লঙ্কান প্রতিরোধ ভেঙে জয়ের কাছে কিউইরা
ক্রীড়া ডেস্ক | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
সাহসিকতার সঙ্গে লড়ছে শ্রীলঙ্কা। তবুও ম্যাচ ও সিরিজ হার ঠেকানো তাদের জন্য অলীক স্বপ্ন।
তৃতীয় দিন ৬৬০ রানের পাহাড়সম টার্গেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নামে তারা। শেষ বিকেলেই হারায় ২ উইকেট। সে সময় চতুর্থ দিনেই লঙ্কানদের হারের সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু গতকাল ব্যাটসম্যানরা দারুণ লড়াই করে অপেক্ষায় রাখল নিউজিল্যান্ডকে। পুরো দিন ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৩১ রান তুলেছে সফরকারীরা। কিউই পেসারদের চাপ সামলে টিকে ছিলেন দিলরুয়ান পেরেরা ২২ ও সুরঙ্গা লাকমল ১৬ রানে। তবে তাদের লড়াই সত্ত্বেও বিপদ এতটুকু কাটেনি লঙ্কানদের। হাতে মাত্র ৪ উইকেট নিয়ে এখনো ৪২৯ রানে পিছিয়ে দলটি। ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট ও সিরিজ হার ঠেকাতে হলে পুরো পঞ্চম দিন ব্যাট করতে হবে তাদের।
কাগজে-কলমে ৪২৯ রান তাড়া করা সম্ভব নয় শ্রীলঙ্কার পক্ষে। ৪ উইকেটে পুরো দিন ব্যাট করাও অকল্পনীয়। তবুও চান্দিমালরা ম্যাচ বাঁচানোর আত্মবিশ্বাস নিতে পারেন ওয়েলিংটন টেস্ট থেকে। অবশ্য সেখানেও অনিশ্চয়তা। ওই টেস্টে দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস উইকেটে নেই। মেন্ডিস ফিরে গেছেন আউট হয়ে আর ম্যাথিউস রিটায়ার্ড হার্ট হয়েছেন। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়া সাবেক অধিনায়ক পঞ্চম দিন ব্যাট হাতে নামলেও লঙ্কাদের আশান্বিত হওয়ার কারণ নেই বললেই চলে।
চতুর্থ দিনে সফরকারীদের শুরুটা কিন্তু দারুণ ছিল। বিনা উইকেটে তারা প্রথম সেশন পার করে। দিন শুরু করা চান্দিমাল ও মেন্ডিস দলীয় ৮৯ রানে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যান। ফিরেও লড়াই চলছিল তাদের। টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট ও নিল ওয়াগনারদের বাউন্স, সুইং সাহসিকতার সঙ্গে সামলাচ্ছিলেন। তবে লড়াকু জুটিটা ১১৭ রানের বেশি এগোল না। ৬৭ রানে মেন্ডিসের বিদায়ে থামে। এই হাফসেঞ্চুরি দিয়ে এ বছর এক হাজার টেস্ট রান করেছেন তিনি। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির পর ২০১৮-তে এই কীর্তি গড়া দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান।
এরপর দলের দুই অভিজ্ঞ এক হন। ওয়েলিংটনের মতো আরো একটি জুটির ইতিহাস গড়ার লক্ষ্য তাদের। কিন্তু ম্যাথিউসের হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি শ্রীলঙ্কাকে চরম বিপদে ফেলে দেয়। ২২ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া এ ব্যাটসম্যান দিনের বাকি সময়ে আর ফিরতে পারেননি ক্রিজে। লঙ্কাদের সব আশা শেষ হয়ে যায় ৫৬ রানে চান্দিমালের বিদায়ে। পরের দুই ব্যাটসম্যান রোশেন সিলভা ও নিরোশান ডিকভেলা যথাক্রমে ১৮ এবং ১৯ রান করে দলের সংগ্রহ বাড়িয়েছেন কেবল।
কিউই পেসারদের মধ্যে চতুর্থ দিন চার শিকারের মধ্যে তিনটিই গেছে ওয়াগনারের দখলে। লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা বোল্ট ও সাউদিকে নিয়ে হোমওয়ার্ক করলেও সম্ভবত ওয়াগনারকে উপেক্ষা করেছিলেন। সেই সুযোগে দিনের সেরা উইকেট সংগ্রাহক এ কিউই পেসার। ৪৭ রানে ৩ উইকেট তার।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া ডেস্ক | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

সাহসিকতার সঙ্গে লড়ছে শ্রীলঙ্কা। তবুও ম্যাচ ও সিরিজ হার ঠেকানো তাদের জন্য অলীক স্বপ্ন।
তৃতীয় দিন ৬৬০ রানের পাহাড়সম টার্গেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নামে তারা। শেষ বিকেলেই হারায় ২ উইকেট। সে সময় চতুর্থ দিনেই লঙ্কানদের হারের সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু গতকাল ব্যাটসম্যানরা দারুণ লড়াই করে অপেক্ষায় রাখল নিউজিল্যান্ডকে। পুরো দিন ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৩১ রান তুলেছে সফরকারীরা। কিউই পেসারদের চাপ সামলে টিকে ছিলেন দিলরুয়ান পেরেরা ২২ ও সুরঙ্গা লাকমল ১৬ রানে। তবে তাদের লড়াই সত্ত্বেও বিপদ এতটুকু কাটেনি লঙ্কানদের। হাতে মাত্র ৪ উইকেট নিয়ে এখনো ৪২৯ রানে পিছিয়ে দলটি। ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট ও সিরিজ হার ঠেকাতে হলে পুরো পঞ্চম দিন ব্যাট করতে হবে তাদের।
কাগজে-কলমে ৪২৯ রান তাড়া করা সম্ভব নয় শ্রীলঙ্কার পক্ষে। ৪ উইকেটে পুরো দিন ব্যাট করাও অকল্পনীয়। তবুও চান্দিমালরা ম্যাচ বাঁচানোর আত্মবিশ্বাস নিতে পারেন ওয়েলিংটন টেস্ট থেকে। অবশ্য সেখানেও অনিশ্চয়তা। ওই টেস্টে দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস উইকেটে নেই। মেন্ডিস ফিরে গেছেন আউট হয়ে আর ম্যাথিউস রিটায়ার্ড হার্ট হয়েছেন। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়া সাবেক অধিনায়ক পঞ্চম দিন ব্যাট হাতে নামলেও লঙ্কাদের আশান্বিত হওয়ার কারণ নেই বললেই চলে।
চতুর্থ দিনে সফরকারীদের শুরুটা কিন্তু দারুণ ছিল। বিনা উইকেটে তারা প্রথম সেশন পার করে। দিন শুরু করা চান্দিমাল ও মেন্ডিস দলীয় ৮৯ রানে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যান। ফিরেও লড়াই চলছিল তাদের। টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট ও নিল ওয়াগনারদের বাউন্স, সুইং সাহসিকতার সঙ্গে সামলাচ্ছিলেন। তবে লড়াকু জুটিটা ১১৭ রানের বেশি এগোল না। ৬৭ রানে মেন্ডিসের বিদায়ে থামে। এই হাফসেঞ্চুরি দিয়ে এ বছর এক হাজার টেস্ট রান করেছেন তিনি। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির পর ২০১৮-তে এই কীর্তি গড়া দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান।
এরপর দলের দুই অভিজ্ঞ এক হন। ওয়েলিংটনের মতো আরো একটি জুটির ইতিহাস গড়ার লক্ষ্য তাদের। কিন্তু ম্যাথিউসের হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি শ্রীলঙ্কাকে চরম বিপদে ফেলে দেয়। ২২ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া এ ব্যাটসম্যান দিনের বাকি সময়ে আর ফিরতে পারেননি ক্রিজে। লঙ্কাদের সব আশা শেষ হয়ে যায় ৫৬ রানে চান্দিমালের বিদায়ে। পরের দুই ব্যাটসম্যান রোশেন সিলভা ও নিরোশান ডিকভেলা যথাক্রমে ১৮ এবং ১৯ রান করে দলের সংগ্রহ বাড়িয়েছেন কেবল।
কিউই পেসারদের মধ্যে চতুর্থ দিন চার শিকারের মধ্যে তিনটিই গেছে ওয়াগনারের দখলে। লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা বোল্ট ও সাউদিকে নিয়ে হোমওয়ার্ক করলেও সম্ভবত ওয়াগনারকে উপেক্ষা করেছিলেন। সেই সুযোগে দিনের সেরা উইকেট সংগ্রাহক এ কিউই পেসার। ৪৭ রানে ৩ উইকেট তার।