স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেবে বাফুফে
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
দেরিতে হলেও উদ্যোগটা অবশেষে নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেবে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। বাফুফের সভাপতির দায়িত্বেও আছেন সেই মহান ফুটবলযোদ্ধাদের একজন কাজী সালাউদ্দিন। ২০০৮ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর তৃতীয় মেয়াদে ফুটবলের অভিভাবকত্ব করছেন এই কিংবদন্তি। অথচ কখনই বাফুফেকে একাত্তরের ফুটবলবীরদের সংবর্ধিত করার উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। এবার সেটাই করতে যাচ্ছেন তিনি ও তার সংগঠন।
১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী হায়নার মতো হামলে পড়েছিল বাঙালি জাতির ওপর। অন্যদের মতো সেই ঘটনা দারুণভাবে দাগ কাটে তখনকার ফুটবলার-সংশ্লিষ্টদের মনেও। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে একটি ফুটবল দল গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন এবং তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নেন তারা। তৎকালীন অস্থায়ী সরকারের স্বীকৃতি পাওয়া দলটি ২৪ জুলাই নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামে স্থানীয় কৃষ্ণনগর একাদশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলে। দিনটি ইতিহাসের পাতায় চিরস্থায়ী হয় স্বীকৃতি না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে ফুটবলারদের মাঠে নামার মধ্য দিয়ে। জাতীয় সংগীতের তালে তালে মাঠে নামা বীর সেনানীদের এই উদ্যোগে বিশ্বজুড়ে সাড়া পড়ে যায়। ভারতজুড়ে ১৬টি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল একটা বড় অঙ্কের অর্থ জমা দেয় সরকারের কোষাগারে। স্বাধীনতা যুদ্ধে এমন অবদান রাখা দলটির অনেকেই গত হয়েছেন। যারা আছেন তাদেরই একমঞ্চে নিয়ে আসতে এই উদ্যোগ বাফুফের।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

দেরিতে হলেও উদ্যোগটা অবশেষে নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেবে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। বাফুফের সভাপতির দায়িত্বেও আছেন সেই মহান ফুটবলযোদ্ধাদের একজন কাজী সালাউদ্দিন। ২০০৮ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর তৃতীয় মেয়াদে ফুটবলের অভিভাবকত্ব করছেন এই কিংবদন্তি। অথচ কখনই বাফুফেকে একাত্তরের ফুটবলবীরদের সংবর্ধিত করার উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। এবার সেটাই করতে যাচ্ছেন তিনি ও তার সংগঠন।
১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী হায়নার মতো হামলে পড়েছিল বাঙালি জাতির ওপর। অন্যদের মতো সেই ঘটনা দারুণভাবে দাগ কাটে তখনকার ফুটবলার-সংশ্লিষ্টদের মনেও। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে একটি ফুটবল দল গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন এবং তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নেন তারা। তৎকালীন অস্থায়ী সরকারের স্বীকৃতি পাওয়া দলটি ২৪ জুলাই নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামে স্থানীয় কৃষ্ণনগর একাদশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলে। দিনটি ইতিহাসের পাতায় চিরস্থায়ী হয় স্বীকৃতি না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে ফুটবলারদের মাঠে নামার মধ্য দিয়ে। জাতীয় সংগীতের তালে তালে মাঠে নামা বীর সেনানীদের এই উদ্যোগে বিশ্বজুড়ে সাড়া পড়ে যায়। ভারতজুড়ে ১৬টি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল একটা বড় অঙ্কের অর্থ জমা দেয় সরকারের কোষাগারে। স্বাধীনতা যুদ্ধে এমন অবদান রাখা দলটির অনেকেই গত হয়েছেন। যারা আছেন তাদেরই একমঞ্চে নিয়ে আসতে এই উদ্যোগ বাফুফের।