দেশ বদলের ২২ বছর
রূপান্তর ডেস্ক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একাধারে ২২ বছর দায়িত্ব পালন করেন মাহাথির। ১৯৮১ সালের ১৬ জুলাই ৫৫ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের সময়ও মালয়েশিয়ার আর্থসামাজিক পরিস্থিতি ছিল নাজুক। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন শুরু করেন। ধীরে ধীরে দেশকে ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে স্টিল ও গাড়ির উৎপাদক দেশে পরিণত করেন। সফলতাই তাকে টানা ২২ বছর ক্ষমতায় রাখে। এ সময় প্রতিবার তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেন। দেশকে বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষা হচ্ছে তার প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় শিক্ষার হার ৯০ শতাংশ। দেশটির শিক্ষাব্যয়ের ৯৫ শতাংশই বহন করে সরকার। ১৯৯২ সালে নিজ দেশের সবাইকে কর্মসংস্থান দিয়ে উল্টো আরো আট লাখ বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দেয় মালয়েশিয়া। পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার নির্মাণ, সমুদ্র থেকে ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি উদ্ধার, অত্যাধুনিক এয়ারপোর্ট নির্মাণ, একাধিক শিল্পপার্ক, হাইওয়ে নির্মাণসহ তার অসংখ্য উদ্যোগ সফল হয়েছে। ১৯৯০ সালেই দেশটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার হয় ৮ শতাংশের বেশি। ১৯৮২ সালে মালয়েশিয়ার ২৭.৩ মিলিয়ন ডলারের জিডিপি ২০০২ সালে এসে দাঁড়ায় ৯৫.২ বিলিয়ন ডলারে। অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোর তালিকার তলানিতে থাকা মালয়েশিয়াকে ২২ বছরের মধ্যে তালিকার ১৪তম স্থানে নিয়ে আসেন তিনি। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার বহু ধর্ম মত আর বিশ্বাসের মানুষকে তিনি একসূত্রে গেঁথেছিলেন। ২০০৩ সালে মাহাথির যখন ক্ষমতা ছাড়েন, তত দিনে সারা বিশে^ই উন্নয়নের মডেল হয়ে উঠেছে মালয়েশিয়া।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একাধারে ২২ বছর দায়িত্ব পালন করেন মাহাথির। ১৯৮১ সালের ১৬ জুলাই ৫৫ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের সময়ও মালয়েশিয়ার আর্থসামাজিক পরিস্থিতি ছিল নাজুক। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন শুরু করেন। ধীরে ধীরে দেশকে ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে স্টিল ও গাড়ির উৎপাদক দেশে পরিণত করেন। সফলতাই তাকে টানা ২২ বছর ক্ষমতায় রাখে। এ সময় প্রতিবার তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেন। দেশকে বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষা হচ্ছে তার প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় শিক্ষার হার ৯০ শতাংশ। দেশটির শিক্ষাব্যয়ের ৯৫ শতাংশই বহন করে সরকার। ১৯৯২ সালে নিজ দেশের সবাইকে কর্মসংস্থান দিয়ে উল্টো আরো আট লাখ বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দেয় মালয়েশিয়া। পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার নির্মাণ, সমুদ্র থেকে ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি উদ্ধার, অত্যাধুনিক এয়ারপোর্ট নির্মাণ, একাধিক শিল্পপার্ক, হাইওয়ে নির্মাণসহ তার অসংখ্য উদ্যোগ সফল হয়েছে। ১৯৯০ সালেই দেশটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার হয় ৮ শতাংশের বেশি। ১৯৮২ সালে মালয়েশিয়ার ২৭.৩ মিলিয়ন ডলারের জিডিপি ২০০২ সালে এসে দাঁড়ায় ৯৫.২ বিলিয়ন ডলারে। অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোর তালিকার তলানিতে থাকা মালয়েশিয়াকে ২২ বছরের মধ্যে তালিকার ১৪তম স্থানে নিয়ে আসেন তিনি। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার বহু ধর্ম মত আর বিশ্বাসের মানুষকে তিনি একসূত্রে গেঁথেছিলেন। ২০০৩ সালে মাহাথির যখন ক্ষমতা ছাড়েন, তত দিনে সারা বিশে^ই উন্নয়নের মডেল হয়ে উঠেছে মালয়েশিয়া।