সমস্যা যখন গ্যাস্ট্রাইটিস
পেটে জ্বালাপোড়া বা গ্যাস্ট্রাইটিস অতি সাধারণ সমস্যা। এটি পরিপাক নালির রোগ। পাকস্থলীর ভেতরের আস্তরণে প্রদাহের কারণে গ্যাস্ট্রাইটিস হয়। গ্যাস্ট্রাইটিসের কারণে পেটের ওপর দিকে ব্যথা, জ্বালা, বুকজ্বালা, ঢেঁকুর তোলা, খাদ্য উগরানো, বমির ভাব এবং কখনো কখনো বমি হয়।
গ্যাস্ট্রাইটিস কী
পাকস্থলীর ভেতরে বিভিন্ন এসিড, এনজাইম প্রভৃতি উৎপন্ন হয়। কোনো কারণে এসব প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত তৈরি হলে পাকস্থলীর ভেতরে মিউকোসা নামক দেয়ালে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাকস্থলীর এসিড নিজেই নিজেকে আক্রমণ করে। তখনই পেট জ্বলা, পেট ব্যথা শুরু হয়। এর সঙ্গে খাবার উগড়ে দেওয়া এবং বমির প্রবণতাও হতে পারে। সংক্রমণ, ওষুধ, ধূমপান, মদ্যপান, মানসিক চাপ এবং শরীরের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কারণগুলো গ্যাস্ট্রাইটিস হওয়ার মূল কারণ। এই রোগ দীর্ঘস্থায়ী কিংবা তীব্র হতে পারে। যদি উপসর্গগুলো খুব বিশিষ্ট ও তীব্র হয় এবং কয়েক দিনের ভেতরে নিরাময় হয় তখন তাকে অ্যাকিউট গ্যাস্ট্রাইটিস বলা হয়। অ্যাকিউট গ্যাস্ট্রাইটিসের তুলনায় ক্রনিক গ্যাস্ট্রাইটিসের উপসর্গগুলো খুব কম বা মধ্যমাত্রার হয় এবং রোগ বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকে।
গ্যাস্ট্রাইটিসের উপসর্গ
পাকস্থলীতে জ্বালা হওয়া।
বুকের মাঝখানে জ্বালা করা।
খাদ্য গ্রহণের পর পেট ভার মনে হওয়া।
খাবার খেয়ে পানি খাওয়ার পর পেট ব্যথা করা বা জ্বালা করা।
বমি ভাব, বমি, খাবার উগরে দেওয়া।
বারবার ঝাঁঝালো ঢেঁকুর ওঠা, ক্ষুধামন্দা ছাড়াও গ্যাস্ট্রাইটিসের কিছু তীব্র উপসর্গ রয়েছে।
কখন যাবেন ডাক্তারের কাছে : যখন পাকস্থলী বা উদরাঞ্চলে তীব্র ব্যথা, কালো মলত্যাগ, রক্ত বমি, নিঃশ্বাসের কষ্ট, দুর্বল লাগা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেবে।
করণীয় : সব রকমের গ্যাস্ট্রাইটিসের কার্যকর চিকিৎসা এবং নিরাময় আছে। গ্যাস্ট্রাইটিস হওয়ার কারণ জেনে নির্দিষ্ট চিকিৎসা করলে রোগ সেরে যায়। সাধারণত অ্যান্টাসিড এবং বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমে এই রোগ থেকে বেঁচে থাকা যায় এবং রোগের তীব্রতা লাঘব হয়।
নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বারবার অল্প করে খাবার খাওয়া ভালো, কারণ এক সঙ্গে অনেকটা খাবার খেলে পেটে অ্যাসিডের উৎপাদন বেশি হয়। দুই বার খাদ্য গ্রহণের মধ্যে সময়ের অধিক তফাৎ থাকায় অ্যাসিডের উৎপাদন হতে পারে, যা পাকস্থলীর আস্তরণের আরও ক্ষতি করতে পারে।
মদ্যপান বাদ দেওয়া। মদ পাকস্থলীর ভেতরের আস্তরণের ক্ষতি করে।
ধূমপান পাকস্থলীতে অ্যাসিডের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। কাজেই ধূমপান বাদ দেওয়া।
অতিরিক্ত মশলাদার এবং ঝাল খাদ্য, তেলেভাজা খাবার পাকস্থলীতে অ্যাসিড উৎপাদন করে ভেতরের আস্তরণের ক্ষতি করে। এগুলো কম খেলে গ্যাস্ট্রাইটিস হওয়ার আশঙ্কা কমে।
দই, বাটার মিল্ক এগুলো খাবার তালিকায় রাখা। এগুলো হলো প্রাকৃতিক প্রো-বায়োটিক যা পাকস্থলীর অ্যাসিডকে প্রশমিত করে।
শেয়ার করুন

পেটে জ্বালাপোড়া বা গ্যাস্ট্রাইটিস অতি সাধারণ সমস্যা। এটি পরিপাক নালির রোগ। পাকস্থলীর ভেতরের আস্তরণে প্রদাহের কারণে গ্যাস্ট্রাইটিস হয়। গ্যাস্ট্রাইটিসের কারণে পেটের ওপর দিকে ব্যথা, জ্বালা, বুকজ্বালা, ঢেঁকুর তোলা, খাদ্য উগরানো, বমির ভাব এবং কখনো কখনো বমি হয়।
গ্যাস্ট্রাইটিস কী
পাকস্থলীর ভেতরে বিভিন্ন এসিড, এনজাইম প্রভৃতি উৎপন্ন হয়। কোনো কারণে এসব প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত তৈরি হলে পাকস্থলীর ভেতরে মিউকোসা নামক দেয়ালে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাকস্থলীর এসিড নিজেই নিজেকে আক্রমণ করে। তখনই পেট জ্বলা, পেট ব্যথা শুরু হয়। এর সঙ্গে খাবার উগড়ে দেওয়া এবং বমির প্রবণতাও হতে পারে। সংক্রমণ, ওষুধ, ধূমপান, মদ্যপান, মানসিক চাপ এবং শরীরের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কারণগুলো গ্যাস্ট্রাইটিস হওয়ার মূল কারণ। এই রোগ দীর্ঘস্থায়ী কিংবা তীব্র হতে পারে। যদি উপসর্গগুলো খুব বিশিষ্ট ও তীব্র হয় এবং কয়েক দিনের ভেতরে নিরাময় হয় তখন তাকে অ্যাকিউট গ্যাস্ট্রাইটিস বলা হয়। অ্যাকিউট গ্যাস্ট্রাইটিসের তুলনায় ক্রনিক গ্যাস্ট্রাইটিসের উপসর্গগুলো খুব কম বা মধ্যমাত্রার হয় এবং রোগ বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকে।
গ্যাস্ট্রাইটিসের উপসর্গ
পাকস্থলীতে জ্বালা হওয়া।
বুকের মাঝখানে জ্বালা করা।
খাদ্য গ্রহণের পর পেট ভার মনে হওয়া।
খাবার খেয়ে পানি খাওয়ার পর পেট ব্যথা করা বা জ্বালা করা।
বমি ভাব, বমি, খাবার উগরে দেওয়া।
বারবার ঝাঁঝালো ঢেঁকুর ওঠা, ক্ষুধামন্দা ছাড়াও গ্যাস্ট্রাইটিসের কিছু তীব্র উপসর্গ রয়েছে।
কখন যাবেন ডাক্তারের কাছে : যখন পাকস্থলী বা উদরাঞ্চলে তীব্র ব্যথা, কালো মলত্যাগ, রক্ত বমি, নিঃশ্বাসের কষ্ট, দুর্বল লাগা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেবে।
করণীয় : সব রকমের গ্যাস্ট্রাইটিসের কার্যকর চিকিৎসা এবং নিরাময় আছে। গ্যাস্ট্রাইটিস হওয়ার কারণ জেনে নির্দিষ্ট চিকিৎসা করলে রোগ সেরে যায়। সাধারণত অ্যান্টাসিড এবং বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমে এই রোগ থেকে বেঁচে থাকা যায় এবং রোগের তীব্রতা লাঘব হয়।
নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বারবার অল্প করে খাবার খাওয়া ভালো, কারণ এক সঙ্গে অনেকটা খাবার খেলে পেটে অ্যাসিডের উৎপাদন বেশি হয়। দুই বার খাদ্য গ্রহণের মধ্যে সময়ের অধিক তফাৎ থাকায় অ্যাসিডের উৎপাদন হতে পারে, যা পাকস্থলীর আস্তরণের আরও ক্ষতি করতে পারে।
মদ্যপান বাদ দেওয়া। মদ পাকস্থলীর ভেতরের আস্তরণের ক্ষতি করে।
ধূমপান পাকস্থলীতে অ্যাসিডের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। কাজেই ধূমপান বাদ দেওয়া।
অতিরিক্ত মশলাদার এবং ঝাল খাদ্য, তেলেভাজা খাবার পাকস্থলীতে অ্যাসিড উৎপাদন করে ভেতরের আস্তরণের ক্ষতি করে। এগুলো কম খেলে গ্যাস্ট্রাইটিস হওয়ার আশঙ্কা কমে।
দই, বাটার মিল্ক এগুলো খাবার তালিকায় রাখা। এগুলো হলো প্রাকৃতিক প্রো-বায়োটিক যা পাকস্থলীর অ্যাসিডকে প্রশমিত করে।