নাঈম-মুমিনুলে পূর্বাঞ্চলের জয়
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
টিনএজার অফ স্পিনার নাঈম হাসানের বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র তিন দিনেই হেরে গেল মধ্যাঞ্চল। দ্বিতীয় ইনিংসে তারই সতীর্থ মুমিনুল হক ও ইয়াসির আলীর সেঞ্চুরিতে পূর্বাঞ্চল ৪৫৬ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায়। জবাবে মাত্র ১৩৪ রানে অলআউট মধ্যাঞ্চল। এতে ৩২১ রানে জিতেছে পূর্বাঞ্চল। ৪৭ রান খরচায় ৮ উইকেট নিয়ে নাঈম একাই ধসিয়ে দিয়েছেন মধ্যাঞ্চলের দ্বিতীয় ইনিংস।
অন্য ম্যাচে গতকাল বুধবারের খেলা শেষে জয়ের পথে এগোচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল। তৃতীয় দিন প্রথম ইনিংসে ৫৪১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে থামে তারা। আগের দিন ১৫৫ রানে অপরাজিত এনামুল হক বিজয় ১৮০ রানে আউট হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেছেন। উত্তরাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৮৬ রানে দিন শেষ করেছে। এখনো ৬২ রানে পিছিয়ে জহুরুল ইসলামের দল।
চার দলের লড়াইয়ে শীর্ষে থাকা মধ্যাঞ্চল শেষ রাউন্ডে বাজেভাবে হারায় তাদের শিরোপাস্বপ্ন ভুল হওয়ার পথে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণাঞ্চল হারলে অথবা ড্র করলেই কেবল শিরোপা উঠবে মধ্যাঞ্চলের হাতে। কিন্তু চট্টগ্রামে বিজয়ের ১৮০ রান ও রিটায়ার্ড হার্ট থেকে ফেরা আল-আমিনের ১২৮ রানে দক্ষিণাঞ্চল ৫৪১ রান করে শক্ত অবস্থানে। ২৪৮ রানের লিড পায় তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে জুনায়েদ সিদ্দিকীর ৭৭ ও নাঈম ইসলামের ৬৭ রানে দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৮৬ রান করে উত্তরাঞ্চল।
সিলেটে দিনের পুরো আকর্ষণ কেড়ে নিয়েছেন কদিন আগে টেস্ট অভিষিক্ত নাঈম। এই মৌসুমেই একবার ৮ উইকেট নিয়েছিলেন। শেষ রাউন্ডে আবারও, তবে এবারের বোলিং ফিগার আরো দুর্ধর্ষ। ক্যারিয়ারসেরা ফিগারে প্রথম শ্রেণিতে চতুর্থবার ইনিংসে পাঁচ উইকেটে নিলেন নাঈম। তাই ম্যাচের প্রায় দেড় দিন
থাকলেও মাত্র ৪২.২ ওভারে ১৩৪ রানে অলআউট মধ্যাঞ্চল। এর আগে পূর্বাঞ্চল ৩ উইকেটে ২৫৪ রান করে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। মুমিনুল ১০০ ও ইয়াসির আলি ১০১ রান করেন খুব দ্রুততায়। দুজনের জুটি ছিল ১৭৫ রানের।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

টিনএজার অফ স্পিনার নাঈম হাসানের বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র তিন দিনেই হেরে গেল মধ্যাঞ্চল। দ্বিতীয় ইনিংসে তারই সতীর্থ মুমিনুল হক ও ইয়াসির আলীর সেঞ্চুরিতে পূর্বাঞ্চল ৪৫৬ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায়। জবাবে মাত্র ১৩৪ রানে অলআউট মধ্যাঞ্চল। এতে ৩২১ রানে জিতেছে পূর্বাঞ্চল। ৪৭ রান খরচায় ৮ উইকেট নিয়ে নাঈম একাই ধসিয়ে দিয়েছেন মধ্যাঞ্চলের দ্বিতীয় ইনিংস।
অন্য ম্যাচে গতকাল বুধবারের খেলা শেষে জয়ের পথে এগোচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল। তৃতীয় দিন প্রথম ইনিংসে ৫৪১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে থামে তারা। আগের দিন ১৫৫ রানে অপরাজিত এনামুল হক বিজয় ১৮০ রানে আউট হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেছেন। উত্তরাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৮৬ রানে দিন শেষ করেছে। এখনো ৬২ রানে পিছিয়ে জহুরুল ইসলামের দল।
চার দলের লড়াইয়ে শীর্ষে থাকা মধ্যাঞ্চল শেষ রাউন্ডে বাজেভাবে হারায় তাদের শিরোপাস্বপ্ন ভুল হওয়ার পথে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণাঞ্চল হারলে অথবা ড্র করলেই কেবল শিরোপা উঠবে মধ্যাঞ্চলের হাতে। কিন্তু চট্টগ্রামে বিজয়ের ১৮০ রান ও রিটায়ার্ড হার্ট থেকে ফেরা আল-আমিনের ১২৮ রানে দক্ষিণাঞ্চল ৫৪১ রান করে শক্ত অবস্থানে। ২৪৮ রানের লিড পায় তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে জুনায়েদ সিদ্দিকীর ৭৭ ও নাঈম ইসলামের ৬৭ রানে দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৮৬ রান করে উত্তরাঞ্চল।
সিলেটে দিনের পুরো আকর্ষণ কেড়ে নিয়েছেন কদিন আগে টেস্ট অভিষিক্ত নাঈম। এই মৌসুমেই একবার ৮ উইকেট নিয়েছিলেন। শেষ রাউন্ডে আবারও, তবে এবারের বোলিং ফিগার আরো দুর্ধর্ষ। ক্যারিয়ারসেরা ফিগারে প্রথম শ্রেণিতে চতুর্থবার ইনিংসে পাঁচ উইকেটে নিলেন নাঈম। তাই ম্যাচের প্রায় দেড় দিন
থাকলেও মাত্র ৪২.২ ওভারে ১৩৪ রানে অলআউট মধ্যাঞ্চল। এর আগে পূর্বাঞ্চল ৩ উইকেটে ২৫৪ রান করে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। মুমিনুল ১০০ ও ইয়াসির আলি ১০১ রান করেন খুব দ্রুততায়। দুজনের জুটি ছিল ১৭৫ রানের।