প্যানিক ডিসঅর্ডার
হঠাৎ কারো বুক ধড়ফড় করছে, শরীর ঘেমে যাচ্ছে, দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি ভাবছেন, এখনই হয়তো তিনি মারা যাচ্ছেন। দম নিতে কষ্ট হচ্ছে, হাত-পা কাঁপছে। শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে, গলায় কিছু একটা আটকে আছে। বুকের ভেতর আঁটসাঁট লাগছে। হার্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বমি বমি লাগছে, হাত-পা অবশ হয়ে এসেছে। এই বিষয়গুলো একদম হঠাৎ করে হয়। এগুলোর লক্ষণ থাকলে তাকে প্যানিক অ্যাটাক বলা যায় ।
যদি এই সমস্যাটি মাসখানেকের ভেতর আবারও দেখা দেয় তবে বুঝতে হবে তিনি প্যানিক ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। প্যানিক ডিসঅর্ডার স্ট্রেসের সময় সাধারণ ভয় ও অ্যাংজাইটি রিয়েকশনের চেয়ে ভিন্ন। এটি একটি সিরিয়াস কন্ডিশন যা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা বা সংকেত ছাড়াই হয়। হঠাৎ ভয় বা নার্ভাসনেস, ঘাম, হৃৎপিণ্ডের গতি বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি প্যানিক ডিসঅর্ডারের স্বাভাবিক লক্ষণ।
লক্ষণ
প্যানিক অ্যাটাক হঠাৎ শুরু হয়ে কমপক্ষে ১০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এর লক্ষণগুলো হচ্ছে
অস্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বুকে ব্যথা তীব্র আতঙ্ক মাথা ঝিমঝিম করা, মাথা ঘোরানো বা পড়ে যাচ্ছেন এমন অনুভূতি ঝাঁকুনি ঘাম পেটে ব্যথা ও বমিভাব উত্তাপ অনুভব করা।
নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা ও মারা যাবেন এমন অনুভূতি।
কেন হয়
প্যানিক ডিসঅর্ডার সাধারণত শরীর বৃত্তীয়, পরিবেশগত উভয় কারণের সংমিশ্রণে হতে পারে। এছাড়া
পরিবারে বাবা-মা কারও যদি প্যানিক ডিসঅর্ডার থেকে থাকে বা হৃদরোগ থেকে থাকে তাহলে
সন্তানদেরও এটা হতে পারে।
মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ এলাকায় অস্বাভাবিকতা থাকলে। মস্তিষ্কের ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্স এরিয়া নিয়ন্ত্রণকারী অংশে সমস্যা থাকলে প্যানিক ডিসঅর্ডার হতে পারে।
জীবনে স্ট্রেসফুল কোনো মেজর ঘটনা থাকলে এটা হওয়া স্বাভাবিক।
আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া
প্যানিক অ্যাটাক যাদের হয় তারা পরে অ্যাটাক হতে পারে ভেবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। যেসব কারণে ব্যক্তির এ অ্যাটাক হয় সেসব ঘটনা ও বস্তুকে এড়িয়ে চলতে চান, ভিড় এড়িয়ে চলেন এবং নিজেকে সবার চেয়ে আলাদা ও দূরত্বে রাখতে পছন্দ করেন। সবই হয় আশঙ্কা থেকে। যখন কেউ প্যানিক অ্যাটাকে পড়েন তখন বিচ্ছিন্ন ভাবনা মস্তিষ্কে আসতে থাকে যার রেশ আত্মহত্যা পর্যন্ত যেতে পারে।
পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা কি সম্ভব?
প্যানিক ডিসঅর্ডারে সাইকোথেরাপি, কগনিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি ও ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণগুলো কমিয়ে আনতে প্রথমেই স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন
অতিরিক্ত ক্যাফেইন প্রোডাক্ট যেমন কফি, চা, কোলা ও চকলেট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
যেকোনো ওষুধ বা হারবাল প্রতিষেধক ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ, অনেক ওষুধে অ্যাংজাইটি লক্ষণ উদ্রেককারী কেমিক্যাল থাকে।
তথ্যসূত্র : ভেরিঅয়েলমাইন্ড
শেয়ার করুন

হঠাৎ কারো বুক ধড়ফড় করছে, শরীর ঘেমে যাচ্ছে, দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি ভাবছেন, এখনই হয়তো তিনি মারা যাচ্ছেন। দম নিতে কষ্ট হচ্ছে, হাত-পা কাঁপছে। শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে, গলায় কিছু একটা আটকে আছে। বুকের ভেতর আঁটসাঁট লাগছে। হার্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বমি বমি লাগছে, হাত-পা অবশ হয়ে এসেছে। এই বিষয়গুলো একদম হঠাৎ করে হয়। এগুলোর লক্ষণ থাকলে তাকে প্যানিক অ্যাটাক বলা যায় ।
যদি এই সমস্যাটি মাসখানেকের ভেতর আবারও দেখা দেয় তবে বুঝতে হবে তিনি প্যানিক ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। প্যানিক ডিসঅর্ডার স্ট্রেসের সময় সাধারণ ভয় ও অ্যাংজাইটি রিয়েকশনের চেয়ে ভিন্ন। এটি একটি সিরিয়াস কন্ডিশন যা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা বা সংকেত ছাড়াই হয়। হঠাৎ ভয় বা নার্ভাসনেস, ঘাম, হৃৎপিণ্ডের গতি বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি প্যানিক ডিসঅর্ডারের স্বাভাবিক লক্ষণ।
লক্ষণ
প্যানিক অ্যাটাক হঠাৎ শুরু হয়ে কমপক্ষে ১০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এর লক্ষণগুলো হচ্ছে
অস্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বুকে ব্যথা তীব্র আতঙ্ক মাথা ঝিমঝিম করা, মাথা ঘোরানো বা পড়ে যাচ্ছেন এমন অনুভূতি ঝাঁকুনি ঘাম পেটে ব্যথা ও বমিভাব উত্তাপ অনুভব করা।
নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা ও মারা যাবেন এমন অনুভূতি।
কেন হয়
প্যানিক ডিসঅর্ডার সাধারণত শরীর বৃত্তীয়, পরিবেশগত উভয় কারণের সংমিশ্রণে হতে পারে। এছাড়া
পরিবারে বাবা-মা কারও যদি প্যানিক ডিসঅর্ডার থেকে থাকে বা হৃদরোগ থেকে থাকে তাহলে
সন্তানদেরও এটা হতে পারে।
মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ এলাকায় অস্বাভাবিকতা থাকলে। মস্তিষ্কের ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্স এরিয়া নিয়ন্ত্রণকারী অংশে সমস্যা থাকলে প্যানিক ডিসঅর্ডার হতে পারে।
জীবনে স্ট্রেসফুল কোনো মেজর ঘটনা থাকলে এটা হওয়া স্বাভাবিক।
আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া
প্যানিক অ্যাটাক যাদের হয় তারা পরে অ্যাটাক হতে পারে ভেবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। যেসব কারণে ব্যক্তির এ অ্যাটাক হয় সেসব ঘটনা ও বস্তুকে এড়িয়ে চলতে চান, ভিড় এড়িয়ে চলেন এবং নিজেকে সবার চেয়ে আলাদা ও দূরত্বে রাখতে পছন্দ করেন। সবই হয় আশঙ্কা থেকে। যখন কেউ প্যানিক অ্যাটাকে পড়েন তখন বিচ্ছিন্ন ভাবনা মস্তিষ্কে আসতে থাকে যার রেশ আত্মহত্যা পর্যন্ত যেতে পারে।
পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা কি সম্ভব?
প্যানিক ডিসঅর্ডারে সাইকোথেরাপি, কগনিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি ও ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণগুলো কমিয়ে আনতে প্রথমেই স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন
অতিরিক্ত ক্যাফেইন প্রোডাক্ট যেমন কফি, চা, কোলা ও চকলেট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
যেকোনো ওষুধ বা হারবাল প্রতিষেধক ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ, অনেক ওষুধে অ্যাংজাইটি লক্ষণ উদ্রেককারী কেমিক্যাল থাকে।
তথ্যসূত্র : ভেরিঅয়েলমাইন্ড