কামিন্স অপেক্ষায় রাখলেন ভারতকে
ক্রীড়া ডেস্ক | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
চার টেস্টের সিরিজ ২-১ করার পথে ভারতের সামনে এখন বাধা কেবল প্যাট কামিন্স। চতুর্থ দিন শেষে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ভারতীয় বোলারদের খেলছিলেন সাবলীলভাবে। তবু কোনো আশা দেখছে না অস্ট্রেলিয়া। কারণ মেলবোর্নে ৩৩২ রানের বেশি তাড়া করে জেতার কোনো রেকর্ড নেই। স্বাগতিকদের সামনে বিরাট কোহলিরা ৩৯৯ রানের টার্গেট দিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৫৮ রান তুলেছে অজিরা। জেতার জন্য আরো ১৪১ রান দরকার। হাতে মাত্র ২ উইকেট।
মেলবোর্নে প্রথম ইনিংসের তুলনায় অবশ্য অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে টিম পেইনের দল। রান যেমন বেশি করেছে, তেমনি মিডল অর্ডার সময়ও নিয়েছে। যদিও তা অস্ট্রেলিয়াকে বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। অবশ্য বছরজুড়েই তাদের মিডল অর্ডার ব্যর্থ। মাত্র চারটি শতরান করেছে তারা। যার তিনটিই এসেছে আবার বছরের প্রথম টেস্টে। গতকাল খুব দরকার ছিল শতরানের। অন্তত একটা শতকের জুটি হলেও চলত। দলটির মিডল অর্ডার মাত্র একটা অর্ধ-শতরানের জুটি গড়তে পেরেছে। ওপেনিং জুটি দুই ওভারও টেকেনি। অ্যারন ফিঞ্চের বিপক্ষে ওভারের প্রথম বলেই জোরালো এলবিডব্লিউর আবেদন করেছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। আউট দেননি আম্পায়ার। পরের বলে দ্বিতীয় সিøপে দাঁড়ানো কোহলির হাতে ধরা পড়েন ফিঞ্চ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে স্বাগতিকদের। প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন উসমান খাজা (৩৩), শন মার্শ (৪৪) এবং ট্রাভিস হেড (৩৪)। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তাকে ব্যর্থ চেষ্টা ছাড়া কিছু বলা যায় না। প্রশংসা করার মতো ব্যাট করেছেন কামিন্স। প্রথম দিকে ছিলেন সাবধানী। ৪১ বল পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি মারেননি। পরে খেলেছেন হাত খুলে। ভারত নতুন বল নেওয়ার পর বুমরাহ ও ইশান্ত শর্মাকে যে দক্ষতায় সামলেছেন কামিন্স তাতে পরের টেস্টে অজি টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে ওপরের দিকে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতেই পারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত ১ম ইনিংস : ৪৪৩/৭ডি. ও ২য় ইনিংস : ১০৬/৮ডি. (আগারওয়াল ৪২, পান্ত ৩৩; কামিন্স ৬/২৭, হ্যাজলউড ২/২২)।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ১৫১ ও ২য় ইনিংস : ২৫৮/৮ (কামিন্স ৬১*, শন মার্শ ৪৪, খাজা ৩৩, হেড ৩৪; ইশান্ত ১/৩৭, বুমরাহ ২/৫৩, জাদেজা ৩/৮২, শামি ২/৭১)।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া ডেস্ক | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

চার টেস্টের সিরিজ ২-১ করার পথে ভারতের সামনে এখন বাধা কেবল প্যাট কামিন্স। চতুর্থ দিন শেষে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ভারতীয় বোলারদের খেলছিলেন সাবলীলভাবে। তবু কোনো আশা দেখছে না অস্ট্রেলিয়া। কারণ মেলবোর্নে ৩৩২ রানের বেশি তাড়া করে জেতার কোনো রেকর্ড নেই। স্বাগতিকদের সামনে বিরাট কোহলিরা ৩৯৯ রানের টার্গেট দিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৫৮ রান তুলেছে অজিরা। জেতার জন্য আরো ১৪১ রান দরকার। হাতে মাত্র ২ উইকেট।
মেলবোর্নে প্রথম ইনিংসের তুলনায় অবশ্য অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে টিম পেইনের দল। রান যেমন বেশি করেছে, তেমনি মিডল অর্ডার সময়ও নিয়েছে। যদিও তা অস্ট্রেলিয়াকে বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। অবশ্য বছরজুড়েই তাদের মিডল অর্ডার ব্যর্থ। মাত্র চারটি শতরান করেছে তারা। যার তিনটিই এসেছে আবার বছরের প্রথম টেস্টে। গতকাল খুব দরকার ছিল শতরানের। অন্তত একটা শতকের জুটি হলেও চলত। দলটির মিডল অর্ডার মাত্র একটা অর্ধ-শতরানের জুটি গড়তে পেরেছে। ওপেনিং জুটি দুই ওভারও টেকেনি। অ্যারন ফিঞ্চের বিপক্ষে ওভারের প্রথম বলেই জোরালো এলবিডব্লিউর আবেদন করেছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। আউট দেননি আম্পায়ার। পরের বলে দ্বিতীয় সিøপে দাঁড়ানো কোহলির হাতে ধরা পড়েন ফিঞ্চ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে স্বাগতিকদের। প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন উসমান খাজা (৩৩), শন মার্শ (৪৪) এবং ট্রাভিস হেড (৩৪)। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তাকে ব্যর্থ চেষ্টা ছাড়া কিছু বলা যায় না। প্রশংসা করার মতো ব্যাট করেছেন কামিন্স। প্রথম দিকে ছিলেন সাবধানী। ৪১ বল পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি মারেননি। পরে খেলেছেন হাত খুলে। ভারত নতুন বল নেওয়ার পর বুমরাহ ও ইশান্ত শর্মাকে যে দক্ষতায় সামলেছেন কামিন্স তাতে পরের টেস্টে অজি টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে ওপরের দিকে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতেই পারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত ১ম ইনিংস : ৪৪৩/৭ডি. ও ২য় ইনিংস : ১০৬/৮ডি. (আগারওয়াল ৪২, পান্ত ৩৩; কামিন্স ৬/২৭, হ্যাজলউড ২/২২)।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ১৫১ ও ২য় ইনিংস : ২৫৮/৮ (কামিন্স ৬১*, শন মার্শ ৪৪, খাজা ৩৩, হেড ৩৪; ইশান্ত ১/৩৭, বুমরাহ ২/৫৩, জাদেজা ৩/৮২, শামি ২/৭১)।