৯৩-তেও তরুণ
রূপান্তর ডেস্ক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
সম্প্রতি জাপান সফর করছিলেন মাহাথির। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পৃথিবীতে জাপানিরাই সবচেয়ে বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকে। কিন্তু মাহাথিরকে পেয়ে তারা তার বেশি বয়সে ফিট থাকার রহস্য জানতে চেয়েছিল। একজন ডাক্তার হিসেবে সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার কৌশল সম্পর্কে দু-এক কথা বলার সুযোগটি হাতছাড়া করেননি মাহাথির। তিনি জানান, বেশি বয়সেও তারুণ্য ধরে রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানসিক ও শারীরিকভাবে সব সময় সক্রিয় থাকা।
মানুষের বার্ধক্য আসার দুটি প্রক্রিয়া সম্পর্কে মাহাথির বলেন। এর একটি হলো সময়ের ব্যবধানে মানুষের বয়স বেড়ে চলা আর অন্যটি হলো জৈবিক। দেখা যায়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু মানুষ খুব দ্রুত বুড়ো হতে থাকে আর কিছু মানুষ খুব ধীরে। এ ক্ষেত্রে জাপানিদের তিনি বিশ্রাম পরিহার করার পরামর্শ দেন। এমনকি বুড়ো হলেও বিশ্রামের প্রয়োজন নেই মানুষের। তিনি বলেন, ‘যদি তোমরা বিশ্রাম করো তবে, খুব দ্রুত তোমরা দুর্বল আর অক্ষম হয়ে যাবে। এমনকি খুব দ্রুত বুড়ো হতে শুরু করবে। তাই ব্যক্তি জীবনে অবসরে যাওয়ার পরও বিশ্রাম পরিহার করো।’
মাহাথির মনে করেন, ব্যবহৃত হয় না এমন জিনিস হুট করে কাজ শুরু করবেÑ এমনটা আশা করা ঠিক নয়। মাহাথির এ ক্ষেত্রে শরীরের পেশির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের পেশিগুলোকে ব্যবহার না করে সারা দিন শুয়ে থাকি, তবে এগুলো তো একসময় আমাদের শরীরের ভারই বহন করতে পারবে না।’
মাহাথির বলেন, ‘মস্তিষ্কও শরীরের মতো। যদি তোমরা মস্তিষ্ককে ব্যবহার না করো, তবে তোমরা বেশি চিন্তা করবে পারবে না, সমস্যার সমাধান করতে পারবে না, তোমরা পড়তে পারবে না, লিখতে পারবে না। তোমাদের মস্তিষ্ক অকেজো হতে শুরু করবে এবং তোমরাও বুড়ো হতে শুরু করবে। তাই সব সময় সক্রিয়তাই তোমাদের ফিট রাখবে।’
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

সম্প্রতি জাপান সফর করছিলেন মাহাথির। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পৃথিবীতে জাপানিরাই সবচেয়ে বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকে। কিন্তু মাহাথিরকে পেয়ে তারা তার বেশি বয়সে ফিট থাকার রহস্য জানতে চেয়েছিল। একজন ডাক্তার হিসেবে সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার কৌশল সম্পর্কে দু-এক কথা বলার সুযোগটি হাতছাড়া করেননি মাহাথির। তিনি জানান, বেশি বয়সেও তারুণ্য ধরে রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানসিক ও শারীরিকভাবে সব সময় সক্রিয় থাকা।
মানুষের বার্ধক্য আসার দুটি প্রক্রিয়া সম্পর্কে মাহাথির বলেন। এর একটি হলো সময়ের ব্যবধানে মানুষের বয়স বেড়ে চলা আর অন্যটি হলো জৈবিক। দেখা যায়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু মানুষ খুব দ্রুত বুড়ো হতে থাকে আর কিছু মানুষ খুব ধীরে। এ ক্ষেত্রে জাপানিদের তিনি বিশ্রাম পরিহার করার পরামর্শ দেন। এমনকি বুড়ো হলেও বিশ্রামের প্রয়োজন নেই মানুষের। তিনি বলেন, ‘যদি তোমরা বিশ্রাম করো তবে, খুব দ্রুত তোমরা দুর্বল আর অক্ষম হয়ে যাবে। এমনকি খুব দ্রুত বুড়ো হতে শুরু করবে। তাই ব্যক্তি জীবনে অবসরে যাওয়ার পরও বিশ্রাম পরিহার করো।’
মাহাথির মনে করেন, ব্যবহৃত হয় না এমন জিনিস হুট করে কাজ শুরু করবেÑ এমনটা আশা করা ঠিক নয়। মাহাথির এ ক্ষেত্রে শরীরের পেশির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের পেশিগুলোকে ব্যবহার না করে সারা দিন শুয়ে থাকি, তবে এগুলো তো একসময় আমাদের শরীরের ভারই বহন করতে পারবে না।’
মাহাথির বলেন, ‘মস্তিষ্কও শরীরের মতো। যদি তোমরা মস্তিষ্ককে ব্যবহার না করো, তবে তোমরা বেশি চিন্তা করবে পারবে না, সমস্যার সমাধান করতে পারবে না, তোমরা পড়তে পারবে না, লিখতে পারবে না। তোমাদের মস্তিষ্ক অকেজো হতে শুরু করবে এবং তোমরাও বুড়ো হতে শুরু করবে। তাই সব সময় সক্রিয়তাই তোমাদের ফিট রাখবে।’