খরচ কমানোর ১০ উপায়
রূপান্তর ডেস্ক | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
নতুন বছর আসছে। আয় না বাড়লেও খরচ কিন্তু নানাভাবে বাড়বেই। সেই খরচের মোকাবিলা আপনাকেই করতে হবে। তারপর আবার সঞ্চয়ের কথাও ভাবতে হবে। যা ভবিষ্যতের জন্য জরুরি। কথায় আছে খরচ কমালে সঞ্চয় করা যায়। কিন্তু খরচ কমাবেন কী করে। রইল তার ১০ উপায়
১. অফিসে যাওয়ার জন্য হেঁটেই বাসস্ট্যান্ডে যান। রিকশা ভাড়া বাঁচান। সকালের হাঁটা হয়ে যাবে। তবে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে বের হতে হবে। আবার অফিস থেকে ফেরার পথে বাস থেকে নেমে রিকশায় না চড়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরুন। প্রতিদিনের সামান্য টাকা মাস শেষে বড়ই হবে।
২. অতি প্রয়োজন না হলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা বাদ দিন। সুদের হার অনেক বেশি। মাসের শুরুতে বাজেট করে সেই টাকার মধ্যে কেনাকাটার চেষ্টা করুন।
৩. মাসের শুরুতেই বাজেট বানান। সেই বাজেট থেকে ফের কাটছাঁট করুন। তার পরেও কেনার সময়ে দরদাম করে কিনলে দেখবেন কিছুটা পয়সা বাঁচবে।
৪. অযথা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনবেন না। কেনাকাটা করার সময় প্রয়োজনের কথা ভেবেই কিনুন। যেখানে একটু কমদামে কেনাকাটা করা যাবে সময় নিয়ে সেখান থেকে কেনাকাটা করুন।
৫. যে জিনিস পরেও কাজে লাগবে, তা একসঙ্গে বেশি করে কিনুন। মূল্য ছাড়ের সময় একসঙ্গে বেশি করে কেনাকাটা করে রেখে দিতে পারেন। কোথায় কী কিনলে ছাড় মিলছে খোঁজ রাখুন। কুপন পেলে রেখে দিন। পরবর্তী নময়ে তা দিয়েই কেনাকাটা করুন। তবে অদরকারি জিনিস কিনবেন না মোটেই।
৬. অনলাইন কেনাকাটায় অনেক ধরনের ছাড় থাকে। সে সবের খোঁজখবর রাখুন। অনলাইন কেনাকাটায় খরচ কম পড়ে।
৭. দামি দামি রেস্তোরাঁয় খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন। বিশেষ অফার চলছে কিংবা ছাড় পাওয়া যাবে এমন রেস্তোরাঁর খোঁজখবর রাখুন। পরিবার নিয়ে খেতে হলে সে সব জায়গায় যান।
৮. সেভিংস অ্যাকাউন্টে সামান্য হলেও নিয়মিত টাকা রাখুন। এটা অটোমেটিক ট্রান্সফার হলে ভালো হয়। প্রতি মাসের শুরুতেই নির্দিষ্ট অর্থ মিউচুয়াল ফান্ড বা অন্য কোথাও বিনিয়োগ করুন।
৯. যেদিন নিমন্ত্রণ থাকবে সেদিন বাড়িতে রান্নাবান্নার ঝামেলা কম করুন। আর গিফট কখনো বাজেটের বাইরে গিয়ে কিনবেন না।
১০. মাসের খরচের বাজেটা করুন এই মাসের ৫ তারিখ থেকে পরবর্তী মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত। এভাবে সময় বাড়িয়ে বাজেট করলে ঝামেলা ও খরচ দুটোই কম হবে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

নতুন বছর আসছে। আয় না বাড়লেও খরচ কিন্তু নানাভাবে বাড়বেই। সেই খরচের মোকাবিলা আপনাকেই করতে হবে। তারপর আবার সঞ্চয়ের কথাও ভাবতে হবে। যা ভবিষ্যতের জন্য জরুরি। কথায় আছে খরচ কমালে সঞ্চয় করা যায়। কিন্তু খরচ কমাবেন কী করে। রইল তার ১০ উপায়
১. অফিসে যাওয়ার জন্য হেঁটেই বাসস্ট্যান্ডে যান। রিকশা ভাড়া বাঁচান। সকালের হাঁটা হয়ে যাবে। তবে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে বের হতে হবে। আবার অফিস থেকে ফেরার পথে বাস থেকে নেমে রিকশায় না চড়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরুন। প্রতিদিনের সামান্য টাকা মাস শেষে বড়ই হবে।
২. অতি প্রয়োজন না হলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা বাদ দিন। সুদের হার অনেক বেশি। মাসের শুরুতে বাজেট করে সেই টাকার মধ্যে কেনাকাটার চেষ্টা করুন।
৩. মাসের শুরুতেই বাজেট বানান। সেই বাজেট থেকে ফের কাটছাঁট করুন। তার পরেও কেনার সময়ে দরদাম করে কিনলে দেখবেন কিছুটা পয়সা বাঁচবে।
৪. অযথা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনবেন না। কেনাকাটা করার সময় প্রয়োজনের কথা ভেবেই কিনুন। যেখানে একটু কমদামে কেনাকাটা করা যাবে সময় নিয়ে সেখান থেকে কেনাকাটা করুন।
৫. যে জিনিস পরেও কাজে লাগবে, তা একসঙ্গে বেশি করে কিনুন। মূল্য ছাড়ের সময় একসঙ্গে বেশি করে কেনাকাটা করে রেখে দিতে পারেন। কোথায় কী কিনলে ছাড় মিলছে খোঁজ রাখুন। কুপন পেলে রেখে দিন। পরবর্তী নময়ে তা দিয়েই কেনাকাটা করুন। তবে অদরকারি জিনিস কিনবেন না মোটেই।
৬. অনলাইন কেনাকাটায় অনেক ধরনের ছাড় থাকে। সে সবের খোঁজখবর রাখুন। অনলাইন কেনাকাটায় খরচ কম পড়ে।
৭. দামি দামি রেস্তোরাঁয় খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন। বিশেষ অফার চলছে কিংবা ছাড় পাওয়া যাবে এমন রেস্তোরাঁর খোঁজখবর রাখুন। পরিবার নিয়ে খেতে হলে সে সব জায়গায় যান।
৮. সেভিংস অ্যাকাউন্টে সামান্য হলেও নিয়মিত টাকা রাখুন। এটা অটোমেটিক ট্রান্সফার হলে ভালো হয়। প্রতি মাসের শুরুতেই নির্দিষ্ট অর্থ মিউচুয়াল ফান্ড বা অন্য কোথাও বিনিয়োগ করুন।
৯. যেদিন নিমন্ত্রণ থাকবে সেদিন বাড়িতে রান্নাবান্নার ঝামেলা কম করুন। আর গিফট কখনো বাজেটের বাইরে গিয়ে কিনবেন না।
১০. মাসের খরচের বাজেটা করুন এই মাসের ৫ তারিখ থেকে পরবর্তী মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত। এভাবে সময় বাড়িয়ে বাজেট করলে ঝামেলা ও খরচ দুটোই কম হবে।