কথা অল্প
উজানেই হেঁটেছি চিরকাল
| ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
ছবি: সাহাদাত পারভেজ
হাসান আজিজুল হক। ছোটগল্পের অন্যতম প্রাণপুরুষ। তার সাহিত্য সুঠাম গদ্য এবং মর্মস্পর্শী বর্ণনাভঙ্গির জন্য প্রসিদ্ধ। ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ১৯৯৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। সাম্প্রতিক বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি-
কেমন আছেন, কোথায় এখন?
-ভালো আছি। আমি এখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কী পড়ছেন আজকাল?
-ইতিহাস আর দর্শন নিয়েই পড়া হচ্ছে বেশি। সাহিত্যও পড়া হচ্ছে। বাংলা সাহিত্য ও বাংলাদেশের সাহিত্য দু-ই পড়া হচ্ছে। ইংরেজি সাহিত্যও পড়া হয়। উইলিয়াম ফকনার আমার প্রিয় লেখক। আর্নেস্ট হেমিংওয়েও প্রিয়। ফরাসি লেখকদের লেখাও পড়া হচ্ছে।
কী লিখছেন?
-দুটি গল্প আছে হাতে। নানা ঝামেলায় খুব বেশি লিখতে পারছি না। একটি অসমাপ্ত উপন্যাসও আছে। আশা করছি, এগুলো শেষ করে প্রকাশ করব।
প্রথম যৌবনে রাজনীতিতে জড়িয়ে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন...
-হ্যাঁ, ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়েছিলাম। আমরা কোনো সুবিধাভোগের জন্য তা করিনি। বিভিন্ন পার্টির ন্যায্য দাবির পক্ষে আন্দোলন করেছি। রাজনীতির জন্য নির্যাতিতও হয়েছি অনেকবার। কারণ পাকিস্তান ছিল একটি বর্বর রাষ্ট্র। ট্রেনে এক মেজর ও তার পতœীর সঙ্গে ছাত্রদের বিবাদের সূত্র ধরে আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি তখন দৌলতপুর কলেজের জিএস ছিলাম। প্রচ- মারধরের পর রেলওয়ে থানার মোবাইল কোর্টে পাঠানো হলো, আমাকে ১০ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা দিতে অস্বীকার করেছিলাম। পরে অসংখ্য ছাত্র একজোট হয়ে থানা ঘেরাও করে আমাকে ছিনিয়ে নিয়ে আসে।
ব্যক্তিজীবনে কোন দার্শনিকের প্রভাব সবচেয়ে বেশি?
-ওসব বলা খুব মুশকিল। সক্রেটিস এক রকম, প্লেটো আরেক রকম। পৃথিবী কীভাবে তৈরি হলো, মানুষ কীভাবে তৈরি হলো, মানুষের উদ্দেশ্য কী? এসব বিষয় অনেক জটিল ব্যাপার। এ বিষয়ে আরো সময় নিয়ে আলোচনা হবে এক দিন।
আপনার বাসভবনের নাম ‘উজান’ কেন?
-উজানেই হেঁটেছি চিরকাল। ভাটিতে বেশি যাইনি। ভেসে যাইনি, স্রোতের বিপরীতেই থেকেছি সব সময়।
‘মাটি ও মানুষ’ আপনার প্রথম লেখা উপন্যাস, যা আজও অপ্রকাশিত। এটি আলোর মুখ দেখবে না কোনো দিন?
-দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় লিখেছিলাম। কাঁচা হাত। পা-ুলিপিটাও হারিয়ে ফেলেছি। তাই এটি আলোর মুখ দেখবে না
শেয়ার করুন
| ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

হাসান আজিজুল হক। ছোটগল্পের অন্যতম প্রাণপুরুষ। তার সাহিত্য সুঠাম গদ্য এবং মর্মস্পর্শী বর্ণনাভঙ্গির জন্য প্রসিদ্ধ। ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ১৯৯৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। সাম্প্রতিক বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি-
কেমন আছেন, কোথায় এখন?
-ভালো আছি। আমি এখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কী পড়ছেন আজকাল?
-ইতিহাস আর দর্শন নিয়েই পড়া হচ্ছে বেশি। সাহিত্যও পড়া হচ্ছে। বাংলা সাহিত্য ও বাংলাদেশের সাহিত্য দু-ই পড়া হচ্ছে। ইংরেজি সাহিত্যও পড়া হয়। উইলিয়াম ফকনার আমার প্রিয় লেখক। আর্নেস্ট হেমিংওয়েও প্রিয়। ফরাসি লেখকদের লেখাও পড়া হচ্ছে।
কী লিখছেন?
-দুটি গল্প আছে হাতে। নানা ঝামেলায় খুব বেশি লিখতে পারছি না। একটি অসমাপ্ত উপন্যাসও আছে। আশা করছি, এগুলো শেষ করে প্রকাশ করব।
প্রথম যৌবনে রাজনীতিতে জড়িয়ে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন...
-হ্যাঁ, ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়েছিলাম। আমরা কোনো সুবিধাভোগের জন্য তা করিনি। বিভিন্ন পার্টির ন্যায্য দাবির পক্ষে আন্দোলন করেছি। রাজনীতির জন্য নির্যাতিতও হয়েছি অনেকবার। কারণ পাকিস্তান ছিল একটি বর্বর রাষ্ট্র। ট্রেনে এক মেজর ও তার পতœীর সঙ্গে ছাত্রদের বিবাদের সূত্র ধরে আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি তখন দৌলতপুর কলেজের জিএস ছিলাম। প্রচ- মারধরের পর রেলওয়ে থানার মোবাইল কোর্টে পাঠানো হলো, আমাকে ১০ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা দিতে অস্বীকার করেছিলাম। পরে অসংখ্য ছাত্র একজোট হয়ে থানা ঘেরাও করে আমাকে ছিনিয়ে নিয়ে আসে।
ব্যক্তিজীবনে কোন দার্শনিকের প্রভাব সবচেয়ে বেশি?
-ওসব বলা খুব মুশকিল। সক্রেটিস এক রকম, প্লেটো আরেক রকম। পৃথিবী কীভাবে তৈরি হলো, মানুষ কীভাবে তৈরি হলো, মানুষের উদ্দেশ্য কী? এসব বিষয় অনেক জটিল ব্যাপার। এ বিষয়ে আরো সময় নিয়ে আলোচনা হবে এক দিন।
আপনার বাসভবনের নাম ‘উজান’ কেন?
-উজানেই হেঁটেছি চিরকাল। ভাটিতে বেশি যাইনি। ভেসে যাইনি, স্রোতের বিপরীতেই থেকেছি সব সময়।
‘মাটি ও মানুষ’ আপনার প্রথম লেখা উপন্যাস, যা আজও অপ্রকাশিত। এটি আলোর মুখ দেখবে না কোনো দিন?
-দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় লিখেছিলাম। কাঁচা হাত। পা-ুলিপিটাও হারিয়ে ফেলেছি। তাই এটি আলোর মুখ দেখবে না