এমন শিরোপা জয়ে আনন্দ নেই
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
শনিবার আগের রাউন্ডেই দ্বিতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবা লিগ শিরোপা জিতেছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। গতকাল রানার্সআপ নৌবাহিনীর সঙ্গে ম্যাচটা ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচটা ৩-১ গেমে জিতে নিয়ে শিরোপাটা উদযাপন করেছে দলটি। ২০১৬ সালে অভিষেকের বছরে শিরোপা জয়ের পর গেলবার তা হারাতে হয় বেঙ্গল চেজ ক্লাবের কাছে। এবার বেঙ্গল দলই গড়েনি। ফলে দুইজন সুপার গ্র্যান্ডমাস্টার, তিনজন স্থানীয় গ্র্যান্ডমাস্টার এবং হালের ক্রেজ ফাহাদ রহমানকে নিয়ে গড়া সাইফের শিরোপা জয়টা অনুমেয়ই ছিল। পুরো আসরে একপেশে খেলেই শিরোপা তারা জিতেছে ঠিকই, তবে দাবাড়ুদের এমন জয়ের রোমাঞ্চটা একটু কমই। খুব যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়নি তাদের। দলে খেলেছেন বেলারুশের গ্র্যান্ডমাস্টার কোভালেভ ভাদিশ্লাভ এবং আজারবাইজানের গ্র্যান্ডমাস্টার এলতাজ সাফারলি। দুজনই রেটিং বেশ এগিয়ে স্থানীয়দের চেয়ে। সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের তিন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান, আবদুল্লাহ আল রাকিব এবং এনামুল হোসেন রাজিব। দলীয় শক্তি বাড়াতে সদ্যই একটি আন্তর্জাতিক নর্ম পাওয়া ফাহাদকেও দলভুক্ত করে সাইফ। এখন বাকি দলগুলোর দিকে চোখ রাখুন। হতাশই হবেন। দুই-তিনটা ক্লাব একজন করে গ্র্যান্ডমাস্টার ভারত থেকে এনেছেন ঠিকই, কিন্তু স্থানীয় সংগ্রহেই পিছিয়ে অনেকটা। এমন লিগের শিরোপা জিততে কেমন লেগেছে, প্রশ্নটা করতেই দেশের চতুর্থ গ্র্যান্ডমাস্টার রাকিব বললেন, ‘দেখুন দলগত দৃষ্টিকোণ থেকে বললে আমরা খুব খুশি। কারণ গতবার ভালো দল গড়েও শিরোপা জিততে পারিনি।’
শেয়ার করুন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

শনিবার আগের রাউন্ডেই দ্বিতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবা লিগ শিরোপা জিতেছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। গতকাল রানার্সআপ নৌবাহিনীর সঙ্গে ম্যাচটা ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচটা ৩-১ গেমে জিতে নিয়ে শিরোপাটা উদযাপন করেছে দলটি। ২০১৬ সালে অভিষেকের বছরে শিরোপা জয়ের পর গেলবার তা হারাতে হয় বেঙ্গল চেজ ক্লাবের কাছে। এবার বেঙ্গল দলই গড়েনি। ফলে দুইজন সুপার গ্র্যান্ডমাস্টার, তিনজন স্থানীয় গ্র্যান্ডমাস্টার এবং হালের ক্রেজ ফাহাদ রহমানকে নিয়ে গড়া সাইফের শিরোপা জয়টা অনুমেয়ই ছিল। পুরো আসরে একপেশে খেলেই শিরোপা তারা জিতেছে ঠিকই, তবে দাবাড়ুদের এমন জয়ের রোমাঞ্চটা একটু কমই। খুব যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়নি তাদের। দলে খেলেছেন বেলারুশের গ্র্যান্ডমাস্টার কোভালেভ ভাদিশ্লাভ এবং আজারবাইজানের গ্র্যান্ডমাস্টার এলতাজ সাফারলি। দুজনই রেটিং বেশ এগিয়ে স্থানীয়দের চেয়ে। সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের তিন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান, আবদুল্লাহ আল রাকিব এবং এনামুল হোসেন রাজিব। দলীয় শক্তি বাড়াতে সদ্যই একটি আন্তর্জাতিক নর্ম পাওয়া ফাহাদকেও দলভুক্ত করে সাইফ। এখন বাকি দলগুলোর দিকে চোখ রাখুন। হতাশই হবেন। দুই-তিনটা ক্লাব একজন করে গ্র্যান্ডমাস্টার ভারত থেকে এনেছেন ঠিকই, কিন্তু স্থানীয় সংগ্রহেই পিছিয়ে অনেকটা। এমন লিগের শিরোপা জিততে কেমন লেগেছে, প্রশ্নটা করতেই দেশের চতুর্থ গ্র্যান্ডমাস্টার রাকিব বললেন, ‘দেখুন দলগত দৃষ্টিকোণ থেকে বললে আমরা খুব খুশি। কারণ গতবার ভালো দল গড়েও শিরোপা জিততে পারিনি।’