ব্রিজ খেলা, জুয়া নয়
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
দ্বিতীয়বারের মতো ব্রিজ বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ব্রিজ দল। চীনের টুর্নামেন্টে খেলবে ৬ সদস্যের বাংলাদেশ দল। দেশ ছাড়ার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে খেলাটি নিয়ে জনমনে তৈরি হওয়া নেতিবাচক ধারণা ভেঙে দিতে চাইলেন ব্রিজ ফেডারেশনের কর্তারা। বিশ্বব্যাপী বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় এই খেলাটি এদেশের অনেকেই বাঁকা চোখে দেখেন। অনেকে মনে করেন তাসের খেলা ব্রিজ মানেই জুয়া। কিন্তু এটা যে জুয়া নয়, এটা যে নিছক একটা বুদ্ধিভিত্তিক খেলা, গত এশিয়ান গেমসে খেলাটি অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়েই প্রমাণিত। এমনকি ২০২৪ অলিম্পিক গেমসেও অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে ব্রিজ। অথচ এটাকে জুয়া মনে করে অনেকেই এই খেলাটির পৃষ্ঠপোষকতা করছেন না। এমনকি সরকারের কাছ থেকেও সেভাবে সহায়তা পাচ্ছে না, দাবি ফেডারেশনের।
গেলবার ২২ দলের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। সেবার সবার শেষে থাকলেও ইতালি, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশ্বসেরা দলগুলোকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। জুনে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তারা ভারত, পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। অথচ এদেশে ব্রিজ খেলোয়াড়দের নিয়মিত অনুশীলন কিংবা খেলার জন্য নির্ধারিত কোনো জায়গা নেই। আর এটাকেই বড় প্রতিবন্ধকতা মনে করেন ফেডারেশনের সভাপতি মুশফিকুর রহমান মোহন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চার বছর ধরে সরকারের কাছে একটা ৭০০০ বর্গফুট ওপেন ফ্লোর চাচ্ছি যাতে একসঙ্গে ১০০ টেবিল বসানো যায়। স্থায়ীভাবে না হোক অস্থায়ী ভিত্তিতে জায়গটা পেলে কথা দিতে পারি আমরা এশিয়ান গেমসের পদক এনে দেব।’ আশার কথা হলো, ‘কোনো পৃষ্ঠপোষক না পেলেও জাতীয় দলের যাবতীয় খরচ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বহন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে তারা জায়গার বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে দেখবেন।’
ব্রিজ নিয়ে নেতিবাচক ধারণা ভেঙে দিতে পারলে খেলাটির ভবিষ্যৎ ভালো বলে মনে করেন ফেডারেশন সভাপতি, ‘মানুষ যদি এটা বুঝতে পারে যে ব্রিজ একটা খেলা, জুয়া নয়; তাহলেই দেখবেন অনেকে এগিয়ে আসবে। আমাদের বর্তমান জাতীয় দলের একজন উপসচিব পদে নিয়োজিত। এছাড়া একজন একটি স্বনামধন্য করপোরেট হাউজে কর্মরত। এছাড়া বাকি ছ’জন বিভিন্ন ব্যাংকে চাকরি করেন। এদেশের সাড়ে তিনশর মতো ব্রিজ খেলোয়াড় আছেন যারা সমাজের বড় বড় জায়গায় রয়েছেন। ব্রিজ দিয়ে জুয়া খেলা যায় না। কিন্তু তাসের খেলা বলে অনেকেই এটাকে জুয়া মনে করেন। এই ধারণাটা আগে পাল্টাতে হবে।’
বিশ্বকাপে ১৮তম স্থান পাওয়ার আশা মোহনের। আর তাহলে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ৫ লাখ টাকা করে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয় ফেডারেশনের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ ব্রিজ দল : মনিরুল ইসলাম, আসিফুর রহমান চৌধুরী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান সোহাগ, রাশেদুল আহসান, শাহ মোহাম্মদ জিয়াউল হক এবং মশিউর রহমান।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

দ্বিতীয়বারের মতো ব্রিজ বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ব্রিজ দল। চীনের টুর্নামেন্টে খেলবে ৬ সদস্যের বাংলাদেশ দল। দেশ ছাড়ার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে খেলাটি নিয়ে জনমনে তৈরি হওয়া নেতিবাচক ধারণা ভেঙে দিতে চাইলেন ব্রিজ ফেডারেশনের কর্তারা। বিশ্বব্যাপী বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় এই খেলাটি এদেশের অনেকেই বাঁকা চোখে দেখেন। অনেকে মনে করেন তাসের খেলা ব্রিজ মানেই জুয়া। কিন্তু এটা যে জুয়া নয়, এটা যে নিছক একটা বুদ্ধিভিত্তিক খেলা, গত এশিয়ান গেমসে খেলাটি অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়েই প্রমাণিত। এমনকি ২০২৪ অলিম্পিক গেমসেও অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে ব্রিজ। অথচ এটাকে জুয়া মনে করে অনেকেই এই খেলাটির পৃষ্ঠপোষকতা করছেন না। এমনকি সরকারের কাছ থেকেও সেভাবে সহায়তা পাচ্ছে না, দাবি ফেডারেশনের।
গেলবার ২২ দলের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। সেবার সবার শেষে থাকলেও ইতালি, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশ্বসেরা দলগুলোকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। জুনে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তারা ভারত, পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। অথচ এদেশে ব্রিজ খেলোয়াড়দের নিয়মিত অনুশীলন কিংবা খেলার জন্য নির্ধারিত কোনো জায়গা নেই। আর এটাকেই বড় প্রতিবন্ধকতা মনে করেন ফেডারেশনের সভাপতি মুশফিকুর রহমান মোহন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চার বছর ধরে সরকারের কাছে একটা ৭০০০ বর্গফুট ওপেন ফ্লোর চাচ্ছি যাতে একসঙ্গে ১০০ টেবিল বসানো যায়। স্থায়ীভাবে না হোক অস্থায়ী ভিত্তিতে জায়গটা পেলে কথা দিতে পারি আমরা এশিয়ান গেমসের পদক এনে দেব।’ আশার কথা হলো, ‘কোনো পৃষ্ঠপোষক না পেলেও জাতীয় দলের যাবতীয় খরচ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বহন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে তারা জায়গার বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে দেখবেন।’
ব্রিজ নিয়ে নেতিবাচক ধারণা ভেঙে দিতে পারলে খেলাটির ভবিষ্যৎ ভালো বলে মনে করেন ফেডারেশন সভাপতি, ‘মানুষ যদি এটা বুঝতে পারে যে ব্রিজ একটা খেলা, জুয়া নয়; তাহলেই দেখবেন অনেকে এগিয়ে আসবে। আমাদের বর্তমান জাতীয় দলের একজন উপসচিব পদে নিয়োজিত। এছাড়া একজন একটি স্বনামধন্য করপোরেট হাউজে কর্মরত। এছাড়া বাকি ছ’জন বিভিন্ন ব্যাংকে চাকরি করেন। এদেশের সাড়ে তিনশর মতো ব্রিজ খেলোয়াড় আছেন যারা সমাজের বড় বড় জায়গায় রয়েছেন। ব্রিজ দিয়ে জুয়া খেলা যায় না। কিন্তু তাসের খেলা বলে অনেকেই এটাকে জুয়া মনে করেন। এই ধারণাটা আগে পাল্টাতে হবে।’
বিশ্বকাপে ১৮তম স্থান পাওয়ার আশা মোহনের। আর তাহলে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ৫ লাখ টাকা করে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয় ফেডারেশনের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ ব্রিজ দল : মনিরুল ইসলাম, আসিফুর রহমান চৌধুরী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান সোহাগ, রাশেদুল আহসান, শাহ মোহাম্মদ জিয়াউল হক এবং মশিউর রহমান।