শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্যে করণীয়?
| ৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
যেকোনো জিনিসের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে শিশুর একটু সময় লাগে। যখন শিশু প্রথম শক্ত খাবার শুরু করে, তখন থেকেই মূলত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। তা ছাড়া ফর্মুলা মিল্ক, ডিহাইড্রেশন, অসুস্থতার কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। পরপর তিন দিন শক্ত পায়খানা হলে বা মল ত্যাগ করতে শিশুর যদি অসুবিধা হয় অথবা বেশি সময় লাগে চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে।
লক্ষণ
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে শিশুর খুব অস্বস্তি হয়। এ সময় বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। একটু সচেতন থাকলেই সেটা বোঝা সম্ভব।
খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দেবে
Ñকান্নাকাটি করবে
Ñবমিবমি ভাব হবে
স্বাভাবিকের তুলনায় কম পায়খানা করবে, কখনো কখনো সপ্তাহে মাত্র তিনবার
কখনো আবার পেট শক্ত হয়ে ফুলে যায়
মাঝেমাঝে পেটে ব্যথা হয়
মলদ্বার আর্দ্র থাকে
করণীয়
শিশুর বয়স ছয় মাসের কম হলে তাকে প্রচুর বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এ সময় পানি বা অন্য কোনো কিছু দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
যদি শিশু ফর্মুলা মিল্ক খায় তবে প্রতিবার দুধ খাওয়ার পর তাকে পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানি খাওয়ান।
জুস, শরবত, ইসুবগুলের ভুসির শরবত এবং আঁশযুক্ত খাবার, ফল সবজি খাদ্য তালিকায় রাখুন।
মাংসজাতীয় খাবার ও ফাস্টফুড খাবার তালিকায় কম রাখুন।
শিশুকে শারীরিক পরিশ্রমের দিকে আগ্রহী করে তুলুন। হামাগুড়ি বা খেলাধুলা করতে দিন বেশি। দুই পা দিয়ে সাইকেলিং করান অথবা শিশুর পেটে আলত করে ম্যাসাজ করুন।
সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি যেকোনো রোগের জন্য শিশুকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ান।
খেয়াল রাখুন শিশুর পায়খানার সঙ্গে রক্ত যায় কি না। যদি পায়খানার রাস্তায় ফাটল থাকে তাহলে এলোভেরা লাগিয়ে রাখুন। শিশু আরাম পাবে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
খাবার-দাবার আর কিছু বিষয় মেনে চললে শিশু খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারে। তবে তার পরও যদি ভালো না হয়, তবে চিকিৎসকের সাহায্য নিন। যদি শিশু না খায়, ওজন কমতে থাকে, রক্ত যায়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই শিশুকে নিজে নিজে ল্যাকজেটিভ দেবেন না।
বেবিসেন্টার থেকে লায়লা আরজুমান্দ
শেয়ার করুন
| ৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

যেকোনো জিনিসের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে শিশুর একটু সময় লাগে। যখন শিশু প্রথম শক্ত খাবার শুরু করে, তখন থেকেই মূলত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। তা ছাড়া ফর্মুলা মিল্ক, ডিহাইড্রেশন, অসুস্থতার কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। পরপর তিন দিন শক্ত পায়খানা হলে বা মল ত্যাগ করতে শিশুর যদি অসুবিধা হয় অথবা বেশি সময় লাগে চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে। লক্ষণ
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে শিশুর খুব অস্বস্তি হয়। এ সময় বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। একটু সচেতন থাকলেই সেটা বোঝা সম্ভব।
খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দেবে
Ñকান্নাকাটি করবে
Ñবমিবমি ভাব হবে
স্বাভাবিকের তুলনায় কম পায়খানা করবে, কখনো কখনো সপ্তাহে মাত্র তিনবার
কখনো আবার পেট শক্ত হয়ে ফুলে যায়
মাঝেমাঝে পেটে ব্যথা হয়
মলদ্বার আর্দ্র থাকে
করণীয়
শিশুর বয়স ছয় মাসের কম হলে তাকে প্রচুর বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এ সময় পানি বা অন্য কোনো কিছু দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
যদি শিশু ফর্মুলা মিল্ক খায় তবে প্রতিবার দুধ খাওয়ার পর তাকে পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানি খাওয়ান।
জুস, শরবত, ইসুবগুলের ভুসির শরবত এবং আঁশযুক্ত খাবার, ফল সবজি খাদ্য তালিকায় রাখুন।
মাংসজাতীয় খাবার ও ফাস্টফুড খাবার তালিকায় কম রাখুন।
শিশুকে শারীরিক পরিশ্রমের দিকে আগ্রহী করে তুলুন। হামাগুড়ি বা খেলাধুলা করতে দিন বেশি। দুই পা দিয়ে সাইকেলিং করান অথবা শিশুর পেটে আলত করে ম্যাসাজ করুন।
সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি যেকোনো রোগের জন্য শিশুকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ান।
খেয়াল রাখুন শিশুর পায়খানার সঙ্গে রক্ত যায় কি না। যদি পায়খানার রাস্তায় ফাটল থাকে তাহলে এলোভেরা লাগিয়ে রাখুন। শিশু আরাম পাবে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
খাবার-দাবার আর কিছু বিষয় মেনে চললে শিশু খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারে। তবে তার পরও যদি ভালো না হয়, তবে চিকিৎসকের সাহায্য নিন। যদি শিশু না খায়, ওজন কমতে থাকে, রক্ত যায়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই শিশুকে নিজে নিজে ল্যাকজেটিভ দেবেন না।
বেবিসেন্টার থেকে লায়লা আরজুমান্দ