
বাইরে বের হলে কমবেশি সানবার্ন হতে পারে। সানবার্ন দূর করতে কী করবেন জানালেন বিউটিবক্সের রূপবিশেষজ্ঞ রোকসানা আনজুম
সূর্যের তাপে আমাদের ত্বকের এপিডার্মিস লেয়ারে মেলানোসাইট সেলস ট্রিগার হয়ে যায়। যার ফলে স্কিনে এক্সেস মেলানিন তৈরি হয়। এ কারণে তখন ত্বকের উপরিভাগে তামাটে দাগ দেখা যায়, যাকে সানট্যান বলে। শুধু বাইরে গেলেই না, নিয়মিত ত্বকের যত্নে সানস্ক্রিন দিতে হবে। দিনের বেলা বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন দিতে হবে। এমনকি বাসায় থাকলে বা মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন দিতে ভুল করা যাবে না। তারপরও নানা কারণে সানবার্ন হতে পারে।
আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এসপিএস ৫০+ এর ওপর আছে এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। বাইরে দীর্ঘসময় থাকলে চার ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন দিতে হবে। নয়তো কার্যকারিতা থাকবে না। সানট্যান দূর করতে ফেসমাস্ক খুব কার্যকর।
ফেসমাস্ক : ১
চন্দন, অরেঞ্জ পিল পাউডার, টারমারিক, শঙ্খ গুঁড়ো, মুলতানি মাটি খুবই ভালো কাজ করে। এই উপাদান সমপরিমাণ মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন। চন্দন কালো দাগ দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে অল্প সময়েই। অরেঞ্জ পিল পাউডার ত্বকের মরা চামড়া দূর করে ইনস্ট্যান্ট গ্লো এনে দেয়। ওয়াইল্ড টারমারিক রেডনেস, ইচিনেস, একনে, র্যাশ কমাতে সাহায্য করে। শঙ্খগুঁড়ো স্কিন হোয়াইটেনিং, অ্যান্টি এজিং ও হিলিং প্রোপারটিজ কমায়। মুলতানি মাটি ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
৪ টেবিল চামচ ব্রাইটেনিং মাস্কের সঙ্গে পরিমাণমতো গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার গলায়, হাতে, ফেইসে মানে ট্যানড এরিয়াতে ভালোভাবে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। গোলাপজল ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। সানট্যান দূর করতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই মাস্ক ব্যবহার করুন। দ্রুতই ত্বক উজ্জ্বল, কোমল ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
ফেসমাস্ক : ২
ডার্ক স্পটস, সানট্যান আর নির্জীব ত্বকের জন্য উপটান ব্যবহার করতে পারেন। এতে আছে বিভিন্ন হার্বস-এর অসাধারণ ব্লেন্ডিং, যা অল্প সময়েই সানট্যান ও স্পটস দূর করে স্কিনের হেলদি গ্লো ফিরিয়ে আনে। মুলতানি মাটি, রোজ পেটাল আর যষ্টিমধু- বলিরেখা দূর করে এবং ত্বক পরিষ্কার করে। নিম, চন্দন, হলুদ- একনে ও একনে স্পটস দূর করে। চালেরগুঁড়ো ও অরেঞ্জ পিল পাউডার- সানট্যান ও পিগমেন্টেশন দূর করে। তিনটি উপাদান সমপরিমাণ মিশিয়ে উপটান তৈরি করে নিন।
৪ টেবিল চামচ এই অর্গানিক উপটানের সঙ্গে ৩ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মুখ, গলা, হাতে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে নরম অনুভূতি এনে দেয় এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে।
এক্সফোলিয়েশন
ত্বকের উপরিভাগে যে পিগমেন্টেড মরা চামড়া থাকে সেগুলো দূর করা যায় এক্সফোলিয়েশন বা স্ক্রাবিংয়ের মাধ্যমে। স্ক্রাব ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে, পোরস থেকে ইমপিওরিটিস বের আনে। যার কারণে ত্বক বেশ উজ্জ¦ল, সতেজ ও ফ্রেশ দেখায়। মুখের ত্বকের জন্য মাইল্ড বিডসযুক্ত স্ক্রাব বেছে নিন । হাত-পায়ের জন্য আলাদা বডি স্ক্রাব পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে ১ দিন স্ক্রাবিং ব্যবহার করলেই হবে।
নুডলস খেতে যখন একঘেয়ে লাগে তখন নুডলস দিয়ে তৈরি করতে পারেন ভিন্ন স্বাদের নাশতা। রেসিপি দিয়েছেন উম্মাহ মোস্তফা
কাটলেট
উপকরণ
নুডলস নরম করে সেদ্ধ করা আধা প্যাকেট, কোরাল মাছের কিমা ১ কাপ, পাপরিকা ১ চা চামচ, গোলমরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ, লেবুর জেস্ট আধা চা চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, ডিম ২টি, ব্রেডক্রাম আধা কাপ, তেল আধা কাপ, লবণ ১ চা চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. তেল, ব্রেডক্রাম আর ডিম বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মাখিয়ে ৩০ মিনিট মেরিনেট করে রেখে দিন।
২. মেরিনেট শেষে কাটলেটের আকারে করে সেটাকে ডিমে ডুবিয়ে, ব্রেডক্রামে গড়িয়ে আরও ১০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন।
৩. ফ্রাইপ্যানে অল্প তেলে অল্প আঁচে হালকা করে ভেজে পরিবেশন করুন।
ফিঙ্গার
উপকরণ
নুডলস আধা প্যাকেট, পাউরুটি ২ পিস, গোলমরিচ আধা চা চামচ, লবণ আধা চা চামচ, ডিম ১টি, ব্রেডক্রাম আধা কাপ, তেল আধা কাপ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. নুডলস, পাউরুটি, গোলমরিচ, লবণ একসঙ্গে মাখিয়ে আঙুলের মতন আকার করে নিন।
২. বানানো ফিঙ্গার ডিমে ডুবিয়ে, ব্রেডক্রামে গড়িয়ে আরও ১০ মিনিট ফ্রিজে রাখুন।
৩. এবার ফ্রাইপ্যানের অল্প তেলে লালচে করে ভেজে পরিবেশন করুন।
মম
উপকরণ
পুরের জন্য : নুডলস সেদ্ধ সিকি কাপ, সেদ্ধ কিমা সিকি কাপ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, গোলমরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ।
বাইরের সেলের জন্য : ময়দা আধা কাপ, লবণ আধা চা চামচ, পানি সিকি কাপ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. ময়ান বানিয়ে ছোট ছোট গোলা করে রুটি বানিয়ে নিন।
২. তৈরি করে রাখা পুর অল্প পরিমাণে রুটির মধ্যে দিয়ে কলসির মতন করে মম বানান।
৩. চুলার মাঝারি আঁচ রেখে ভাপে ১০ মিনিট সেদ্ধ করে নামিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন।
ঝাঁপ ভাপা পিঠা
উপকরণ
নুডলস সেদ্ধ করে নরম করা ১ প্যাকেট, সুজি আধা কাপ, টক দই সিকি কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১টি, হলুদের গুঁড়ো ১ চিমটি, লবণ ১ চা চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. সব উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মেখে নিন।
২. এবার ভাপা পিঠার ছাঁচে দিয়ে চুলার মাঝারি আঁচ রেখে ভাপে ১০ মিনিট সেদ্ধ করে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
গলায়, হাতে, কানে গহনা হিসেবে পছন্দমতো যেকোনো ফুলই ব্যবহার করতে পারেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে ফুলের ‘হেডব্যান্ড’। এটি পরতে পারেন এবারও। চাইলে এক ধরনের ফুল দিয়েই পূর্ণ করতে পারেন আপনার সাজ। আবার মানানসই একাধিক ফুলের সমন্বয়ও করতে পারেন। যে সাজে আপনি নিজে স্বচ্ছন্দ, সে সাজেই আপনি সুন্দর। এমনটাই জানালেন রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি। পোশাকের বেলাতেও ঠিক তাই। শাড়ি যেমন বাঙালি উৎসবের জন্য যথার্থ, তেমনি কুর্তা, স্কার্ট, সারারা, এমনকি জিনস-টপসের মতো যেকোনো পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গেও ফুলের সাজ মানানসই, যদি আপনি তাতে স্বচ্ছন্দ হন।
রূপবিশেষজ্ঞ ফারহানা রুমি বলেন, ‘বসন্ত মানেই রঙের ছড়াছড়ি। বাঙালি নারীর ঐতিহ্যবাহী সাজে খোঁপায় গাঁদা ফুল, সঙ্গে লাল টিপ কপালে। রঙিন ফুলের সাজে বসন্তের আমেজ। চুল খোলা রাখলেও এক পাশে ফুল দেওয়া হয়। চুলের জন্য বড় আকারের ফুল বেছে নিলে একটা ফুলই থাক, অন্য গহনাও একটু হালকাই হোক। ফুল ছোট আকারের হলে অবশ্য একাধিক ফুল নেওয়া যায়। ফুলের ফাল্গুনে কতই না ফুল। সতেজ, রঙিন সব ফুল। একটু লম্বা সময় পর্যন্ত সতেজ থাকে গোলাপ, গাঁদা, কাঠগোলাপ, গ্লাডিওলাস, বেবি’স ব্রেথ, জিপসি, প্যান্সি, হাইড্রেনজিয়া, বেলি, চায়না বেলি, ক্রিসেন্থিমাম, জারবেরা, অর্কিড, ডালিয়া, ডেইজি, বেগুনি ফুল। পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে যেমন ফুলের রঙ বেছে নেওয়া যায়, তেমনি রঙের বৈপরীত্যও আনা যেতে পারে। হয়তো আপনি বাসন্তী শাড়ি পরছেন, এর সঙ্গে নিলেন বাহারি রঙের ফুল। চাইলে কিন্তু ওই শাড়ির সঙ্গেই মেরুন বা সাদা বা একেবারে বাসন্তী রঙের ফুলও বেছে নিতে পারেন।
দরজায় কড়া নাড়ছে ঋতুরাজ বসন্ত। সপ্তাহ পেরোলেই তার আগমন। প্রকৃতিতে বসন্ত বাতাসের আভাস। উৎসবপ্রিয় মানুষের মধ্যেও চলছে নতুন সাজ-পোশাকের প্রস্তুতি। এ উৎসবের সাজ-পোশাক নিয়ে লিখেছেন মোহসীনা লাইজু
পোশাকে রঙ আর প্রকৃতি
উৎসব পার্বণগুলোতে প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে দেশীয় পোশাক। কামিজ, কুর্তা, ফ্রক, শাড়ি, টি-শার্ট ও পাঞ্জাবিÑসবকিছুতেই থাকে উৎসবের রঙ ও নকশা। দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলোর পোশাকে রং আর ডিজাইনে নতুনত্ব পাবেন। বেশির ভাগ ফ্যাশন হাউজই বসন্তের পোশাকে উজ্জ্বল রঙের নানা শেড প্রাধান্য দিয়েছে। আয়োজনে আছে শাড়ি, কামিজ, কুর্তা, লং শার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, থ্রি-পিস, টি-শার্ট, শার্ট ইত্যাদি। পোশাকের নকশায় কাটিং প্যাটার্ন যেমন গুরুত্ব পেয়েছে, তেমনি ভ্যালু অ্যাডেড হিসেবে ব্লক, টাইডাই, স্প্রে ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, কারচুপি থাকছে। চিরায়ত বাসন্তী ও হলুদ রঙের সঙ্গে কমলা, লাল এবং সবুজ রঙের নানা শেড যোগ হয়েছে। তবে বিশেষত্ব কেড়েছে কোনো কোনো ফ্যাশন হাউজের পোশাক আর শাড়িতে হলুদ ও সাদার মেলবন্ধন জুড়ে দিয়ে।
মিষ্টি ফাগুনের হাওয়ার সঙ্গে হালকা গরমেরও ছোঁয়া থাকে। তাই সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লিলেন, খাদি, ভয়েল এবং তাঁতও আছে। বসন্তের পোশাকের ডিজাইনে ফ্লোরাল মোটিফের পাশাপাশি প্রকৃতির বিভিন্ন মোটিফও দেখা যাচ্ছে। পোশাকের মধ্যে বিশেষত্ব কেড়েছে সিঙ্গেল কামিজ ও কুর্তা। কামিজের নেক ও নি-লেন্থের নানা ধরনের নকশা যোগ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে স্ক্রিনপ্রিন্টের নানা নিরীক্ষা। কুর্তা আর টপে লেয়ার, কটি, ফ্লিল ও বাটন দিয়ে নতুনত্ব আনা হয়েছে।
ছেলেদের বসন্তের পাঞ্জাবিতে উইভিং কাপড়ের নকশাও বেশি। আছে বিভিন্ন রঙ মিশিয়ে তৈরি কটি। তাগা আউটলেটে আছে বিভিন্ন রঙের পাঞ্জাবি ও নানা রঙের কটি। পাঞ্জাবির বাইরে অনেক ধরনের টি-শার্টও আছে। টি-শার্টের নকশায় প্রাধান্য পেয়েছে বসন্তের মোটিফ। অনেকে ফুল শার্টও পরেন। তাদের জন্য আছে হলুদের নানা শেডের ওপর ফ্লোরাল মোটিফ। আছে সুতির স্ক্রিনপ্রিন্টের হাফ শার্টও।
বসন্তের পোশাক নিয়ে অঞ্জন’স-এর স্বত্বাধিকারী শাহিন আহম্মেদ জানান, ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, শার্ট ও কটি আর মেয়েদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, টপস নিয়ে অঞ্জন’স এবারের বসন্ত আয়োজন করেছে। থিম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ফ্লোরাল ও জ্যামিতিক মোটিফ। হলুদ, কমলা, বাসন্তী, জলপাই ও সবুজ রঙ বেশি প্রাধান্য পেয়েছে এবারের বসন্তের আয়োজনে। ডিজাইনে বৈচিত্র্যের পাশাপাশি পোশাকে উজ্জ্বল রঙ প্রাধান্য পেয়েছে। কাপড় হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে কটন, ভয়েল ও লিলেন কটন।
ফাল্গুনের পোশাক নিয়ে ফ্যাশন হাউজ বিশ্ব রঙ-এর স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার বিপ্লব সাহা বলেন, গোল্ডেন হলুদ, কাঁচা হলুদ, কমলা, গেরুয়া, ম্যাজেন্টার সঙ্গে আরও সহকারী হিসেবে গাজর, কমলা, টিয়া, সবুজ, নেভি ব্লু ও ফিরোজা রঙকে প্রাধান্য দিয়েছি। ফ্লোরাল মোটিফেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সুতি, লিলেন, অ্যান্ডি সিল্ক, হাফ সিল্ক কাপড়ে পোশাকের নকশাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানা ভ্যালু অ্যাডেড মিডিয়ার ব্যবহারে। এর মধ্যে রয়েছে ব্লকপ্রিন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট, হাতের কাজ, কারচুপি ইত্যাদি। মেয়েদের পোশাকের তালিকায় আছে শাড়ি, থ্রি-পিস, সিঙ্গেল কামিজ, টপস সেট, স্কার্ট, আনস্টিচ ড্রেস, পালাজ্জো, সিঙ্গেল ওড়না ও ব্লাউজ। ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট ও কাতুয়া। বড়দের মতো ছোটদের পোশাকও রয়েছে। উৎসবের পরিপূর্ণতা দিতে পাবেন যুগল আর পরিবারের সবার জন্য একই থিমের পোশাক।
দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলো এ বছরও নানা রঙ, ডিজাইন আর মোটিফ নিয়ে বৈচিত্র্যময় পোশাকের আয়োজন করেছে। বিশ্ব রঙ, ইনফিনিটি, আড়ং, অঞ্জন’স, রঙ বাংলাদেশ, বিবিয়ানা, কে-ক্র্যাফট, বাংলার মেলা, দেশাল ও নিপুণে পেয়ে যাবেন পছন্দের ফাল্গুনের পোশাক। অনলাইন শপ থেকে ফাল্গুনের শাড়ি ও সালোয়ার কামিজ ও কুর্তাও কিনতে পারেন।
সাজে বর্ণিলতা
ফাল্গুনের কোন পোশাকে কেমন সাজবেন জানালেন বিউটি এক্সপার্ট মাসুদ খান, দিনের মেকআপ হালকা হবে। মেকআপের আগে মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। সানস্ক্রিন এবং ময়েশ্চারাইজার দিন। এরপর প্রাইমার লাগান। ফাউন্ডেশনের আগে প্রাইমার অবশ্যই লাগাতে হবে। প্রাইমার সাধারণত আপনার সারা দিনের মেকআপকে ধরে রাখতে সাহায্য করবে। ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন বেছে নিন। হালকা মেকআপের জন্য অল্প ফাউন্ডেশনই যথেষ্ট। সারা দিন বেশি ফ্রেশ দেখাতে সাহায্য করবে ক্রিম হাইলাইটিং ব্যবহার করলে। আপনার স্কিন শেডের থেকে দু-তিন শেড লাইট কনসিলার দিয়ে করে নিন ক্রিম হাইলাইটিং। কনসিলার চোখের নিচে, কপালে, নাকের ওপর, থুতনিতে লাগিয়ে নিন এবং ব্লেন্ড করে ফেলুন। কনসিলার অবশ্যই পাউডার দিয়ে সেট করে নিন। এবার পুরো মুখ ফেসপাউডার দিয়ে ব্লাশার করুন। চোখের সাজে খেয়াল রাখুন যেন চোখের মেকআপেও স্নিগ্ধভাব ফুটে ওঠে। সেটা হিসাব করেই আইশ্যাডো লাগাবেন। কোরাল, পিচ, কমলা, হলুদ, গোল্ডেন, কপার, লাইট ব্রাউন, লাইট পিংক, লাইট পার্পল, প্যারট গ্রিন কালারগুলো খুব ভালো মানাবে পহেলা ফাল্গুনে। বিশেষ করে পোশাকের সঙ্গে ম্যাচ করে দিন। আইশ্যাডো দেওয়ার পর টানা করে আইলাইনার লাগাবেন। আপনি চাইলে ব্ল্যাক বা ভিন্ন কালারের কাজল এবং লাইনার ব্যবহার করতে পারেন। এটা আই মেকআপে নতুন রূপ নিয়ে আসবে। চোখে আইল্যাশ না পরে মাশকারা লাগিয়ে নিন। লিপস্টিক হিসেবে হালকা রঙগুলোই পারফেক্ট মনে হয়। লাইট পিংক, ব্রাউন বা পিংক, অরেঞ্জ, পিচ, কোরাল ইত্যাদি কালারগুলো বেশ ভালো লাগবে দেখতে। আইশ্যাডো যে কালারে দিয়েছেন সেই কালারের লিপস্টিক দিতে পারেন। কপালে ছোট গোল টিপ দিন।
চুল বাঁধতে অনীহা থাকলে ভাবনার কিছু নেই। প্রথমে চুল ভালো করে শুকিয়ে নিন। এরপর ব্লো-ডাই করুন। চাইলে চুল স্ট্রেইট কিংবা কার্লিও করে নিতে পারেন। অনেকে হয়তো ভাবেন, চুলটা ছেড়ে রাখবেন ঠিকই; কিন্তু সামনে একটু বাঁধা তো থাকতেই পারে। তারা প্রথমেই ঠিক করুন চুলের স্টাইল কী হবে। মাঝে বা কিনারে সিঁথি করে কপালের সামনের দুই পাশের চুল টুইস্ট করে পেঁচিয়ে ক্লিপ দিয়ে কানের পাশে আটকে দিতে পারেন। পেছনের চুলটা ছেড়ে রাখুন। এই সাজে চুলে ফুলের ব্যান্ড যেমন মানানসই, তেমনি কানের একপাশে দু-তিনটি গাঁদা বা জারবেরা গুঁজে দিলেও বেশ লাগবে। বসন্তের সাজে বেণিরও জুড়ি নেই। দুই পাশের চুল টুইস্ট করে পেঁচিয়ে ক্লিপ দিয়ে কানের পাশে আটকে দিতে পারেন। আবার সামনের সব চুলকে অনেকগুলো ভাগ করে অল্প চুল নিয়ে টুইস্ট করে পাফ করা চুলের ওপর দিয়ে মাথার একেবারে পেছনে আটকে দিন। টুইস্ট করতে না চাইলে পাশে সিঁথি করে স্প্রে দিয়ে চুলটা একটু গুছিয়ে কানের দুই পাশে আটকে দিতে পারেন। সামনের সাজ শেষে এবার বেণির পালা। পেছনের চুল ভালো করে আঁচড়ে খেজুর বেণি করুন। চুল ছোট হলে মন খারাপ করবেন না। টারসেল ব্যবহার করুন বেণিতে। এবার পছন্দসই গাঁদা ফুলের মালা বেণিতে লাগিয়ে দিন। সামনের কার্লি চুলগুলো ইচ্ছেমতো সিঁথি করে দুই পাশে এলোমেলো করে ফেলে রাখুন। এবার পেছনের চুলে একটা হাতখোঁপা করুন। আরেকটু ভিন্নতা আনতে কানের একপাশ দিয়ে খোঁপার কিছু চুল বের করে দিন। সামনের চুল কার্ল করতে না চাইলে টুইস্ট করে পছন্দমতো স্টাইল করতে পারেন। খোঁপার একপাশে বড় ফুল গুঁজে দিন। গাঁদা বা বেলি ফুলের মালা দিয়েও জড়িয়ে নিতে পারেন খোঁপা।
মডেল : এফা তাবাসসুম
সাজ : শোভন মেকওভার
পোশাক : অঞ্জন’স
গহনা : এজেড গ্যালারি
ছবি : আবুল কালাম আজাদ
টেস্ট ক্রিকেটে সিলেটের পথচলা শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। অভিজাত সংস্করণে যা ছিল দেশের অষ্টম ভেন্যু। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে পা রাখে দেশের সবচেয়ে সুন্দর এই স্টেডিয়ামটি। তবে মাঠের অভিষেক ম্যাচেই হেরে যায় বাংলাদেশ। তারপর আর কোনো পাঁচ দিনের খেলা গড়ায়নি এই মাঠে। এ নিয়ে স্থানীয়দের আক্ষেপের শেষ নেই।
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর ফুরাচ্ছে। পাঁচ বছর পর আবারও টেস্ট ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট আয়োজন করতে পারব বলে আশা করছি। এটি আমাদের জন্য খুব একটি উপলক্ষ হবে। কারণ পাঁচ বছর পর সিলেটের মাঠে টেস্ট ক্রিকেট ফিরবে।’
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতিনিধি দল সিলেট সফর করেছে। তারা সেখানকার মাঠসহ সব সুযোগ সুবিধা পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়ে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সবকিছু দেখে তারা এখানে আরও বেশি ম্যাচ আয়োজনের জন্য উন্মুখ বলে জানিয়েছেন বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান নাদেল।
তিনি যোগ করেছেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতিনিধি দল আমাদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেশ মুগ্ধ। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে আমরা তাদের সব প্রত্যাশা ও প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারব।’
এফটিপি সূচি অনুযায়ী চলতি বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজে খেলার কথা নিউজিল্যান্ডের। তবে সিরিজটি হবে দুই ভাগে। প্রথম ভাগে সেপ্টেম্বরের শেষভাগে বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়ানডে খেলবে কিউইরা। এই সিরিজ খেলেই বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে দুই দল।
বিশ্বকাপের পর হবে দুই দলের টেস্ট সিরিজ। নভেম্বরের শেষ দিকে আবারও বাংলাদেশে আসবে কিউইরা। বিসিবি প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী ২১ নভেম্বর ঢাকায় পা রাখার কথা সফরকারীদের। এরপর একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে দলটি। ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্ট।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখতে কুমিল্লায় উড়ে গেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়েছে ম্যাচটি। সালাউদ্দিন ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা খানেক আগে কুমিল্লায় পৌঁছান।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় পাড়ি দিতে মাত্র দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তবে সালাউদ্দিন দূরত্বটা পাড়ি দিয়েছেন হেলিকপ্টারে করে। যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
টাকার অভাবে কদিন আগে নারী ফুটবলারদের অলিম্পিক বাছাইয়ে পাঠায়নি বাফুফে। অথচ ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যেতে বাফুফে সভাপতি বেছে নিলেন হেলিকপ্টার।
হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে কুমিল্লার এই যাত্রায় বাফুফে সভাপতির সঙ্গী হয়েছেন সংস্থার নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।