ইন্দোরের উইকেটে ধৈর্যে মিলবে সাফল্য
ক্রীড়া প্রতিবেদক, ইন্দোর থেকে | ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
কেমন হতে পারে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টেস্টের উইকেট? মধ্য প্রদেশের এই হলকার স্টেডিয়ামের উইকেট সম্পর্কে যারা জানেন তাদের একই কথা–স্পোর্টিং উইকেট।
ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে গতকাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে একজন বললেন, এটা তিন পেসার খেলানোর মতো উইকেট কি না। ‘পিচের দিকে তাকালে তেমনই মনে হয়’–কোহলি এই জবাব দিয়েছিলেন। আর বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক উইকেট প্রশ্নে জানিয়ে গেছেন, ‘যতটুকু দেখেছি আমার কাছে খুব ভালো উইকেট। ব্যাটিংয়ের জন্য খুব সহায়ক হবে। আমার কাছে মনে হয়েছে খুব স্পোর্টিং হবে।’
এখানে এখন পর্যন্ত একটা টেস্ট খেলেছে ভারত। ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডকে ৩২১ রানে হারানো সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে কোহলি ২১১ আর আজিঙ্কা রাহানে ১৮৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ১৬৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৫৫৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। কিন্তু শেষে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ওই ম্যাচে অশ্বিন প্রথম ইনিংসে ৬ এর পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নেন। বাঁহাতি স্পিনার রবিন্দ্র জাদেজার শিকার ছিল ২টি করে ৪ উইকেট। মানে স্পিনারদের শিকার ছিল ২০ উইকেটের মধ্যে ১৭ টি। অনেকে বলবেন, নিউজিল্যান্ড স্পিনে অভিজ্ঞ নয় বলে ওই ম্যাচে এক বোলার কম নিয়ে খেলেছিল ভারত। দুই পেসার ছিলেন মোহাম্মদ শামি ও উমেষ যাদব। উমেষ দ্বিতীয় ইনিংসে ১টি উইকেট পেয়েছিলেন। শামি ছিলেন উইকেটশূন্য। দুটি রান আউট ছিল নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে। ১৩৫ ওভারের মতো টিকেছিল তারা দুই ইনিংস মিলে।
গতকাল বিকেলেও টেস্টের উইকেটকে বেশ সবুজ লেগেছে। বলা হচ্ছে, প্রথম দিকে পেসাররা সহায়তা পাবেন। তবে ব্যাটসম্যানরা মাথা নিচু রাখতে পারলে খুব ভালো প্রতিদান মিলবে। স্পিনারদের জন্য ভারতের উইকেট সময়ের সঙ্গে বন্ধু হয়ে যায়। এখানেও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা জানাচ্ছে না ঘরোয়া ক্রিকেটের রেকর্ড কিংবা বিশেষজ্ঞদের কেউ। কিন্তু একটা কথা জানাচ্ছেন সবাই, এখানে সাফল্য পেতে ব্যাটসম্যানদের টেস্টের মৌলিক কথা ‘ধৈর্য’ পালন ছাড়া উপায় নেই।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া প্রতিবেদক, ইন্দোর থেকে | ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

কেমন হতে পারে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টেস্টের উইকেট? মধ্য প্রদেশের এই হলকার স্টেডিয়ামের উইকেট সম্পর্কে যারা জানেন তাদের একই কথা–স্পোর্টিং উইকেট।
ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে গতকাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে একজন বললেন, এটা তিন পেসার খেলানোর মতো উইকেট কি না। ‘পিচের দিকে তাকালে তেমনই মনে হয়’–কোহলি এই জবাব দিয়েছিলেন। আর বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক উইকেট প্রশ্নে জানিয়ে গেছেন, ‘যতটুকু দেখেছি আমার কাছে খুব ভালো উইকেট। ব্যাটিংয়ের জন্য খুব সহায়ক হবে। আমার কাছে মনে হয়েছে খুব স্পোর্টিং হবে।’
এখানে এখন পর্যন্ত একটা টেস্ট খেলেছে ভারত। ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডকে ৩২১ রানে হারানো সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে কোহলি ২১১ আর আজিঙ্কা রাহানে ১৮৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ১৬৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৫৫৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। কিন্তু শেষে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ওই ম্যাচে অশ্বিন প্রথম ইনিংসে ৬ এর পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নেন। বাঁহাতি স্পিনার রবিন্দ্র জাদেজার শিকার ছিল ২টি করে ৪ উইকেট। মানে স্পিনারদের শিকার ছিল ২০ উইকেটের মধ্যে ১৭ টি। অনেকে বলবেন, নিউজিল্যান্ড স্পিনে অভিজ্ঞ নয় বলে ওই ম্যাচে এক বোলার কম নিয়ে খেলেছিল ভারত। দুই পেসার ছিলেন মোহাম্মদ শামি ও উমেষ যাদব। উমেষ দ্বিতীয় ইনিংসে ১টি উইকেট পেয়েছিলেন। শামি ছিলেন উইকেটশূন্য। দুটি রান আউট ছিল নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে। ১৩৫ ওভারের মতো টিকেছিল তারা দুই ইনিংস মিলে।
গতকাল বিকেলেও টেস্টের উইকেটকে বেশ সবুজ লেগেছে। বলা হচ্ছে, প্রথম দিকে পেসাররা সহায়তা পাবেন। তবে ব্যাটসম্যানরা মাথা নিচু রাখতে পারলে খুব ভালো প্রতিদান মিলবে। স্পিনারদের জন্য ভারতের উইকেট সময়ের সঙ্গে বন্ধু হয়ে যায়। এখানেও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা জানাচ্ছে না ঘরোয়া ক্রিকেটের রেকর্ড কিংবা বিশেষজ্ঞদের কেউ। কিন্তু একটা কথা জানাচ্ছেন সবাই, এখানে সাফল্য পেতে ব্যাটসম্যানদের টেস্টের মৌলিক কথা ‘ধৈর্য’ পালন ছাড়া উপায় নেই।