নতুন থেরাপিতে প্যারালাইজড ইঁদুর হাঁটালেন বিজ্ঞানীরা
অনলাইন ডেস্ক | ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১২:০৩
নতুন একটি জিন থেরাপিতে প্যারালাইজড ইঁদুরদের আবার হাঁটাতে সক্ষম হয়েছেন জার্মানির বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, আরও গবেষণার পর এই থেরাপি মানুষের জন্য উপযোগী করতে চান।
রুহর ইউনিভার্সিটি বোখমের বিজ্ঞানীদের উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, গবেষকেরা এক প্রকার প্রোটিন ইঁদুরের শরীরে ইনজেকট করে ক্ষতিগ্রস্ত স্পাইনাল কর্ড সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রোটিন ব্রেনে দেয়ার পর প্যারালাইজড ইঁদুর, যাদের পেছনের পা অবশ ছিল দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর তারা ফের হাঁটতে পেরেছে।
বিজ্ঞানীরা ‘হাইপার- ইন্টারলিউকিন-৬’ নামের একটি প্রোটিন তৈরি করেছেন, যা ক্ষতিগ্রস্ত নার্ভ সেলের পুনর্জন্মকে উদ্দীপ্ত করতে পারে।
এটা জেনেটিক্যালি প্রস্তুত করা হয়েছে, কারণ এই ধরনের প্রোটিন প্রাকৃতিকভাবে হয় না।
একই সঙ্গে বিজ্ঞানীরা জেনেটিক্যালি একটি ভাইরাস প্রস্তুত করেছেন, যেটা ক্ষতিগ্রস্ত সেলে প্রতিচিত্র বহন করতে পারে।
এই ভাইরাস ইনজেকট করা হলে বহনকৃত প্রতিচিত্র শেয়ার করে। এরপর ইঁদুরের শরীরে প্রোটিনটি তৈরি হয়।
এর মানে হল ইঁদুরগুলো নার্ভের পুনর্জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছে, যা ব্রেন থেকে স্পাইনাল কর্ডে সংকেত পৌঁছায়।
যেসব ইঁদুর অতি সম্প্রতি প্যারালাইজড হয়েছে, তাদের ওপর এই গবেষণা করা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে প্যারালাইজড হওয়া ইঁদুরের শরীরে এই প্রোটিন কাজ করে কি না, সেটি এখন পরীক্ষা করছেন বিজ্ঞানীরা।
এরপরই বোঝা যাবে মানুষের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা সম্ভব কি না।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১২:০৩

নতুন একটি জিন থেরাপিতে প্যারালাইজড ইঁদুরদের আবার হাঁটাতে সক্ষম হয়েছেন জার্মানির বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, আরও গবেষণার পর এই থেরাপি মানুষের জন্য উপযোগী করতে চান।
রুহর ইউনিভার্সিটি বোখমের বিজ্ঞানীদের উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, গবেষকেরা এক প্রকার প্রোটিন ইঁদুরের শরীরে ইনজেকট করে ক্ষতিগ্রস্ত স্পাইনাল কর্ড সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রোটিন ব্রেনে দেয়ার পর প্যারালাইজড ইঁদুর, যাদের পেছনের পা অবশ ছিল দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর তারা ফের হাঁটতে পেরেছে।
বিজ্ঞানীরা ‘হাইপার- ইন্টারলিউকিন-৬’ নামের একটি প্রোটিন তৈরি করেছেন, যা ক্ষতিগ্রস্ত নার্ভ সেলের পুনর্জন্মকে উদ্দীপ্ত করতে পারে।
এটা জেনেটিক্যালি প্রস্তুত করা হয়েছে, কারণ এই ধরনের প্রোটিন প্রাকৃতিকভাবে হয় না।
একই সঙ্গে বিজ্ঞানীরা জেনেটিক্যালি একটি ভাইরাস প্রস্তুত করেছেন, যেটা ক্ষতিগ্রস্ত সেলে প্রতিচিত্র বহন করতে পারে।
এই ভাইরাস ইনজেকট করা হলে বহনকৃত প্রতিচিত্র শেয়ার করে। এরপর ইঁদুরের শরীরে প্রোটিনটি তৈরি হয়।
এর মানে হল ইঁদুরগুলো নার্ভের পুনর্জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছে, যা ব্রেন থেকে স্পাইনাল কর্ডে সংকেত পৌঁছায়।
যেসব ইঁদুর অতি সম্প্রতি প্যারালাইজড হয়েছে, তাদের ওপর এই গবেষণা করা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে প্যারালাইজড হওয়া ইঁদুরের শরীরে এই প্রোটিন কাজ করে কি না, সেটি এখন পরীক্ষা করছেন বিজ্ঞানীরা।
এরপরই বোঝা যাবে মানুষের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা সম্ভব কি না।