ওমিক্রন, চাই সচেতনতা
ডা. মো. আসাফুজ্জোহা রাজ | ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
সাধারণ মানুষের মধ্যে আবারও আতঙ্ক, কভিড তৈরির নতুন প্রকারভেদ ওমিক্রন নিয়ে। পৃথিবী কি কভিডমুক্ত হয়েছিল? একদম না। শনাক্তের হার কমে যাওয়া ও ভ্যাকসিন গ্রহণের পর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে না এমন তথ্য বোধকরি কেউ না পেলেও বর্তমান অবস্থার দিকে তাকাই, সামান্য মাস্ক পরিধানে কতজন এখন সতর্ক। ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য রূপান্তরিত হওয়া। অনেক ক্ষেত্রে রূপান্তরিত রূপ দুর্বলের দিকে গেলেও সব ক্ষেত্রে এমনটা আশা করা বোকামি। যেমন ওমিক্রন আফ্রিকায় প্রাদুর্ভাবের পর ৩৮-৪০টি দেশে ঢুকে পড়েছে প্রায় পঞ্চাশবার ধরন বদল করে।
কতটা ভয়ংকর
ওমিক্রন নিয়ে এখন পর্যন্ত ভয়াবহ বিপর্যয়ের তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে যথেষ্ট উদ্বিগ্নের সঙ্গে সতর্ক করতে দেখা যাচ্ছে। প্রচারমাধ্যমেও চোখে পড়ছে নানা অনুমেয় তথ্য। নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে বিশ্ববাসীকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। উপসর্গে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষণীয়। যেমন গন্ধ ও স্বাদে পরিবর্তন আসছে না। অক্সিজেন স্যাচুরেশন থাকছে স্বাভাবিক। তবে মাংসপেশিতে ব্যথা হচ্ছে তিন-চার দিন ধরে। সাধারণ ভাইরাল জ্বরের অনুভূতি এবং পালস রেট বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ
প্রচলিত কভিড ভ্যাকসিন কতটা কাজ করে রূপান্তরিত ওমিক্রনের সঙ্গে মিলবে, এখন পর্যন্ত তা জানা যায়নি। তাই একাধিক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে নতুন ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে। প্রচলিত ভ্যাকসিনে এ ভাইরাস কতটা কার্যকর তা নিশ্চিত হতে আরও সময়ের প্রয়োজন। তার পরও সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে।
করণীয়
প্রথমবার যেমন দেশের বাইরে থেকে ভাইরাস বহনকারী যাত্রীদের দেশে প্রবেশের বিষয়টি শিথিল ছিল, এবার যেন তেমন ভুল না হয়, সেদিকে সর্বোচ্চ নজরদারি প্রয়োজন। যেসব দেশ ওমিক্রনের ঝুঁকিতে আছে, সেসব দেশে যদি আপনজন থাকে তবে তাদের বিদেশ থেকে ফেরার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করতে হবে। যারা আসবেন তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এ জাতীয় ভাইরাসের প্রবেশপথ আমাদের সবার জানা হয়ে গেছে। তাই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর মাস্ক পরিধান করা জরুরি। জীবাণুমুক্ত নিশ্চিত না হয়ে হাত, মুখ, নাক বা চোখকে ছোঁয়া যাবে না। আর যথাসম্ভব নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা জরুরি। ভ্যাকসিন গ্রহণের সুযোগ থাকলে বিকল্প কিছু চিন্তা করার সুযোগ নেই। যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিনের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। আর প্রচারমাধ্যমে ওমিক্রন নিয়ে যা নির্দেশনা দেওয়া হবে তা অনুসরণ করতে হবে। কারণ গবেষণায় নতুন কোনো সতর্কতা সংযোজন হবে কি না এখনো জানা যায়নি।
শেয়ার করুন
ডা. মো. আসাফুজ্জোহা রাজ | ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

সাধারণ মানুষের মধ্যে আবারও আতঙ্ক, কভিড তৈরির নতুন প্রকারভেদ ওমিক্রন নিয়ে। পৃথিবী কি কভিডমুক্ত হয়েছিল? একদম না। শনাক্তের হার কমে যাওয়া ও ভ্যাকসিন গ্রহণের পর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে না এমন তথ্য বোধকরি কেউ না পেলেও বর্তমান অবস্থার দিকে তাকাই, সামান্য মাস্ক পরিধানে কতজন এখন সতর্ক। ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য রূপান্তরিত হওয়া। অনেক ক্ষেত্রে রূপান্তরিত রূপ দুর্বলের দিকে গেলেও সব ক্ষেত্রে এমনটা আশা করা বোকামি। যেমন ওমিক্রন আফ্রিকায় প্রাদুর্ভাবের পর ৩৮-৪০টি দেশে ঢুকে পড়েছে প্রায় পঞ্চাশবার ধরন বদল করে।
কতটা ভয়ংকর
ওমিক্রন নিয়ে এখন পর্যন্ত ভয়াবহ বিপর্যয়ের তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে যথেষ্ট উদ্বিগ্নের সঙ্গে সতর্ক করতে দেখা যাচ্ছে। প্রচারমাধ্যমেও চোখে পড়ছে নানা অনুমেয় তথ্য। নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে বিশ্ববাসীকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। উপসর্গে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষণীয়। যেমন গন্ধ ও স্বাদে পরিবর্তন আসছে না। অক্সিজেন স্যাচুরেশন থাকছে স্বাভাবিক। তবে মাংসপেশিতে ব্যথা হচ্ছে তিন-চার দিন ধরে। সাধারণ ভাইরাল জ্বরের অনুভূতি এবং পালস রেট বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ
প্রচলিত কভিড ভ্যাকসিন কতটা কাজ করে রূপান্তরিত ওমিক্রনের সঙ্গে মিলবে, এখন পর্যন্ত তা জানা যায়নি। তাই একাধিক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে নতুন ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে। প্রচলিত ভ্যাকসিনে এ ভাইরাস কতটা কার্যকর তা নিশ্চিত হতে আরও সময়ের প্রয়োজন। তার পরও সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে।
করণীয়
প্রথমবার যেমন দেশের বাইরে থেকে ভাইরাস বহনকারী যাত্রীদের দেশে প্রবেশের বিষয়টি শিথিল ছিল, এবার যেন তেমন ভুল না হয়, সেদিকে সর্বোচ্চ নজরদারি প্রয়োজন। যেসব দেশ ওমিক্রনের ঝুঁকিতে আছে, সেসব দেশে যদি আপনজন থাকে তবে তাদের বিদেশ থেকে ফেরার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করতে হবে। যারা আসবেন তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এ জাতীয় ভাইরাসের প্রবেশপথ আমাদের সবার জানা হয়ে গেছে। তাই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর মাস্ক পরিধান করা জরুরি। জীবাণুমুক্ত নিশ্চিত না হয়ে হাত, মুখ, নাক বা চোখকে ছোঁয়া যাবে না। আর যথাসম্ভব নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা জরুরি। ভ্যাকসিন গ্রহণের সুযোগ থাকলে বিকল্প কিছু চিন্তা করার সুযোগ নেই। যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিনের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। আর প্রচারমাধ্যমে ওমিক্রন নিয়ে যা নির্দেশনা দেওয়া হবে তা অনুসরণ করতে হবে। কারণ গবেষণায় নতুন কোনো সতর্কতা সংযোজন হবে কি না এখনো জানা যায়নি।