বন্ধ করুন বানিয়ে কথা বলা
উম্মে রাহী | ১৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০
আমাদের আশপাশে এমন অনেককে দেখতে পাই, যারা বেশ বানিয়ে বানিয়ে কথা বলেন। এই অভ্যাস কমবেশি সবারই আছে, যা অন্যদের কাছে বেশ বিরক্তিকর। তবে এটা কোনো মানসিক সমস্যা নয়। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, মূলত শৈশবে অতিরিক্ত শাসনের ফলে বানিয়ে কথা বলার ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়। কেননা, এ সময় তারা হীনমন্যতায় ভোগেন। ফলে নিজেকে অন্যদের কাছে বড় করে দেখাতে বা নিজেকে জাহির করতে বানিয়ে কথা বলেন। আর একটা সময় গিয়ে এটি অভ্যাসে পরিণত হয়। জেনে নিন করণীয়
সর্বপ্রথম শিশুদের অতিরিক্ত শাসন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে সন্তান সব সময় ভীত-সন্ত্রস্ত থাকে এবং হীনমন্যতায় ভুগতে থাকে, যা তাকে বানিয়ে কথা বলতে উদ্বুদ্ধ করে। তাই অতিরিক্ত শাসন করা ঠিক নয়।
পরিবারের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন একে অপরের সঙ্গে এবং দোষত্রুটি যায় হোক না কেন, তা মেনে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করুন।
কেউ বানিয়ে কথা বললে তাকে নিয়ে ঠাট্টা না করে সহনশীল হোন এবং তাকে বুঝিয়ে বলুন। এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে যেতে সহযোগিতা করুন।
এই অভ্যাস ত্যাগ করতে নিয়মিত মেডিটেশন করুন। মনে রাখবেন এটি একবারে বন্ধ করা সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে চেষ্টা করুন। তাড়াহুড়ো করবেন না। এতে বরং আপনি আরও হতাশ হয়ে পড়বেন।
নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলুন। কেননা, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসই পারে আপনাকে বানিয়ে কথা বলা থেকে বিরত রাখতে।
নিজেকে কখনো অযোগ্য মনে করবেন না। এতে হীনমন্যতা বাড়তে থাকে। যার ফলে মানুষ বানিয়ে বানিয়ে কথা বলে। তাই কখনো হীনমন্যতায় ভোগা যাবে না। সেই সঙ্গে নিজের অবস্থা এবং যোগ্যতা নিয়ে গর্ববোধ করুন।
যারা বানিয়ে বানিয়ে কথা বলেন তারা যখন সত্য কথা বলেন, তখন সবারই উচিত তার প্রশংসা করা, এতে তিনি উদ্বুদ্ধ হবেন।
এ ছাড়া বানিয়ে কথা বলার মাত্রা যদি বেড়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ভালো কোনো মনোবিদের কাছে নিয়মিত কাউন্সেলিং করুন।
শেয়ার করুন
উম্মে রাহী | ১৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০

আমাদের আশপাশে এমন অনেককে দেখতে পাই, যারা বেশ বানিয়ে বানিয়ে কথা বলেন। এই অভ্যাস কমবেশি সবারই আছে, যা অন্যদের কাছে বেশ বিরক্তিকর। তবে এটা কোনো মানসিক সমস্যা নয়। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, মূলত শৈশবে অতিরিক্ত শাসনের ফলে বানিয়ে কথা বলার ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়। কেননা, এ সময় তারা হীনমন্যতায় ভোগেন। ফলে নিজেকে অন্যদের কাছে বড় করে দেখাতে বা নিজেকে জাহির করতে বানিয়ে কথা বলেন। আর একটা সময় গিয়ে এটি অভ্যাসে পরিণত হয়। জেনে নিন করণীয়
সর্বপ্রথম শিশুদের অতিরিক্ত শাসন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে সন্তান সব সময় ভীত-সন্ত্রস্ত থাকে এবং হীনমন্যতায় ভুগতে থাকে, যা তাকে বানিয়ে কথা বলতে উদ্বুদ্ধ করে। তাই অতিরিক্ত শাসন করা ঠিক নয়।
পরিবারের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন একে অপরের সঙ্গে এবং দোষত্রুটি যায় হোক না কেন, তা মেনে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করুন।
কেউ বানিয়ে কথা বললে তাকে নিয়ে ঠাট্টা না করে সহনশীল হোন এবং তাকে বুঝিয়ে বলুন। এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে যেতে সহযোগিতা করুন।
এই অভ্যাস ত্যাগ করতে নিয়মিত মেডিটেশন করুন। মনে রাখবেন এটি একবারে বন্ধ করা সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে চেষ্টা করুন। তাড়াহুড়ো করবেন না। এতে বরং আপনি আরও হতাশ হয়ে পড়বেন।
নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলুন। কেননা, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসই পারে আপনাকে বানিয়ে কথা বলা থেকে বিরত রাখতে।
নিজেকে কখনো অযোগ্য মনে করবেন না। এতে হীনমন্যতা বাড়তে থাকে। যার ফলে মানুষ বানিয়ে বানিয়ে কথা বলে। তাই কখনো হীনমন্যতায় ভোগা যাবে না। সেই সঙ্গে নিজের অবস্থা এবং যোগ্যতা নিয়ে গর্ববোধ করুন।
যারা বানিয়ে বানিয়ে কথা বলেন তারা যখন সত্য কথা বলেন, তখন সবারই উচিত তার প্রশংসা করা, এতে তিনি উদ্বুদ্ধ হবেন।
এ ছাড়া বানিয়ে কথা বলার মাত্রা যদি বেড়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ভালো কোনো মনোবিদের কাছে নিয়মিত কাউন্সেলিং করুন।