হাওরের পটভূমিতে উপন্যাস লেখার ইচ্ছা আছে
পরাগ মাঝি | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
ঔপন্যাসিক ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। তার উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সংকটের সামগ্রিকতা। তার সাহিত্য ইংরেজি, রুশ, মেলে এবং কন্নড় ভাষায় অনূদিত হয়েছে। অর্জন করেছেন ড. মুহম্মদ এনামুল হক স্বর্ণপদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদকসহ দেশে-বিদেশি অসংখ্য পুরস্কার।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পরাগ মাঝি
কেমন আছেন?
-ভালো আছি
শৈশব, যৌবন আর জীবনের পরিণত বেলা কোন সময়টি আপনার সবচেয়ে প্রিয়?
-জীবনের প্রতিটি পর্যায়ই আমার কাছে সমান প্রিয়। প্রতিটি পর্যায়কেই আমি উপভোগ করেছি। শৈশব তো আমার সোনালি সময়, প্রকৃতি আর মানুষ চেনার সময়। তারপর যৌবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়টিও অসাধারণ ছিল। সে সময়ই লেখালেখির প্রতি আমার বিশেষ ঝোঁক চাপে। সে সময় থেকেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আমার লেখা ছাপা হতো। মনে আছে, তখন ঢাকার পত্রিকাগুলোতে লেখা পাঠাতাম। কখনো প্রকাশিত হতো, কখনো হতো না। জীবনকে গড়েছিলাম সে সময়ে। আর পরিণত বয়সেও আমি জীবনকে উপভোগ করেছি। এখনো করছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে বাংলা একাডেমিতে চাকরি নেওয়া, চাকরি থেকে উপার্জন আমাকে বিশেষ আনন্দ দিয়েছে।
আপনি ঘুরতে খুব ভালোবাসেন। বাংলাদেশের কোন এলাকাটি সবচেয়ে প্রিয়?
-ভীষণ ঘুরতে ভালোবাসি। আমি এখনো প্রচুর ভ্রমণ করছি। বাংলাদেশের সব এলাকাই আমার কাছে ভালো লাগে। বলা যায় পুরো বাংলাদেশই আমি চষে বেড়িয়েছি। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রত্যন্ত সব এলাকা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরের সীমান্ত এলাকায়ও সম্প্রতি ঘুরে বেড়িয়েছি। আর চট্টগ্রামের এমন কোনো জেলা থানা নেই যেখানে আমার পা পড়েনি। তাই বিশেষভাবে কোনো এলাকার নাম বলতে গেলে অনেক এলাকার কথাই মাথায় চলে আসে।
হাওর দেখেছেন কখনো?
-হ্যাঁ! আমি বেশ কয়েকবারই হাওরে গিয়েছি। সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনার বিভিন্ন হাওরে ঘুরে বেরিয়েছি। সুযোগ পেলে আবারো যাব। হাওরের পটভূমিতে আমি একটি উপন্যাস লেখারও ইচ্ছা আছে। খুব শিগগিরই লেখাটি আমি শুরু করব।
আধুনিক সময়ে বেশিরভাগ নারী লেখকের লেখায় নারীবাদ প্রসঙ্গ চলে আসে এ ব্যাপারে কিছু বলবেন কি?
-প্রথমত লেখকের ক্ষেত্রে লিঙ্গ আলাদা করা ঠিক নয়। আর যে কোনো সময়ের লেখায়ই সে সময়ের সামাজিক প্রেক্ষাপট প্রভাব রাখে। নারীরা এখনো সমতার জন্য লড়াই করছে। তাই প্রসঙ্গক্রমেই তাদের লেখায় ‘নারীবাদ’ চলে আসছে। বেগম রোকেয়াও তো ‘নারীবাদী’ লেখক, তার লেখাও তো এখনো বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।
কী পড়ছেন?
-কলকাতার সুনীতা চক্রবর্তী আর তিলোত্তমা মজুমদারের লেখা পড়ছি। এই মুহূর্তে এই দুজনের লেখাই আমার পড়ার টেবিলে আছে।
নতুন কী উপন্যাস আসছে?
-ফেব্রুয়ারিতে দুটি বই প্রকাশ হবে। এর একটি ‘বিষণœ শহরের দহন’, একটি দৈনিকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে এটি। অন্যটি ‘সময়ের ফুলে বিষ পিঁপড়া’। এ দুটি বই নিয়েই এখন ব্যস্ত। তাই বেশি পড়তে পারছি না।
শেয়ার করুন
পরাগ মাঝি | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

ঔপন্যাসিক ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। তার উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সংকটের সামগ্রিকতা। তার সাহিত্য ইংরেজি, রুশ, মেলে এবং কন্নড় ভাষায় অনূদিত হয়েছে। অর্জন করেছেন ড. মুহম্মদ এনামুল হক স্বর্ণপদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদকসহ দেশে-বিদেশি অসংখ্য পুরস্কার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পরাগ মাঝি কেমন আছেন? -ভালো আছি
শৈশব, যৌবন আর জীবনের পরিণত বেলা কোন সময়টি আপনার সবচেয়ে প্রিয়? -জীবনের প্রতিটি পর্যায়ই আমার কাছে সমান প্রিয়। প্রতিটি পর্যায়কেই আমি উপভোগ করেছি। শৈশব তো আমার সোনালি সময়, প্রকৃতি আর মানুষ চেনার সময়। তারপর যৌবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়টিও অসাধারণ ছিল। সে সময়ই লেখালেখির প্রতি আমার বিশেষ ঝোঁক চাপে। সে সময় থেকেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আমার লেখা ছাপা হতো। মনে আছে, তখন ঢাকার পত্রিকাগুলোতে লেখা পাঠাতাম। কখনো প্রকাশিত হতো, কখনো হতো না। জীবনকে গড়েছিলাম সে সময়ে। আর পরিণত বয়সেও আমি জীবনকে উপভোগ করেছি। এখনো করছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে বাংলা একাডেমিতে চাকরি নেওয়া, চাকরি থেকে উপার্জন আমাকে বিশেষ আনন্দ দিয়েছে।
আপনি ঘুরতে খুব ভালোবাসেন। বাংলাদেশের কোন এলাকাটি সবচেয়ে প্রিয়? -ভীষণ ঘুরতে ভালোবাসি। আমি এখনো প্রচুর ভ্রমণ করছি। বাংলাদেশের সব এলাকাই আমার কাছে ভালো লাগে। বলা যায় পুরো বাংলাদেশই আমি চষে বেড়িয়েছি। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রত্যন্ত সব এলাকা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরের সীমান্ত এলাকায়ও সম্প্রতি ঘুরে বেড়িয়েছি। আর চট্টগ্রামের এমন কোনো জেলা থানা নেই যেখানে আমার পা পড়েনি। তাই বিশেষভাবে কোনো এলাকার নাম বলতে গেলে অনেক এলাকার কথাই মাথায় চলে আসে।
হাওর দেখেছেন কখনো? -হ্যাঁ! আমি বেশ কয়েকবারই হাওরে গিয়েছি। সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনার বিভিন্ন হাওরে ঘুরে বেরিয়েছি। সুযোগ পেলে আবারো যাব। হাওরের পটভূমিতে আমি একটি উপন্যাস লেখারও ইচ্ছা আছে। খুব শিগগিরই লেখাটি আমি শুরু করব।
আধুনিক সময়ে বেশিরভাগ নারী লেখকের লেখায় নারীবাদ প্রসঙ্গ চলে আসে এ ব্যাপারে কিছু বলবেন কি? -প্রথমত লেখকের ক্ষেত্রে লিঙ্গ আলাদা করা ঠিক নয়। আর যে কোনো সময়ের লেখায়ই সে সময়ের সামাজিক প্রেক্ষাপট প্রভাব রাখে। নারীরা এখনো সমতার জন্য লড়াই করছে। তাই প্রসঙ্গক্রমেই তাদের লেখায় ‘নারীবাদ’ চলে আসছে। বেগম রোকেয়াও তো ‘নারীবাদী’ লেখক, তার লেখাও তো এখনো বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।
কী পড়ছেন? -কলকাতার সুনীতা চক্রবর্তী আর তিলোত্তমা মজুমদারের লেখা পড়ছি। এই মুহূর্তে এই দুজনের লেখাই আমার পড়ার টেবিলে আছে।
নতুন কী উপন্যাস আসছে? -ফেব্রুয়ারিতে দুটি বই প্রকাশ হবে। এর একটি ‘বিষণœ শহরের দহন’, একটি দৈনিকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে এটি। অন্যটি ‘সময়ের ফুলে বিষ পিঁপড়া’। এ দুটি বই নিয়েই এখন ব্যস্ত। তাই বেশি পড়তে পারছি না।