এবার ফাইজারের দাবি, তাদের টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর
অনলাইন ডেস্ক | ১৮ নভেম্বর, ২০২০ ২০:৩৪
এবার ফাইজারের করোনা প্রতিরোধী টিকা ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে। এর আগে টিকাটির কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ বলে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল।
নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, এ ঘোষণার মধ্যে দিয়ে করোনা প্রতিরোধী টিকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে গেল ফাইজার। যৌথভাবে এ টিকা তৈরিতে কাজ করছে জার্মান জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক।
বুধবার ফাইজার দাবি করেন, তাদের তৈরি টিকাটি করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা বয়োজ্যেষ্ঠদের ক্ষেত্রে ৯৪ শতাংশ কার্যকর।
১৭০ জন স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর প্রয়োগ করে টিকাটি ৯৫ শতাংশ কার্যকরি দেখা গেছে এবং এটি বেশ সুরক্ষাজনক হিসেবে ফল পাওয়া গেছে।
বিশ্বজুড়ে ৪৩ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবকদের দুই ডোজ করে এ টিকা দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত এ টিকায় উল্লেখযোগ্য কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা এক বিবৃতিতে বলেন, নতুন এই ফলাফল তাদের টিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় আট মাসের যাত্রার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তারা এমন একটি টিকা তৈরি প্রক্রিয়ায় আছেন, যা ভয়াবহ করোনা মহামারি ঠেকাতে কার্যকর হবে।
প্রস্তুতকারকেরা জানায়, অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে এই টিকা অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে আবেদনের পরিকল্পনা করছে তারা।
নিয়ন্ত্রণ সংস্থাদের ঘোষণা অনুসারে, কোনো ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৫০ শতাংশ হলেই সেটির অনুমোদন দিয়ে দেয়া হবে।
৯ নভেম্বর ফাইজার জানিয়েছিল, তাদের টিকাটি ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। তবে সেই টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পরিবহন ও সংরক্ষণ করতে হবে।
গত সোমবার আরেক মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মডার্না জানায়, তাদের তৈরি টিকা করোনা প্রতিরোধে ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকর।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৮ নভেম্বর, ২০২০ ২০:৩৪
এবার ফাইজারের করোনা প্রতিরোধী টিকা ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে। এর আগে টিকাটির কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ বলে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল।
নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, এ ঘোষণার মধ্যে দিয়ে করোনা প্রতিরোধী টিকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে গেল ফাইজার। যৌথভাবে এ টিকা তৈরিতে কাজ করছে জার্মান জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক।
বুধবার ফাইজার দাবি করেন, তাদের তৈরি টিকাটি করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা বয়োজ্যেষ্ঠদের ক্ষেত্রে ৯৪ শতাংশ কার্যকর।
১৭০ জন স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর প্রয়োগ করে টিকাটি ৯৫ শতাংশ কার্যকরি দেখা গেছে এবং এটি বেশ সুরক্ষাজনক হিসেবে ফল পাওয়া গেছে।
বিশ্বজুড়ে ৪৩ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবকদের দুই ডোজ করে এ টিকা দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত এ টিকায় উল্লেখযোগ্য কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা এক বিবৃতিতে বলেন, নতুন এই ফলাফল তাদের টিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় আট মাসের যাত্রার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তারা এমন একটি টিকা তৈরি প্রক্রিয়ায় আছেন, যা ভয়াবহ করোনা মহামারি ঠেকাতে কার্যকর হবে।
প্রস্তুতকারকেরা জানায়, অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে এই টিকা অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে আবেদনের পরিকল্পনা করছে তারা।
নিয়ন্ত্রণ সংস্থাদের ঘোষণা অনুসারে, কোনো ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৫০ শতাংশ হলেই সেটির অনুমোদন দিয়ে দেয়া হবে।
৯ নভেম্বর ফাইজার জানিয়েছিল, তাদের টিকাটি ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। তবে সেই টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পরিবহন ও সংরক্ষণ করতে হবে।
গত সোমবার আরেক মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মডার্না জানায়, তাদের তৈরি টিকা করোনা প্রতিরোধে ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকর।