, ফুলকপি, মটরশুঁটি দিয়ে স্যুপ তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। কেননা তাদের মধ্যে ডিহাইড্রেশন ও নিদ্রাহীনতা থাকায় তরল পুষ্টিকর খাবারগুলো খাওয়া অত্যন্ত উপকার। এ ছাড়া গ্রিন-টি খেতে পারবে। দুধের বদলে সয়া দুধ খাওয়া যায়। এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। রোগপ্রতিরোধ শক্তিও বাড়িয়ে দেয়।
নিজের বিদায়ী ম্যাচ বলেই কিনা জ্বলে উঠলেন সার্জিও রামোস। শুরুতেই পেয়ে যান গোলের দেখা। কিলিয়ান এমবাপ্পে আছেন তার আগের মতোই। তিনিও ডাবল লিড এনে দেন। তবে বিদায়ী ম্যাচে নিষ্প্রভ রইলেন লিওনেল মেসি। তাতেই কিনা শুরুতেই এগিয়ে যাওয়া ম্যাচটি হার দিয়ে শেষ করেছে পিএসজি।
লিগ ওয়ানের শেষ ম্যাচে ক্লেরমো ফুতের সঙ্গে ৩-২ গোলে হেরে গেছে প্যারিসিয়ানরা। তাতে রাঙানোর বদলে বিষাদভরা বিদায় হলো মেসি-রামোসদের।
আগেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করা পিএসজি মৌসুমে নিজেদের এই শেষ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল। হুগো একিতেকে ও আশরাফ হাকিমিকে ফেরান কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের।
শুরুতে গুছিয়ে উঠতে সময় লেগেছে পিএসজির। প্রথম ১০ মিনিটের পর ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২১ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে গিয়েছিল ২-০ গোলে। রামোস ১৬ মিনিটে হেড থেকে এবং তার ৫ মিনিট পর কিলিয়ান এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে গোল করেন।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্লেরম ফুতের পাল্টা লড়াই শুরু করতে সময় নিয়েছে মাত্র ৩ মিনিট। ২৪ মিনিটে গোল করেন ক্লেরমঁর গাস্তিয়েন। এর প্রায় ১২ মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন ক্লেরমঁ স্ট্রাইকার কেয়ি। পরে অবশ্য ৬৩ মিনিটে তাঁর গোলেই জিতেছে ক্লেরমঁ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ক্লেরমঁর হয়ে সমতাসূচক গোলটি জেফানের।
বিরতির পর গোলের দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। ৫৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে এমবাপ্পে ঢুকে পড়েন ক্লেরমঁর বিপদসীমায়। তাঁর ক্রস পেয়ে যান ডান প্রান্ত দিয়ে দৌড় বক্সে ঢোকা মেসি। সামনে গোলকিপার একা, কিন্তু মেসি অবিশ্বাস্যভাবে বলটা পোস্টের ওপর দিয়ে মারেন।
সতীর্থ গোলকিপার সের্হিও রিকোর সুস্থতা কামনা করে বিশেষ জার্সি পরে মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন মেসি-এমবাপ্পেরা। ঘোড়ায় চড়তে গিয়ে দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন রিকো। ম্যাচে বিশেষ জার্সি পরে খেলেছে পিএসজি। মেসি-রামোসদের জার্সির পেছনে রিকোর নাম লেখা ছিল।
৩৮ ম্যাচে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে মৌসুম শেষ করল পিএসজি। ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লেঁস। তৃতীয় মার্শেইয়ের সংগ্রহ ৭৩ পয়েন্ট। ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে ইউরোপা লিগ নিশ্চিত করা রেঁনে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩ ধরনের জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর থেকে বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে সরকার। অন্যদিকে উৎপাদন পর্যায়ে তরল করা পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল আমদানিতে প্রতি লিটারে ১৩ দশমিক ৭৫ টাকা করে শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া অন্যান্য জ্বালানি জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েল, লুব বেইজ অয়েল, কেরোসিনের ক্ষেত্রে প্রতি টনে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এত দিন এসব জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল।
আমদানি করা পণ্যের যথাযথ মূল্য নির্ধারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্যের ট্যারিফ মূল্য ও ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাত দুটি হেডিংয়ের আওতায় ১২টি এইচএস কোডের বিপরীতে ট্যারিফ মূল্য এবং একটি হেডিংয়ের আওতায় একটি এইচএস কোডের বিপরীতে ন্যূনতম মূল্য বহাল আছে।
পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাতগুলোর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করার কারণে অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
এলপিজি সিলিন্ডারের বিষয়ে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার তৈরির কাঁচামাল ইস্পাতের পাত (স্টিল শিট) ও ওয়েল্ডিংয়ের তার আমদানির করছাড় সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনকারীরা কাঁচামালে শুল্ককর ছাড় ১২ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। তাই রাজস্ব আহরণের স্বার্থে শুধু দুটি উপকরণে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য করছাড়ের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে।
পেট্রোলিয়াম তেল এবং বিটুমিনাস খনিজ থেকে প্রাপ্ত তেলের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশ। নতুন বাজেট অনুযায়ী এসবের প্রতি ব্যারেলের দাম ১ হাজার ১১৭ টাকা (লিটার প্রতি ৭.০২ টাকা) হতে পারে। প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের সুনির্দিষ্ট শুল্ক ৯ হাজার ১০৮ টাকা (লিটার প্রতি ৯.১০ টাকা) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।