১৯৫ গিগাপিক্সেলের ছবি
রূপান্তর ডেস্ক | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
আমাদের ব্যবহৃত স্মার্টফোনগুলোতে সাধারণত ১২ থেকে ২৪ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকলেই হৈ হুল্লোড় শুরু করে দিই। কারণ পিক্সেল যত বাড়ে, ছবির শার্পনেসও তত বাড়বে। এতে ছবির মধ্যে থাকা অনেক কিছুই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা যায়। কিন্তু পিক্সেলের জগতে বিপ্লব নিয়ে এসেছে চীন। সম্প্রতি দেশটির ঝিংকুন টেকনোলজি নামে একটি প্রতিষ্ঠান এমন একটি ছবি প্রকাশ করেছে, যা ১৯৫ গিগাপিক্সেলের।
এক মেগাপিক্সেল মানে হলো ১০ লাখ পিক্সেল অর্থাৎ ১২ মেগাপিক্সেল বলতে বোঝায় এক কোটি ২০ লাখ পিক্সেল। আর এক গিগাপিক্সেল মানে হলো এক বিলিয়ন পিক্সেল।
ছবিটি তৈরিতে প্রথমে একই লোকেশনের অনেকগুলো ছবি তোলা হয়েছে সাংহাইয়ের ওরিয়েন্টাল পার্ল টাওয়ার থেকে। কয়েক মাস ধরে ছবিগুলোর সমন্বয় ঘটানো হয়েছে ইমেজ স্টিচিং প্রযুক্তির মাধ্যমে। এরপরই তৈরি হয়েছে ১৯৫ গিগাপিক্সেলের ছবিটি।
হাই রেজুলেশন ছবির বিশেষত্ব হলো এডিটিং সফটওয়্যারে নিয়ে কাঁটা-ছেড়া করলেও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়গুলো ব্লার হয়ে যায় না। তাই তো আকাশচুম্বী ভবন থেকে তোলা ছবিটিতে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া ব্যক্তিদের কাপড়ের রং কিংবা অভিব্যক্তি স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে। কোন গাছে কী রঙের ফুল ফুটেছে, কোন ভবনের বারান্দায় কয়টি কাপড় ঝুলছে কিছুই বাদ পড়েনি ছবিটিতে।
চীনাদের বিস্ময় ছবিটির মান যেকোনো ডিএসএলআর ক্যামরায় তোলা ছবির চেয়ে দুই হাজার গুণ বেশি উন্নত। বিশেষ ধরনের ৩৬০ ডিগ্রি প্যানোরমা ছবিটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। এর আগে এশিয়াতে এত বড় আকারের ছবি দেখা যায়নি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
রূপান্তর ডেস্ক | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

আমাদের ব্যবহৃত স্মার্টফোনগুলোতে সাধারণত ১২ থেকে ২৪ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকলেই হৈ হুল্লোড় শুরু করে দিই। কারণ পিক্সেল যত বাড়ে, ছবির শার্পনেসও তত বাড়বে। এতে ছবির মধ্যে থাকা অনেক কিছুই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা যায়। কিন্তু পিক্সেলের জগতে বিপ্লব নিয়ে এসেছে চীন। সম্প্রতি দেশটির ঝিংকুন টেকনোলজি নামে একটি প্রতিষ্ঠান এমন একটি ছবি প্রকাশ করেছে, যা ১৯৫ গিগাপিক্সেলের।
এক মেগাপিক্সেল মানে হলো ১০ লাখ পিক্সেল অর্থাৎ ১২ মেগাপিক্সেল বলতে বোঝায় এক কোটি ২০ লাখ পিক্সেল। আর এক গিগাপিক্সেল মানে হলো এক বিলিয়ন পিক্সেল।
ছবিটি তৈরিতে প্রথমে একই লোকেশনের অনেকগুলো ছবি তোলা হয়েছে সাংহাইয়ের ওরিয়েন্টাল পার্ল টাওয়ার থেকে। কয়েক মাস ধরে ছবিগুলোর সমন্বয় ঘটানো হয়েছে ইমেজ স্টিচিং প্রযুক্তির মাধ্যমে। এরপরই তৈরি হয়েছে ১৯৫ গিগাপিক্সেলের ছবিটি।
হাই রেজুলেশন ছবির বিশেষত্ব হলো এডিটিং সফটওয়্যারে নিয়ে কাঁটা-ছেড়া করলেও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়গুলো ব্লার হয়ে যায় না। তাই তো আকাশচুম্বী ভবন থেকে তোলা ছবিটিতে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া ব্যক্তিদের কাপড়ের রং কিংবা অভিব্যক্তি স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে। কোন গাছে কী রঙের ফুল ফুটেছে, কোন ভবনের বারান্দায় কয়টি কাপড় ঝুলছে কিছুই বাদ পড়েনি ছবিটিতে।
চীনাদের বিস্ময় ছবিটির মান যেকোনো ডিএসএলআর ক্যামরায় তোলা ছবির চেয়ে দুই হাজার গুণ বেশি উন্নত। বিশেষ ধরনের ৩৬০ ডিগ্রি প্যানোরমা ছবিটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। এর আগে এশিয়াতে এত বড় আকারের ছবি দেখা যায়নি।