
উত্তর কোরিয়া সফল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালে তা নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। তবে সম্প্রতি দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নয়, সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উনের মেয়েকে নিয়ে বিশ্লেষকরা নানা ধরনের আলোচনায় মশগুল। লিখেছেন তৃষা বড়ুয়া
বাবার পাশে ছোট্ট মেয়ে
কিম ইল-সাং। উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা। তার নেতৃত্বে ১৯৩২ সালের ২৫ এপ্রিল গড়ে তোলা হয় জাপানবিরোধী গেরিলা বাহিনী কোরিয়ান পিপলস রেভল্যুশনারি আর্মি। পরে ১৯৪৮ সালে ওই আর্মি নিয়মিত সেনাবাহিনীতে রূপান্তরিত হয়। নতুন সেনাবাহিনীর নাম দেওয়া হয় কোরিয়ান পিপলস আর্মি। ৮ ফেব্রুয়ারি ছিল কোরিয়ান পিপলস আর্মির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে রাজধানী পিয়ংইয়ং-য়ের কিম ইল-সাং স্কয়ারে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কোরিয়ান পিপলস আর্মি। কুচকাওয়াজে অংশ নেয় ৩০ হাজারের বেশি সেনা। কিম ইল-সাং স্কয়ারে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাংক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রদর্শন করে উত্তর কোরিয়া তার সামরিক শক্তি বিশ্বকে ফের জানান দেয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর একাধিক ছবি প্রকাশ করে। সেসব ছবিতে একজনকে দেখে অনেকে বিস্মিত হন। তিনি আর কেউ নন, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং-উনের ১০ বছর বয়সী মেয়ে কিম জু-এ। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ‘ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার সাধারণ সম্পাদক ও ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়ার স্টেট অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন তার প্রাণপ্রিয় মেয়ে কিম জু-এ ও স্ত্রী রি সল জুকে নিয়ে কিম ইল-সাং স্কয়ারে উপস্থিত হন।’ সেদিন কিম জু-এর পরনে ছিল সোনার বোতাম লাগানো কালো পশমের কোট, হাতে চামড়ার দস্তানা আর মাথায় কালো টুপি। এ নিয়ে কয়েক মাসের মধ্যে জনসম্মুখে বাবার সঙ্গে পাঁচবার হাজির হয় কিম জু-এ। ৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগের দিন এক সেনানিবাসে মা-বাবার সঙ্গে জমকালো ভোজে অংশ নেয় সে। উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভোজের ছবিতে দেখা যায়, কিম জু-একে ঘিরে আছেন দেশটির উচ্চপর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তারা।
কিমের উত্তরসূরি?
কোরিয়ান পিপলস আর্মির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন কিম জং-উনের মেয়ের উপস্থিতি স্বভাবতই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের নজর কাড়ে। বিশেষ করে ওইদিন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কিমের মেয়ে সম্পর্কে বলার সময় যেসব শব্দ ব্যবহার করে, তা নিয়ে রীতিমতো ব্যবচ্ছেদ শুরু হয়ে যায়। একজন রাষ্ট্রনায়কের সন্তানকে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কীভাবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে, কোন শব্দ ব্যবহার করছে, তা হয়তো অন্য দেশের শাসকের সন্তানের ক্ষেত্রে সেভাবে কেউ খেয়াল করতেন না। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম আলাদা। তার পরিবার নিয়ে কেউ খুব বেশি কিছু জানেন না। বলা ভালো, জানতে দেওয়া হয় না। উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম কিমের ছেলেমেয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন মুখ খোলেনি। এমনকি কিমের ১৩, ১০ ও ৬ বছর বয়সী তিনটি ছেলেমেয়ে আছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা গত বছর দাবি করলেও চুপ করেছিল উত্তর কোরিয়া। এর আগে কিমের সন্তানসন্ততির অস্তিত্ব সম্পর্কে মানুষ প্রথম জানতে পারে ২০১৩ সালে। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পেশাদার বাস্কেটবল খেলোয়াড় ডেনিস রডম্যান উত্তর কোরিয়া গিয়েছিলেন। তিনি সে সময় দাবি করেছিলেন, কিমের মেয়ে কিম জু-একে দেখেছেন তিনি। উত্তর কোরিয়া সফর শেষে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানকে রডম্যান বলেছিলেন, কিমের পরিবারের সঙ্গে সাগরের ধারে অবসর সময় কাটিয়েছেন তিনি। কিমের ছোট্ট শিশুকন্যা কিম জু-একে কোলে নেওয়ার সৌভাগ্য হয় তার।
দক্ষিণ কোরিয়া বা ডেনিস রডম্যান কিমের সন্তানদের নিয়ে কথা বললেও তাদের নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম মৌনব্রত ভাঙেনি। এ কারণে দেশটির সর্বোচ্চ নেতার ছেলেমেয়ে সম্পর্কে সবাই কম-বেশি অন্ধকারে আছেন। ধারণা করা হয়, কিম জু-এ তার দ্বিতীয় সন্তান। ২০১৩ সালে তার জন্ম। কিম জু-এর দুই ভাইবোন আছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন কিম জু-এর ছবি প্রকাশ করে তাকে কিমের ‘সবচেয়ে প্রাণপ্রিয়’ও ‘মূল্যবান সন্তান’ হিসেবে উল্লেখ করে উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম। এসব শব্দ চয়নের মধ্য দিয়ে ১০ বছর বয়সী কিম জু-এর প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করা হয়। একই সঙ্গে শব্দগুলো রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাবতে বাধ্য করছে কিমের দ্বিতীয় সন্তানই কি হতে যাচ্ছে তার উত্তরসূরি?
উত্তর কোরিয়ার গবেষক ও পর্যবেক্ষকদের কাছে উত্তরাধিকার বিষয়টি বরাবরই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে তাদের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। তিন মাস আগে কিম জং-উনের মেয়ে কিম জু-এর ছবি প্রথম প্রকাশ করে দেশটির সংবাদমাধ্যম। উত্তর কোরিয়ায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। এ কারণে দেশটির গবেষক ও পর্যবেক্ষকরা সতর্কতা অবলম্বন করছেন। নয়তো তারা হয়তো এরই মধ্যে সরাসরি বলেই ফেলতেন, কিম জু-এর প্রকাশ্যে আসার অর্থ, সে-ই হচ্ছে তার বাবার উত্তরাধিকারী। কিম জং-উনের সময় কী ঘটেছিল, তা এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে। ২০১১ সালে কিম জং-উনের বাবা উত্তর কোরিয়ার সাবেক সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-ইল ৭০ বছর বয়সে মারা যান। তিনি ছিলেন উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা। ১৯৯৪ থেকে ২০১১ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশকে নেতৃত্ব দেন কিম জং-ইল। তার মৃত্যুর মাত্র এক বছর আগে সবাই জানতে পারেন, তার সাত ছেলেমেয়ের মধ্যে কিম জং-উনই হচ্ছেন তার উত্তরাধিকার। উত্তর কোরিয়ার গবেষকরা বিশ্বাস করেন, কিম জং-উনের বয়স যখন মাত্র আট, তখনই তাকে উত্তরাধিকার করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফেলেন তার বাবা এবং এটি সে সময় শুধু দেশটির সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতারাই জানতেন। কিম জং-উনের দ্বিতীয় সন্তান কিম জু-এ আগামীতে দেশের নেতৃত্ব দেবে, এ নিয়ে গবেষকদের বড় অংশ পরোক্ষ ইঙ্গিত দিলেও কেউ কেউ অবশ্য এও মনে করছেন, কিম জং-উনের উত্তরাধিকার নিয়ে আলোচনা বা জল্পনা-কল্পনা করার সময় এখনো আসেনি, যেখানে বর্তমান শাসকের বয়স মাত্র ৩৯।
নারী নেতৃত্ব
উত্তর কোরিয়ার সমাজ মূলত পিতৃতান্ত্রিক। দেশটির রাজনীতিতে নারী প্রতিনিধিত্বের হারের দিকে তাকালে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়। তবে উত্তর কোরিয়ার উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বে কয়েকজন নারী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি হলেন কিম জং-উনের ৩৫ বছর বয়সী বোন কিম ইয়ো-জং। তিনি একসঙ্গে দেশটির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। উত্তর কোরিয়ার প্রভাবশালী কূটনীতিক ছাড়াও তিনি ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার পাবলিসিটি অ্যান্ড ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিপার্টমেন্ট ডিরেক্টর। পাশাপাশি কিম ইয়ো-জং দেশটির শক্তিশালী স্টেট অ্যাফেয়ার্স কমিশনের একমাত্র নারী সদস্য। উত্তর কোরিয়ার বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন, শাসনকাঠামোয় নারীদের উপস্থিতি সেভাবে দেখা না গেলেও দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় একজন নারীকে কল্পনা করা ভবিষ্যতে খুব কষ্টকর নাও হতে পারে। উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা ও কিম জং-উনের পরিবার অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। সেই হিসেবে ওই পরিবারের মেয়ে কিম জু-এ এরই মধ্যে একধাপে এগিয়ে আছে। তাকে অল্প বয়সে জনসম্মুখে হাজির করার সম্ভাব্য কারণ হতে পারে, সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে তাকে ঘিরে এক ধরনের গ্রহণযোগ্যতার বাতাবরণ সৃষ্টি করা, যাতে করে ভবিষ্যতে যখন কিম জং-উনের উত্তরাধিকার নিয়ে আলোচনা উঠবে, তখন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ পদে কিম জু-একে বসানো অসম্ভব হয়ে না পড়ে। অবশ্য এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন টোকিওর ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কিম রাজবংশ নিয়ে বইয়ের লেখক তোশিমিতসু শিগেমুরা। তিনি বলেন, ‘কিম জু-এ বাবার উত্তরসূরি হবে, এটা আমার পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন কারণ সে মেয়ে। উত্তর কোরিয়ার সমাজ অত্যন্ত রক্ষণশীল। কিম জু-এর পক্ষে বাবার উত্তরাধিকার হওয়া প্রায় অসম্ভব। আমি মনে করি, যখন সময় আসবে, কিম জং-উন দেশশাসনের দায়িত্ব ছেলেকেই দেবেন। তিনি চান, তার পরিবারের কেউ দেশের নেতা হবেন, অন্য কেউ নন। এই পদ যাতে হাতছাড়া না হয়, তার জন্য তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।’এ বিষয়ে বিবিসির সিওল প্রতিনিধি জিন ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘কিম জং-উনের মেয়ের প্রকাশ্যে আসার ঘটনা উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনোযোগ কেড়েছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাদের অনেকের কাছে ৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত করতে সক্ষম উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার চেয়েও বেশি কিছু ছিল। কোরিয়ান পিপলস আর্মির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন কিম জু-এর উপস্থিতি আমাদের কয়েকটি প্রশ্নের মুখোমুখি করেছে। প্রথমত, কিমের এই মেয়েই কি তার উত্তরাধিকার হতে যাচ্ছে? এটি হওয়া অসম্ভব নয়। কিমের পারিবারিক ঐতিহ্য তাই বলে। কিম তার পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সদস্য। এই পরিবার ৭০ বছরের বেশি সময় উত্তর কোরিয়া শাসন করছে। কিম চাইবেনই তার সন্তানদের একজন দেশের সর্বোচ্চ নেতা হোক। দ্বিতীয়ত, কিম জু-এর বয়স মাত্র ১০। কেন এখন তাকে সামনে আনা হচ্ছে? কিম যদি এত অল্প বয়সী মেয়েকে এখনই দেশের নেতা হওয়ার জন্য প্রস্তুত করা শুরু করেন, এর অর্থ কি ৩৯ বছর বয়সী এই শাসক জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন? কিম অসুস্থ, এমনটা শোনা যাচ্ছে। এ কারণে কি তিনি মেয়েকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে যাচ্ছেন? তাকে পরিবেশের সঙ্গে অভ্যস্ত করাচ্ছেন? তৃতীয়ত, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ও কিমের মেয়ের উপস্থিতির মধ্যে কোনো ধরনের যোগাযোগ আছে কি? আমি মনে করি, সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দিবসে কিমের মেয়েকে হাজির করার মধ্য দিয়ে এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনার ক্ষমতা পাওয়ার পর কিম জু-এ পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি আরও উন্নত করতে ভূমিকা রাখবে। সম্প্রতি কিম জং-উন বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি থেকে তিনি সরে আসবেন না। সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সেনানিবাসে আয়োজিত ভোজে মেয়েকে নিয়ে গিয়ে তিনি হয়তো বিশ্বনেতাদের এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন, পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি তার উত্তরসূরি বন্ধ তো করবেই না, বরং আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষক চিয়ং সিয়ং-চ্যাং বলেন, ‘কিম যদি মনে করেন, তার ছেলের মধ্যে নেতৃত্বের ক্ষমতা নেই, তাহলে তিনি তাকে উত্তরসূরি করবেন না। পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের প্রতিনিধি কিম জু-একে শাসনভার দিলে উত্তর কোরিয়ার সমাজ এ নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। হয়তো এ কারণে কিম জং-উন তার মেয়েকে সেসব বিশেষ অনুষ্ঠানে নিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে গেলে মানুষ শুধু তার প্রতিই আনুগত্য দেখাবে না, কিম জং-এর প্রতিও অনুগত থাকবে, বর্তমানে এবং ভবিষ্যতেও। একজন রাজার যখন একাধিক সন্তান থাকে, তখন তিনি তার সবচেয়ে আদরের সন্তানকে উত্তরাধিকার করবেন, এটাই স্বাভাবিক। ধারণা করা হচ্ছে, এখন থেকে কিম জু-একে মাঝেমধ্যেই তার বাবার পাশে দেখা যাবে এবং এর মধ্য দিয়ে তাকে যোগ্য উত্তরাধিকার হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’
এবার চীনে পা রাখতে পারে মার্ক জাকারবার্গের সংস্থা মেটা। তবে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নয়। এবার ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির হেডসেট চীনে সরবরাহের ভাবনাচিন্তা রয়েছে মেটার। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে চীনা সংস্থা টেনসেন্ট হোল্ডিংসের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেছে মেটা।
এরই মধ্যে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির জগতে পা রেখেছে ফেসবুকের প্রধান সংস্থা মেটা। বাজারে এসেছে মেটাভার্স। তাদের ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির হেডসেট মেটা কোয়েস্ট সিরিজ এনেছে তারা। জানা যায়, আর এই হেডসেট নিয়ে গত বছর থেকেই বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে সংস্থা দুটির। নতুন বছরেও টেনসেন্টের সঙ্গে বেশ কটি মিটিং করেছে মেটা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো নয় চীনের। ফলে অন্য বেশ কিছু মার্কিন সংস্থার মতোই চীনে নিষিদ্ধ ফেসবুকও। সত্যি এ বছর পর যদি এই চুক্তি সম্ভব হয়, তাহলে প্রথমবার নিজেদের পণ্য নিয়ে চীনে পা রাখবে মেটা। তবে সূত্রের পক্ষ থেকে জানা গেছে, এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো কথা হয়নি।
বিশে^র অন্যতম বড় ভিডিও গেম পাবলিশার টেনসেন্ট। বহুদিন ধরেই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি নিয়ে কাজ করে আসছে তারা। ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির সফটওয়্যার ও হার্ডওয়ার দুটোকে মিলিয়ে এক্সটেনডেড রিয়্যালিটির একটি এক্সআর ইউনিট গত বছরের জুনে চালু করে সংস্থাটি। তবে লাভ না হওয়ায় সম্প্রতি এক্সআর ইউনিট তৈরির বিষয়টি স্থগিত রেখেছে টেনসেন্ট। চীনে সংস্থাটির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বাইটডান্সের টিকটক। ২০২১ সালে পিকো নামে একটি হেডসেট ম্যানুফ্যাকচারার সংস্থাকে অধিগ্রহণ করে বাইটডান্স। তখন অধিগ্রহণের এ লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে যায় টেনসেন্ট।
তাই টিকটকের সঙ্গে পাল্লা দিতে কোনো প্রভাবশালী সংস্থাকে পাশে চাইছে টেনসেন্ট। এদিকে ২০১২ সালে ভিআর হেডসেট তৈরির জগতে পা রাখে মেটা। প্রথমে ‘অকুলাস’ নাম নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও পরে তাদের ভিআর হেডসেট সিরিজের নাম রাখা হয় মেটা কোয়েস্ট।
তবে শেষ শেষ পর্যন্ত টেনসেন্টের সঙ্গে মেটার কাক্সিক্ষত চুক্তিটি সই হয় কি না সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম শর্ত হলো পর্যাপ্ত ঘুম। যেকোনো শারীরিক সমস্যা থেকে দূরে থাকতে ঘুম অত্যন্ত জরুরি। সারা দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো বাধ্যতামূলক। কিডনি, লিভার, মানসিক অবসাদ, ডিমেনশিয়া, আর্থরাইটিসের মতো হাজার সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে ঘুমেই। শুধু শারীরিক সমস্যা থেকে বাঁচতে নয়, কাজের গতি বাড়াতে এবং শরীর চনমনে রাখতেও জরুরি ঘুম। কমপক্ষে যদি ছয় ঘণ্টাও টানা ঘুম না হয়, তাহলে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কম ঘুম মানসিক অবসাদ বাড়িয়ে তোলে। অনিদ্রা আর মানসিক অবসাদ পরস্পর এতটাই নিবিড় সম্পর্কযুক্ত যে, একটি আক্রান্তকে অন্যটির দিকে টেনে নিয়ে যায়। অবসাদের লক্ষণগুলো রোগীর ঘুমিয়ে পড়ার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করতে পারে।
শার্প ওয়েভ রিপালস নামে পরিচিত মস্তিষ্কের একটি ক্রিয়া স্মৃতিকে একত্র করতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের নিওকর্টেক্স ও হিপ্পোক্যাম্পাসের সহায়তায় এই স্মৃতি স্থায়ী জ্ঞানে রূপান্তরিত হয়। গভীর ঘুমের মধ্যে এই প্রক্রিয়াটি সবচেয়ে ভালো হয়। সুতরাং দেরি করে ঘুমোতে গেলে এই প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না। ফলে ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়।
ঘুম কম হলে বেশ কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের মতে, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, যারা অনিদ্রায় ভুগছেন, তারা অন্য একটি দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যসংকটেও ভুগছেন। ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ ঘুমের অভাবের সঙ্গে জন্ম নেয়।
ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, হরমোনের প্রভাব, শুষ্ক ত্বক, চোখে বারবার হাত দিয়ে রগড়ানো বা চুলকালে অঞ্জনির ঝুঁকি বেড়ে যায়। মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে চোখ। চোখের পাতায় দুই ধরনের গ্রন্থি বিদ্যমান। একধরনের গ্রন্থি ঘাম নিঃসৃত করে এবং অন্যগুলো তৈলাক্ত রস নিঃসৃত করে। এখন কোনো কারণে এই গ্রন্থির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে ঘাম ও তৈলাক্ত রস সেবাম গ্রন্থির অভ্যন্তরে আটকে যায়। এতে গ্রন্থিতে ইনফেকশন বা প্রদাহের সৃষ্টি হয়। ঘর্মগ্রন্থিগুলোয় কোনো কারণে সংক্রমণ হলে পাপড়ির থলি বা ল্যাশ ফলিকুলে পুঁজ জমা হয়ে ফুলে যায়। লালচে বর্ণ ধারণ করে ও ব্যথা হয়। এটিই অঞ্জনি।
কারণ
প্রশ্ন হলো, কেন সবার অঞ্জনি হয় না, আবার কারও কারও কিছুদিন পরপরই হয়। বিভিন্ন কারণে এই সংক্রমণ বা প্রদাহের ঝুঁকি বাড়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চোখের পাতায় খুশকি বা ব্লেফারাইটিস, ত্বকের সমস্যা যেমন সেবোরিক ডার্মাটাইটিস, রসাসিয়া একনি ইত্যাদি। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, হরমোনের প্রভাব, শুষ্ক ত্বক, চোখের স্ট্রেসÑ যেমন রাত জাগা বা দীর্ঘ সময় স্ক্রিনে কাজ করা, চোখে বারবার হাত দিয়ে রগড়ানো বা চুলকানো ইত্যাদি কারণে অঞ্জনির ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রসাধনীর কারণেও ঝুঁকি বাড়তে পারে।
উপসর্গ
পাপড়ির গোড়ায় ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতো দেখা দেয়। ব্যথা থাকে ও স্পর্শ করলে ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক সময় লালচে ভাব পরিলক্ষিত হয়। পাপড়ির গোড়ায় ক্রাস্ট বা শক্ত ময়লা বিশেষ জমতে পারে। অঞ্জনির মতো আরও একটি সমস্যা হলো কেলাজিয়ন। এটি হলো মেবোমিয়ান গ্রন্থির প্রদাহ। এটি কোনো সংক্রমণ নয়। তাই এতে কোনো ব্যথা থাকে না। অঞ্জনি এক থেকে দুই সপ্তাহে সেরে গেলেও কেলাজিয়ন অনেক সময় কয়েক মাস বা তারও বেশি সময় একই রকম থাকতে দেখা যায়।
চিকিৎসা
হট কমপ্রেসন বা গরম সেঁক দিলে অনেক সময় উপকার পাওয়া যায়। অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ডোজ মেনে ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে ড্রপের পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।
করণীয়
চোখের পাতার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে যাদের ব্লেফারাইটিস বা খুশকির সমস্যা আছে, তাদের চোখের পাতা বেবি শ্যাম্পু দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। আর মাথায় খুশকি থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। হালকা গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে চিপে চোখের পাতার ওপর কয়েক মিনিট ধরে রাখতে হবে। দৃষ্টির সমস্যা থাকলে পরীক্ষা করে প্রয়োজনে চশমা ব্যবহার করতে হবে। রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। প্রসাধনীর ব্যবহারে সতর্ক থাকা। মুখের ত্বক সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিশেষ করে চোখের পাতা ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা।
এছাড়া চোখের যে কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) হলের আসন দখল করে রাখার বিরুদ্ধে অনশনরত ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়সহ তাকে সমর্থন দেওয়া কয়েকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।তারা বলেন, ওই স্থানে গত বুধবার রাত থেকে অনশনে ছিলেন প্রত্যয়। তাকে মারধরের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায় হামলায় জড়িতরা। এ সময় প্রত্যয়ের দাবির সঙ্গে সংহতি জানানো প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের ওপরও হামলা হয়।
জানা গেছে, তিন দাবিতে গত বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনের খেলার মাঠে অনশনে বসেন প্রত্যয়। তিনি ওই হলের আবাসিক ছাত্র। তার অন্য দুটি দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করা ও হলের গণরুমে অবস্থান করা বৈধ ছাত্রদের আসন নিশ্চিত করা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মীর মোশাররফ হোসেন হলের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং নবীন শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিলেন। ওই সময় ক্যাম্পাসে লোডশেডিং চলছিল। হঠাৎ করেই প্রত্যয়সহ তার সঙ্গে থাকা অন্যদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
হামলায় জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী, মার্কেটিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের সৃষ্টি, চারুকলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের মনিকা, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৮তম ব্যাচের সুরসহ আরও কয়েকজন আহত হন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, হামলায় ৩০ থেকে ৪০ জন অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের কয়েকজন হলেন ছাত্রলীগ নেতা ও রসায়ন বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী গৌতম কুমার দাস, তুষার, ফেরদৌস, নোবেল, গোলাম রাব্বি, মুরসালিন, মুরাদ, সোহেল, তানভীর, রায়হান, রাহাত, সৌমিক, তারেক মীর, সজীব ও নাফিস।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, আমরা যারা প্রত্যয়ের সঙ্গে ছিলাম তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর প্রত্যয়কে দেখতে চিকিৎসক এসেছিলেন। তখন তারা অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করে সেটি ফিরিয়ে দেয়। প্রক্টরকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি আসেননি। একাধিক ছাত্রীর দিকেও চড়াও হয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মীর মশাররফ হোসেন হলের এক শিক্ষার্থী অসুস্থ এমন একটি ফোনকল পেয়ে তারা অ্যাম্বুলেন্স পাঠায়। তবে কে কল দিয়েছিল সে সম্পর্কে চিকিৎসা কেন্দ্রের কেউ বলতে পারেননি।
তবে যে ফোন নাম্বার থেকে কল দেওয়া হয়েছিল সেটিতে যোগাযোগ করে দেখা যায় নাম্বারটি শাখা ছাত্রলীগের নেতা গৌতম কুমার দাসের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ১৫ হাজার শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। দরকার হলে আমি পদত্যাগ করব।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে রাতেই বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিল নিয়ে তারা এ রাত পৌনে ১টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন।
তবে অনশনরত শিক্ষার্থী সামিউলের ওপর হামলারে পেছনে ছাত্রলীগের কোনো হাত নেই বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেলের। তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি, মীর মশাররফ হোসেন হলের অনশনরত ওই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। তবে সেটা সাধারণ শিক্ষার্থীরা করেছে। সেখানে ছাত্রলীগের একজনও জড়িত নয়।’
অসুস্হ সাবেক ফুটলার মোহাম্মদ মহসীনের পাশে দাড়িয়েছেন তার সাবেক সতীর্থরা। মোহামেডান ক্লাবের সাবেক ফুটবলার ও সোনালী অতীত ক্লাবের সদস্যরা বিকেলে বসে এই সিদ্ধান্ত নেন। পরে মহসীনের বাসায় যান তার সংগে দেখা করতে।সাবেক ফুটবলারদের মধ্যে ছিলেন আব্দুল গাফফার, জোসী, বাবলু, জনি, সাব্বির, রিয়াজ।
এসময় গাফফার জানান, মহসীনের চিকিৎসার জন্য বিসিবি সভাপতির উদ্যোগে বুধবার সকালে অসুস্হ ফুটবলারকে হাসপাতালে ভর্তি করবে।
হাসপাতাল থেকে সুস্থ ও স্বাভাবিক হয়ে ফেরার পর মহসীন কানাডায় ফিরে যেতে চাইলে সাবেক ফুটবলাররা সহায়তা করবে। মহসীন কানাডা থেকে দেশে ফিরেছেন মায়ের পাশে থাকতে। প্রায় নব্বই ছুই ছুই মহসিনের মায়ের পায়ে ব্যথা। মহসীনের পাশাপাশি তার মায়ের চিকিৎসার ব্যাপারেও সাবেক ফুটবলাররা পাশে থাকবেন বলে জানান আবদুল গাফফার।
রাজধানীর বনানীর একটি রেস্তোরাঁ থেকে জামায়াতে ইসলামীর বনানী শাখার ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তাদের মধ্যে বনানী থানা জামায়াতের আমির তাজুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি আব্দুর রাফি রয়েছেন।
বনানী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওয়ারলেস গেটে অবস্থিত নবাবী রেস্টুরেন্টে গোপন মিটিং করাকালে বনানী থানা জামায়াতে ইসলামী আমির তাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রাফিসহ ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আটক ১০ জনের মধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাও রয়েছেন।
প্রথম সেটে হেরে পিছিয়ে পড়েছিলেন। তবে পরের সেটেই ঘুরে দাঁড়ান। ৩ ঘণ্টা ৩৮ মিনিটের লড়াইয়ের পর কোয়ার্টার ফাইনালটা জিতে নিলেন নোভাক জকোভিচ। কারেন খাচানভকে ৪-৬, ৭-৬, ৬-২, ৬-৪ ব্যবধানে পরাজিত করে ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে উঠলেন এই সার্বিয়ান।
কোয়ার্টার ফাইনালের শুরুটা দেখে মনে হচ্ছিল, দিনটা বোধহয় জকোভিচের নয়। তবে মাথা ঠান্ডা রেখেছিলেন তিনি। খাচানভ প্রথম সেট জিতে নেওয়ার পর দ্বিতীয় সেটেও সমানে সমানে লড়াই করেন। যদিও টাইব্রেকারে জোকোর সামনে দাঁড়াতে পারেননি তিনি।
ম্যাচে সমতা ফেরানোর পর এক বার লকার রুমে ফিরে যান জোকোভিচ। তার পর শুধু কোর্টেই ফিরলেন না। নিজের চেনা ছন্দেও ফিরলেন। তৃতীয় এবং চতুর্থ সেটে আর শুরুর মতো লড়াই করতে পারলেন না প্রতিযোগিতার ১১ নম্বর বাছাই।
ফ্রেঞ্চ ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে মঙ্গলবার প্রতিযোগিতার প্রথম সেট হারলেন জোকোভিচ। হেরে যেতে পারেন এমন মনে না হলেও এ দিন ছন্দ পেতে কিছু সময় লেগেছে তার। ৩৬ বছরের জোকোভিচ কি সর্বোচ্চ পর্যায়ের টেনিসের ধকল আগের মতো সামলাতে পারছেন না আর?
এমন প্রশ্ন যখন উঁকি দিতে শুরু করছে, তখনই নিজের চেনা ছন্দে দেখা দিয়েছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে খাচানভের বিরুদ্ধে সময় পেয়েছেন। সুযোগ পেয়েছেন। সেমিফাইনাল বা ফাইনালের প্রতিপক্ষরা কি ছন্দে ফেরার সময় বা সুযোগ দেবেন তাঁকে?
টেনিসপ্রেমীদের মনে এই প্রশ্ন রেখেই ফ্রেঞ্চ ওপেনের শেষ চারে পৌঁছে গেলেন দু’বারের চ্যাম্পিয়ন। পাশাপাশি কিছুটা হয়তো উদ্বেগেও রাখলেন। সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করার পর জোকার স্বীকারও করে নিয়েছেন, কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম দু’টি সেট তার থেকে ভাল খেলেছেন রুশ প্রতিপক্ষ।
এদিকে ওপর কোয়ার্টার ফাইনালে জয় পেয়েছেন কার্লোস আলকারাজ। সিৎসিপাসের বিপক্ষে তিনি ৩-০ (৬-২, ৬-১, ৭-৬) সেটে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছেন এই স্পেনিশ টেনিস তারকা।
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩ ধরনের জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর থেকে বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে সরকার। অন্যদিকে উৎপাদন পর্যায়ে তরল করা পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল আমদানিতে প্রতি লিটারে ১৩ দশমিক ৭৫ টাকা করে শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া অন্যান্য জ্বালানি জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েল, লুব বেইজ অয়েল, কেরোসিনের ক্ষেত্রে প্রতি টনে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এত দিন এসব জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল।
আমদানি করা পণ্যের যথাযথ মূল্য নির্ধারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্যের ট্যারিফ মূল্য ও ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাত দুটি হেডিংয়ের আওতায় ১২টি এইচএস কোডের বিপরীতে ট্যারিফ মূল্য এবং একটি হেডিংয়ের আওতায় একটি এইচএস কোডের বিপরীতে ন্যূনতম মূল্য বহাল আছে।
পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাতগুলোর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করার কারণে অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
এলপিজি সিলিন্ডারের বিষয়ে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার তৈরির কাঁচামাল ইস্পাতের পাত (স্টিল শিট) ও ওয়েল্ডিংয়ের তার আমদানির করছাড় সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনকারীরা কাঁচামালে শুল্ককর ছাড় ১২ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। তাই রাজস্ব আহরণের স্বার্থে শুধু দুটি উপকরণে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য করছাড়ের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে।
পেট্রোলিয়াম তেল এবং বিটুমিনাস খনিজ থেকে প্রাপ্ত তেলের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশ। নতুন বাজেট অনুযায়ী এসবের প্রতি ব্যারেলের দাম ১ হাজার ১১৭ টাকা (লিটার প্রতি ৭.০২ টাকা) হতে পারে। প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের সুনির্দিষ্ট শুল্ক ৯ হাজার ১০৮ টাকা (লিটার প্রতি ৯.১০ টাকা) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জন্য নতুন অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ৩৩ হাজার ৮২৫ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং জ্বালানি খাতে ৯৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা নতুন বাজেটে এই বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ছিল ২৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ হাজার ৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ছে ৭ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় বলেন, উৎপাদন ও বিতরণ সক্ষমতা সম্প্রসারণের ফলে দেশের শতভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২০০৯ সালে ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে বর্তমানে ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। জ্বালানির ব্যবহার বহুমুখীকরণের জন্য গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি কয়লা, তরল জ্বালানি, দ্বৈত জ্বালানি, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, রামপালে কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিট ও পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। মাতারবাড়ীতে ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে মোট ১২ হাজার ৯৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন এবং ২ হাজার ৪১৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া, ১০ হাজার ৪৪৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ৩৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে পাশর্^বর্তী দেশগুলো থেকে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে ভারত থেকে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পাশাপাশি ঝাড়খ-ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৭৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। নেপালের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশ, ভুটান ও ভারতের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে শিগগিরই। তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করতে পারব বলে আশা করছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে সংগ্রহ করতে চাই। এরসঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, ৬০ লাখ সোলার সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে অফ গ্রিড এলাকায় বসবাসকারী জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে ডিজেলচালিত পাম্পের জায়গায় সৌরচালিত পাম্প স্থাপন করার অংশ হিসেবে সেচকাজে ইতিমধ্যে ২ হাজার ৫৭০টি পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৮৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। সর্বোপরি, রাশিয়ার সহায়তায় রূপপুরে ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।’
উৎপাদিত বিদ্যুৎ জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে গত ১৪ বছরে ৬ হাজার ৬৪৪ সার্কিট কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সঞ্চালন লাইন ১৪ হাজার ৬৪৪ কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া বিতরণ লাইন ৩ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ৬ লাখ ৬৯ হাজার কিলোমিটারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিদ্যুতের সিস্টেমলস ১৪ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৭ দশমিক ৭ শতাংশে। ২০৩০ সালের মধ্যে সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ২৮ হাজার কিলোমিটারে সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের অপব্যবহার রোধের লক্ষ্যে গত ৫ বছরে প্রায় ৫৩ লাখ প্রি-পেইড স্মার্ট মিটার স্থাপন করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী কামাল বলেন, ২০০৯ সালের তুলনায়, জ্বালানি তেলের মজুদ ক্ষমতা ৮ লাখ ৯৪ হাজার মেট্রিক টন থেকে বৃদ্ধি করে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৬০ হাজার টন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই মজুদ ক্ষমতা ৩০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিনে বাড়ানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি উদ্বোধন করা ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানি করা জ্বালানি তেল (ডিজেল) দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় এবং সৈয়দপুরে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ‘একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির পরিশোধন ক্ষমতা ১৫ লাখ টন থেকে ৪৫ লাখ টনে উন্নীত করার চেষ্টা চলছে। পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় একটি বৃহৎ সমন্বিত তেল শোধনাগার স্টোরেজ ট্যাংক নির্মাণের সিদ্ধান্ত আছে। সম্প্রতি ভোলার ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ আবিষ্কৃত হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার সময় প্রতিদিন গ্যাসের উৎপাদন ছিল ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানোর পর দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ৯৮৪ মিলিয়ন ঘনফুট বেড়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে আরও ৪৬টি কূপ খনন করা হবে। এতে অতিরিক্ত ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন হওয়ায় আমরা বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি এবং স্পট মার্কেট থেকেও কেনা হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে প্রতিদিন ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন ল্যান্ড বেইজড এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
বাজেট বক্তৃতায় আরও বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৫৮ কিলোমিটার গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের উত্তরাঞ্চল ও অন্যান্য এলাকায় ২১৪ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের কাজ চলছে। ২০২৬ সালের মধ্যে পায়রা ও ভোলা থেকে গ্যাস সঞ্চালনের জন্য আরও ৪২৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি অপচয় রোধে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজও চলছে।
চলতি অর্থবছরের চেয়ে আগামী অর্থবছরের সামগ্রিক বাজেট আকারে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বড় হলেও আগামী বছরের শিক্ষা-বাজেট দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। তবে টাকার অঙ্কে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ৬ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা বেড়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে মোট বাজেটের ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। শুধু শিক্ষা খাত হিসাব করলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষায় বরাদ্দ ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে তা ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি। চলতি অর্থবছরে শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল ১২ দশমিক ০১ শতাংশ বা ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা।
ইউনেস্কো, শিক্ষাবিদ বা অংশীজনরা অনেক দিন ধরেই শিক্ষায় জিডিপির কমপক্ষে ৪ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলছেন। এটাকে তারা বরাদ্দ হিসেবে না দেখে আগামী দিনের বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে বলছেন। গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষায় বরাদ্দ ১২ শতাংশের আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছিল। জিডিপির হিসাবে তা ছিল ২ শতাংশের কাছাকাছি। চলতি অর্থবছরে শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ জিডিপির ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ২ দশমিক ০৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়াচ্ছে জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আগামী বাজেটে যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তার সঙ্গে শিক্ষায় বরাদ্দের সংগতি নেই। বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে। এজন্য দক্ষ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠী প্রয়োজন। কিন্তু এ জনগোষ্ঠী তৈরির জন্য প্রয়োজন শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ। বরাবরের মতো এবারও শুভংকরের ফাঁকি লক্ষ করছি। শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তি মিলিয়ে আকার বড় করা হলেও চলতি অর্থবছরের চেয়েও বরাদ্দ কমেছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নেও বাজেটে দিকনির্দেশনা দেখছি না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘শিক্ষায় জিডিপির ২ শতাংশের নিচে বরাদ্দ কাক্সিক্ষত নয়। আগামী অর্থবছরে অন্তত ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ বরাদ্দ দিলে ভালো হতো। কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষায় আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত ছিল। সেটা আগামী অর্থবছরের বাজেটে দেখা যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের বাজেটে মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে, যা খুবই ভালো। যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণে জোর দিতে হবে। শিক্ষায় বরাদ্দের সঠিক ব্যবহারের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।’
আগামী অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে তা ছিল ৩১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৪২ হাজার ৮৩৮ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৩৯ হাজার ৯৬১ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার।
বাজেট ঘিরে প্রতি বছরই বেসরকারি শিক্ষকদের অন্যতম দাবি থাকে শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ বাড়ি ভাড়া ও শতভাগ উৎসব-ভাতা প্রদান। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের প্রক্রিয়া চলমান রাখাও তাদের অন্যতম দাবি। কিন্তু সেসব বিষয়ে বাজেটে স্পষ্ট কিছু উল্লেখ নেই। তবে এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে আগামী অর্থবছরে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
স্বাস্থ্য খাতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে এবার বরাদ্দ ১ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা বা ৩ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়লেও মোট বাজেটের তুলনায় তা কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে খাতটিতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। আগামী বাজেটে তা ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ খাতে ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় মাত্র ১৫০ কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ১৭ হাজার ২২১ কোটি টাকা ও উন্নয়ন ব্যয় ১২ হাজার ২১০ কোটি টাকা। এছাড়া স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ৮ হাজার ৬২১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বরাদ্দ থেকেই নতুন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, এবার টাকার অঙ্কে গত বছরের তুলনায় (বর্তমান ২০২২-২৩ অর্থবছর) ১ হাজার একশ কোটির মতো বেড়েছে। কিন্তু বাজেট শেয়ারে সেটা কমেছে। সামগ্রিক বাজেটের গ্রোথ বা বৃদ্ধি ১২ শতাংশ, কিন্তু স্বাস্থ্যের বাজেটের বৃদ্ধি ৩ শতাংশ। তারমানে রাষ্ট্রীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের গুরুত্ব কমেছে। সেই কারণে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
এই স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ বলেন, এবার কমার যৌক্তিক কারণ আছে। সেটা হলো স্বাস্থ্য বিভাগের সেক্টর প্রোগ্রামে উন্নয়ন বাজেট থেকে অর্থ আসে। সেই সেক্টর প্রোগ্রাম এই অর্থবছরে শেষ হয়ে প্রস্তাবিত অর্থবছর থেকে নতুন সেক্টর প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলমান সেক্টর প্রোগ্রাম সময়মতো বাস্তবায়ন করতে না পারায় সেটার সময় আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। এই এক বছরের জন্য নতুন বাজেট থাকে না, পুরনো বাজেট থেকেই ব্যয় করতে হয়। ফলে বরাদ্দ না বাড়িয়ে পাঁচ বছরের বাজেট যদি ছয় বছরে গিয়ে ঠেকে, তাহলে প্রতি বছর টাকা কমে যায়। মূলত এ কারণে এবার টাকা কমে গেছে।
সরকার স্বাস্থ্য খাতে এবারও কিছু থোক বরাদ্দ রাখতে পারত বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অর্থনীতির এই শিক্ষক। তিনি বলেন, কভিড ছাড়াও আমাদের অনেক জরুরি খাত আছে। এখন ডেঙ্গু চলছে। এটি ইমার্জেন্সি হয়ে যাবে। ফলে এটার জন্য যে ফান্ড দেওয়া আছে হাসপাতালে, রোগী বাড়লে সেটা দিয়ে হবে না। এরকম ইমার্জেন্সি আরও আসতে পারে। এরকম একটা থোক বরাদ্দ রাখলে স্বাস্থ্যের ইমার্জেন্সিতে সেখান থেকে ব্যয় করা যেত। কিন্তু সেটাও নেই। তার মানে কভিডের শিক্ষা থেকে আমরা কিছুই শিখিনি। প্রস্তাবিত বাজেটে সেটার প্রতিফলন নেই।
সামগ্রিকভাবে বাজেটে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবার খরচ বেড়ে যাবে বলেও মনে করছেন এই স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, এতে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধসহ সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।
যদিও এবারের বাজেটে ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসা আরও সুলভ করার জন্য ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ, আইভি ক্যানুলা উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উপাদান সিলিকন টিউবসহ আরও কিছু বিদ্যমান ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তামাক জাতীয় পণ্য যেমন তরল নিকোটিন, ট্রান্সডারমাল ইউস নিকোটিন পণ্যের বিপরীতে ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।