শিশুদের ওপর করোনা টিকার পরীক্ষা চালাবে অক্সফোর্ড
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৬:৪৫
শিশুদের ওপর করোনার টিকা কতটা কার্যকরী, তার পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে উদ্ভাবিত করোনার টিকা শিশুদের ওপর প্রয়োগ করে দেখবে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
ডয়চে ভেলে জানায়, শনিবার দ্য ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড তাদের পরিকল্পনাটির কথা ঘোষণা করে৷ ছয় থেকে ১৭ বছরের শিশুদের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, অল্প বয়সীদের জন্য টিকাটি কতটা নিরাপদ ও রোগ প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া কেমন হয়, সেটি তারা দেখতে চান। ছয় থেকে ১৭ বছরের মোট ৩০০ শিশুর দেহে এই পরীক্ষা চালানো হবে।
স্বেচ্ছাসেবী ২৪০ জনকে কভিড-১৯ টিকা দেয়া হবে। বাকিদের মেনিনজাইটিসের নিয়ন্ত্রিত একটি টিকা দেয়া হবে। এই পরীক্ষা চলতি মাসেই শুরু হবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এর মাধ্যমে সামনের দিনে শিশুরাও করোনা টিকার সুফল পেতে পারে বলে মনে করছেন অক্সফোর্ডে টিকা ট্রায়ালের প্রধান গবেষক অ্যান্ড্রু পোলার্ড। কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে শিশুদেরও মৃত্যু কিংবা গুরুতর অসুস্থ হওয়ার শঙ্কা থাকলেও এমন ঘটনা বিরল বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ রয়্যাল কলজ অব পেডিয়াট্রিকস অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ।
এখন পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি দেশ অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্তমানে টিকাটি প্রয়োগ চলছে। যদিও তা শুধু ১৮ বছরের বেশি বয়সীরাই নিতে পারছেন।
এদিকে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার জানিয়েছে, তাদের উদ্ভাবিত টিকাটিও শিশুদের ওপর পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। মূলত ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের ওপর ট্রায়ালটি চালানো হচ্ছে। এর জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের তালিকাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। মোট ২ হাজার ২৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী শিশু এ ট্রায়ালের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৬:৪৫

শিশুদের ওপর করোনার টিকা কতটা কার্যকরী, তার পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে উদ্ভাবিত করোনার টিকা শিশুদের ওপর প্রয়োগ করে দেখবে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
ডয়চে ভেলে জানায়, শনিবার দ্য ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড তাদের পরিকল্পনাটির কথা ঘোষণা করে৷ ছয় থেকে ১৭ বছরের শিশুদের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, অল্প বয়সীদের জন্য টিকাটি কতটা নিরাপদ ও রোগ প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া কেমন হয়, সেটি তারা দেখতে চান। ছয় থেকে ১৭ বছরের মোট ৩০০ শিশুর দেহে এই পরীক্ষা চালানো হবে।
স্বেচ্ছাসেবী ২৪০ জনকে কভিড-১৯ টিকা দেয়া হবে। বাকিদের মেনিনজাইটিসের নিয়ন্ত্রিত একটি টিকা দেয়া হবে। এই পরীক্ষা চলতি মাসেই শুরু হবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এর মাধ্যমে সামনের দিনে শিশুরাও করোনা টিকার সুফল পেতে পারে বলে মনে করছেন অক্সফোর্ডে টিকা ট্রায়ালের প্রধান গবেষক অ্যান্ড্রু পোলার্ড। কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে শিশুদেরও মৃত্যু কিংবা গুরুতর অসুস্থ হওয়ার শঙ্কা থাকলেও এমন ঘটনা বিরল বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ রয়্যাল কলজ অব পেডিয়াট্রিকস অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ।
এখন পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি দেশ অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্তমানে টিকাটি প্রয়োগ চলছে। যদিও তা শুধু ১৮ বছরের বেশি বয়সীরাই নিতে পারছেন।
এদিকে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার জানিয়েছে, তাদের উদ্ভাবিত টিকাটিও শিশুদের ওপর পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। মূলত ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের ওপর ট্রায়ালটি চালানো হচ্ছে। এর জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের তালিকাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। মোট ২ হাজার ২৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী শিশু এ ট্রায়ালের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে।