রোনালদোর কাছে দলই আগে
ক্রীড়া ডেস্ক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
নিজে পুরস্কার না পেলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মন খারাপ করে না। দলীয় সাফল্যই তাকে আনন্দ দেয়। তাই একা পুরস্কার জেতা মূল লক্ষ্য নয় জুভেন্তাস তারকার। দলের হয়ে অর্জনকেই প্রাধান্য দেন তিনি। নতুন বছরের শুরুতে এমনটাই বললেন পাঁচবারের বর্ষসেরা তারকা।
২০১৮ বছরটি দারুণ কেটেছে রোনালদোর। রিয়াল মাদ্রিদকে টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে বিশাল ভূমিকা রেখেছেন। জুভেন্তাসে আসার আগে রিয়ালের হয়ে গত বছর মোট ২৪ ম্যাচে ১৫ গোল করেছিলেন। তবুও ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর হাতে ওঠেনি পর্তুগিজ উইঙ্গারের। বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড় ও রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা লুকা মদ্রিচ জিতেছেন এবারের উয়েফা বর্ষসেরার পুরস্কার। এতে রোনালদো ও লিওনেল মেসির মধ্যে ১০ বছরের ব্যালন ডি’অর জয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থামে। শুধু এ পুরস্কারই নয়, ফিফার দ্য বেস্টও জিতেছেন এ ক্রোয়েশিয়ান। এই পুরস্কারটি টানা দুবার জিতেছিলেন রোনালদো। টানা তৃতীয়বার হয়নি সাবেক সতীর্থ মদ্রিচের সাফল্যের কারণে।
অবশ্য এসব নিয়ে ভাবনা নেই বর্তমান জুভেন্তাস তারকার। তার মতে, দলকে সাফল্য এনে দিলে এই পুরস্কারগুলো এমনিতেই চলে আসবে। এক সংবাদ মাধ্যমকে রোনালদো এ ব্যাপারে বলেন, ‘ব্যক্তিগত পুরস্কার না পেলেও মন খারাপ হয় না আমার। গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের হয়ে ভূমিকা রাখা। সবসময় এটা করে গেলে বাকি সাফল্য এমনিতেই ধরা দেয়। সত্যি বলতে, আমি পুরস্কার পেলে খুবই খুশি হই। এগুলো আপনার অর্জন, অবশ্যই আপনি খুশি হবেন। কিন্তু এমন না যে পুরস্কার পেলাম না বলে আমার পৃথিবীটাই শেষ।’
গত বছর দেশ ও ক্লাবের হয়ে মোট ৫৩ ম্যাচে ৪৯ গোল করেছেন রোনালদো। মাত্র এক গোলের জন্য টানা নবমবারের মতো বছরে ৫০ বা তার বেশি গোলের রেকর্ড গড়া হয়নি। তবুও রোনালদোর খুশির কারণ সর্বোচ্চ গোলস্কোরার (১৪টি) হয়ে জুভেন্তাসকে টানছেন। ১৯৯৬-এর পর ইতালি জায়ান্টদের প্রথম ইউরোপিয়ান শিরোপা এনে দেওয়ার লক্ষ্য তার।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া ডেস্ক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

নিজে পুরস্কার না পেলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মন খারাপ করে না। দলীয় সাফল্যই তাকে আনন্দ দেয়। তাই একা পুরস্কার জেতা মূল লক্ষ্য নয় জুভেন্তাস তারকার। দলের হয়ে অর্জনকেই প্রাধান্য দেন তিনি। নতুন বছরের শুরুতে এমনটাই বললেন পাঁচবারের বর্ষসেরা তারকা।
২০১৮ বছরটি দারুণ কেটেছে রোনালদোর। রিয়াল মাদ্রিদকে টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে বিশাল ভূমিকা রেখেছেন। জুভেন্তাসে আসার আগে রিয়ালের হয়ে গত বছর মোট ২৪ ম্যাচে ১৫ গোল করেছিলেন। তবুও ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর হাতে ওঠেনি পর্তুগিজ উইঙ্গারের। বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড় ও রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা লুকা মদ্রিচ জিতেছেন এবারের উয়েফা বর্ষসেরার পুরস্কার। এতে রোনালদো ও লিওনেল মেসির মধ্যে ১০ বছরের ব্যালন ডি’অর জয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থামে। শুধু এ পুরস্কারই নয়, ফিফার দ্য বেস্টও জিতেছেন এ ক্রোয়েশিয়ান। এই পুরস্কারটি টানা দুবার জিতেছিলেন রোনালদো। টানা তৃতীয়বার হয়নি সাবেক সতীর্থ মদ্রিচের সাফল্যের কারণে।
অবশ্য এসব নিয়ে ভাবনা নেই বর্তমান জুভেন্তাস তারকার। তার মতে, দলকে সাফল্য এনে দিলে এই পুরস্কারগুলো এমনিতেই চলে আসবে। এক সংবাদ মাধ্যমকে রোনালদো এ ব্যাপারে বলেন, ‘ব্যক্তিগত পুরস্কার না পেলেও মন খারাপ হয় না আমার। গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের হয়ে ভূমিকা রাখা। সবসময় এটা করে গেলে বাকি সাফল্য এমনিতেই ধরা দেয়। সত্যি বলতে, আমি পুরস্কার পেলে খুবই খুশি হই। এগুলো আপনার অর্জন, অবশ্যই আপনি খুশি হবেন। কিন্তু এমন না যে পুরস্কার পেলাম না বলে আমার পৃথিবীটাই শেষ।’
গত বছর দেশ ও ক্লাবের হয়ে মোট ৫৩ ম্যাচে ৪৯ গোল করেছেন রোনালদো। মাত্র এক গোলের জন্য টানা নবমবারের মতো বছরে ৫০ বা তার বেশি গোলের রেকর্ড গড়া হয়নি। তবুও রোনালদোর খুশির কারণ সর্বোচ্চ গোলস্কোরার (১৪টি) হয়ে জুভেন্তাসকে টানছেন। ১৯৯৬-এর পর ইতালি জায়ান্টদের প্রথম ইউরোপিয়ান শিরোপা এনে দেওয়ার লক্ষ্য তার।