বিজয়ের ঘুমেও বিশ্বকাপ জাগরণেও বিশ্বকাপ
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ এনামুল হক বিজয়ের জন্য বড় বেশি যন্ত্রণার। দুই ম্যাচ খেললেন। ২৯ করে রান। তৃতীয় ম্যাচে ইনজুরি। ফিরতে হলো দেশে। তারপর দীর্ঘদিন আর জাতীয় দলে জায়গা নেই। ২০১৮ সালের গোড়ায় জাতীয় দলে ফিরেও সাত ম্যাচ পরই আউট। তবু ২০১৯ বিশ্বকাপ এই ওপেনারের ঘুমে জাগরণে।
জাতীয় দলে ফিরে সবমিলে ৮৮ রান। গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে শেষ খেলে আবার দর্শক হয়ে গেছেন। তারপরও ফেরার সাহস হারাননি ডানহাতি উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ‘যখন ম্যাচগুলোতে ভালো করতে পারলাম না, তখন থেকে প্রতিটি ম্যাচই আসলে আমার কাছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। সেটা এনসিএল বলেন, বিসিএল বলেন।’ বিপিএল এবং সামনে যে ওয়ানডেই আসুক সব টেনে বলে যান বিজয়, ‘আমি অবশ্যই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলতে চাই। এটি সবসময় আমি স্বপ্ন দেখি।’
২০১৫ বিশ্বকাপের শুরুতে দেশের পথ ধরার পর থেকে একটাই ভাবনা বিজয়ের, ‘আমার মনেপ্রাণে আছে, প্রতিটি চেষ্টাতে, প্রতিটি নেট এবং জিম সেশনে আমি চিন্তা করি যে ’১৯-এর বিশ্বকাপ খেলব। এর জন্য যতটা প্রস্তুত হওয়া দরকার এবং যতটুকু পারফর্ম করা দরকার আমি চেষ্টা করব করার।’
গতকালই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) কয়েকটি দল ৫ জানুয়ারি শুরু এবারের আসরের জন্য মিরপুরে অনুশীলন শুরু করেছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিজয় জাতীয় লিগ ভালো খেলেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে প্রথমবার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে শুরু করছেন বিপিএল।
তবে ওই যে বললেন সবকিছুতে বিশ্বকাপ তারই প্রভাব ২৬ বছরের তারকার কণ্ঠে। দলের চাহিদার তুলনায় ধীরতার অভিযোগ মাথায় রেখে প্রস্তুত করছেন নিজেকে, ‘আসলে আমি চেষ্টা করছি যে আক্রমণাত্মকভাবে খেলার। স্ট্রাইক রেট ১০০-এর ওপরে রাখার।’ আর ফিরেই বাদ পড়ার আক্ষেপ তার, ‘মাত্র চার-পাঁচটা ইনিংসে আসলে অনেক কিছু বোঝা যায় না। আর লাক ফেভার করার ব্যাপার থাকে।’ সেট হয়ে আউট হওয়ার কষ্টও আছে।
কিন্তু কয়েক মৌসুম ধরে রানে থাকার আত্মবিশ্বাস আছে। বিপিএলের পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের মালিক তাই এখানেও রানের ফুলঝুরি ছড়াতে চান। টার্গেট, একটাই। ২০১৯ বিশ্বকাপ।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ এনামুল হক বিজয়ের জন্য বড় বেশি যন্ত্রণার। দুই ম্যাচ খেললেন। ২৯ করে রান। তৃতীয় ম্যাচে ইনজুরি। ফিরতে হলো দেশে। তারপর দীর্ঘদিন আর জাতীয় দলে জায়গা নেই। ২০১৮ সালের গোড়ায় জাতীয় দলে ফিরেও সাত ম্যাচ পরই আউট। তবু ২০১৯ বিশ্বকাপ এই ওপেনারের ঘুমে জাগরণে।
জাতীয় দলে ফিরে সবমিলে ৮৮ রান। গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে শেষ খেলে আবার দর্শক হয়ে গেছেন। তারপরও ফেরার সাহস হারাননি ডানহাতি উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ‘যখন ম্যাচগুলোতে ভালো করতে পারলাম না, তখন থেকে প্রতিটি ম্যাচই আসলে আমার কাছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। সেটা এনসিএল বলেন, বিসিএল বলেন।’ বিপিএল এবং সামনে যে ওয়ানডেই আসুক সব টেনে বলে যান বিজয়, ‘আমি অবশ্যই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলতে চাই। এটি সবসময় আমি স্বপ্ন দেখি।’
২০১৫ বিশ্বকাপের শুরুতে দেশের পথ ধরার পর থেকে একটাই ভাবনা বিজয়ের, ‘আমার মনেপ্রাণে আছে, প্রতিটি চেষ্টাতে, প্রতিটি নেট এবং জিম সেশনে আমি চিন্তা করি যে ’১৯-এর বিশ্বকাপ খেলব। এর জন্য যতটা প্রস্তুত হওয়া দরকার এবং যতটুকু পারফর্ম করা দরকার আমি চেষ্টা করব করার।’
গতকালই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) কয়েকটি দল ৫ জানুয়ারি শুরু এবারের আসরের জন্য মিরপুরে অনুশীলন শুরু করেছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিজয় জাতীয় লিগ ভালো খেলেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে প্রথমবার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে শুরু করছেন বিপিএল।
তবে ওই যে বললেন সবকিছুতে বিশ্বকাপ তারই প্রভাব ২৬ বছরের তারকার কণ্ঠে। দলের চাহিদার তুলনায় ধীরতার অভিযোগ মাথায় রেখে প্রস্তুত করছেন নিজেকে, ‘আসলে আমি চেষ্টা করছি যে আক্রমণাত্মকভাবে খেলার। স্ট্রাইক রেট ১০০-এর ওপরে রাখার।’ আর ফিরেই বাদ পড়ার আক্ষেপ তার, ‘মাত্র চার-পাঁচটা ইনিংসে আসলে অনেক কিছু বোঝা যায় না। আর লাক ফেভার করার ব্যাপার থাকে।’ সেট হয়ে আউট হওয়ার কষ্টও আছে।
কিন্তু কয়েক মৌসুম ধরে রানে থাকার আত্মবিশ্বাস আছে। বিপিএলের পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের মালিক তাই এখানেও রানের ফুলঝুরি ছড়াতে চান। টার্গেট, একটাই। ২০১৯ বিশ্বকাপ।