ভারতের উত্থানের কারণ বললেন কোহলি
ক্রীড়া ডেস্ক | ২২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
টেস্ট র্যাংকিংয়ে এক নম্বর দল ভারত। বাংলাদেশ পড়ে আছে নয় নম্বরে। কেবল র্যাংকিংই নয়, টেস্টে নামলে দুদলের বিস্তর তফাৎ বোঝা যায় শরীরী ভাষায়, খেলার ধরনে। ভারতের উন্নতির পেছনের কারণ বলে দিয়েছেন বিরাট কোহলিÑ অর্থনৈতিক। ভারত, ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা টেস্ট খেলতে উদগ্রীব। তাদের মাঠের পারফরম্যান্সও হয় তেমনি। বাকি দলগুলোর মধ্যে অনেকেই দীর্ঘ পরিসরের অভিজাত এই সংস্করণে ভুগে থাকে। তারকা খেলোয়াড়দের টেস্টে খেলতে অনেক সময়ই দেখা যায় অনীহা। সেটা কখনো আড়ালে থাকে, কখনো চলে আসে প্রকাশ্যে।
আইসিসি র্যাংকিংয়ের ওপরের কয়েকটি দল শক্তিশালী হচ্ছে, ধুঁকছে নিচের দিকের দলগুলো। কোহলি অন্যদের বিষয় না ঘেঁটে নিজেদের দিয়েই দিয়েছেন উদাহরণ, ‘অন্য দল বা বোর্ড কীভাবে বিষয়টা দেখে, সামলায় তা বলতে পারব না। আমাদের ও বিসিসিআই’র দিক থেকে গত দুই-তিন বছরে আলোচনার ভিত্তিতে টেস্ট ক্রিকেটকে ঠিক জায়গায় নিয়ে গেছি। দুপক্ষ থেকে যেমন প্রতিশ্রুতি দরকার তা দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে উঁচুতে নিয়ে গেছি।’
‘দেখে থাকবেন দল হিসেবে গত ২/৩ বছরে আমরা কতটা রোমাঞ্চকর জায়গায় পৌঁছেছি। আমি মনে করি, এটা বোর্ড ও খেলোয়াড়দের একটা সুন্দর জুটির মতো, যা সঠিক পথে এগিয়ে নিচ্ছে সব। যদি চুক্তির ব্যাপারটা দেখেন, তাহলে দেখবেন টেস্ট ক্রিকেটারদের যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়।’
তারকা ও উঠতি খেলোয়াড়দের টেস্ট ক্রিকেটে আকৃষ্ট করে রাখতে বিসিসিআই এই সংস্করণেই দেয় সর্বোচ্চ ম্যাচ ফি। যেমন- দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ তিন টেস্টের হোম সিরিজ খেলে কোহলি পেয়েছেন ৬৫ লাখ ৬ হাজার ৮০৮ রুপি। বাংলাদেশের টাকায় তা ৭৬ লাখের বেশি। অর্থাৎ প্রতি টেস্টের জন্য ম্যাচ ফি হিসেবে কোহলি পেয়েছেন ২৫ লাখ টাকার বেশি। অপরদিকে একটি টেস্ট খেলার জন্য ম্যাচ ফি হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পান সাড়ে তিন লাখ টাকা।
কোহলি মনে করেন, টেস্ট ক্রিকেটকে যদি বলা হয় সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেট, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরম্যাট, তাহলে সেখানে সব কিছুই সেভাবে করা উচিত, ‘আপনি শুধু ক্রিকেটারদেরই টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি নিবেদিত হতে বলতে পারেন না। আমরা পেশাদার ক্রিকেটার। এটা আমাদের রুটি-রুজি। যখন বলা হবে টেস্ট ক্রিকেট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তখন সবকিছুই (অর্থনৈতিক) সেই হিসেব মেনেই হওয়া উচিত।’ ম্যাচ ফি বেশি থাকায় ভারতের ক্রিকেটাররা টেস্টের প্রতি ভীষণ আগ্রহী। টেস্ট দলে জায়গা পেতে সবাই থাকেন উন্মুখ। কোহলির মতে, এটাই নাকি সার্বিক খেলার মানকে নিয়ে যায় আরও উঁচুতে।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া ডেস্ক | ২২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

টেস্ট র্যাংকিংয়ে এক নম্বর দল ভারত। বাংলাদেশ পড়ে আছে নয় নম্বরে। কেবল র্যাংকিংই নয়, টেস্টে নামলে দুদলের বিস্তর তফাৎ বোঝা যায় শরীরী ভাষায়, খেলার ধরনে। ভারতের উন্নতির পেছনের কারণ বলে দিয়েছেন বিরাট কোহলিÑ অর্থনৈতিক। ভারত, ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা টেস্ট খেলতে উদগ্রীব। তাদের মাঠের পারফরম্যান্সও হয় তেমনি। বাকি দলগুলোর মধ্যে অনেকেই দীর্ঘ পরিসরের অভিজাত এই সংস্করণে ভুগে থাকে। তারকা খেলোয়াড়দের টেস্টে খেলতে অনেক সময়ই দেখা যায় অনীহা। সেটা কখনো আড়ালে থাকে, কখনো চলে আসে প্রকাশ্যে।
আইসিসি র্যাংকিংয়ের ওপরের কয়েকটি দল শক্তিশালী হচ্ছে, ধুঁকছে নিচের দিকের দলগুলো। কোহলি অন্যদের বিষয় না ঘেঁটে নিজেদের দিয়েই দিয়েছেন উদাহরণ, ‘অন্য দল বা বোর্ড কীভাবে বিষয়টা দেখে, সামলায় তা বলতে পারব না। আমাদের ও বিসিসিআই’র দিক থেকে গত দুই-তিন বছরে আলোচনার ভিত্তিতে টেস্ট ক্রিকেটকে ঠিক জায়গায় নিয়ে গেছি। দুপক্ষ থেকে যেমন প্রতিশ্রুতি দরকার তা দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে উঁচুতে নিয়ে গেছি।’
‘দেখে থাকবেন দল হিসেবে গত ২/৩ বছরে আমরা কতটা রোমাঞ্চকর জায়গায় পৌঁছেছি। আমি মনে করি, এটা বোর্ড ও খেলোয়াড়দের একটা সুন্দর জুটির মতো, যা সঠিক পথে এগিয়ে নিচ্ছে সব। যদি চুক্তির ব্যাপারটা দেখেন, তাহলে দেখবেন টেস্ট ক্রিকেটারদের যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়।’
তারকা ও উঠতি খেলোয়াড়দের টেস্ট ক্রিকেটে আকৃষ্ট করে রাখতে বিসিসিআই এই সংস্করণেই দেয় সর্বোচ্চ ম্যাচ ফি। যেমন- দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ তিন টেস্টের হোম সিরিজ খেলে কোহলি পেয়েছেন ৬৫ লাখ ৬ হাজার ৮০৮ রুপি। বাংলাদেশের টাকায় তা ৭৬ লাখের বেশি। অর্থাৎ প্রতি টেস্টের জন্য ম্যাচ ফি হিসেবে কোহলি পেয়েছেন ২৫ লাখ টাকার বেশি। অপরদিকে একটি টেস্ট খেলার জন্য ম্যাচ ফি হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পান সাড়ে তিন লাখ টাকা।
কোহলি মনে করেন, টেস্ট ক্রিকেটকে যদি বলা হয় সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেট, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরম্যাট, তাহলে সেখানে সব কিছুই সেভাবে করা উচিত, ‘আপনি শুধু ক্রিকেটারদেরই টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি নিবেদিত হতে বলতে পারেন না। আমরা পেশাদার ক্রিকেটার। এটা আমাদের রুটি-রুজি। যখন বলা হবে টেস্ট ক্রিকেট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তখন সবকিছুই (অর্থনৈতিক) সেই হিসেব মেনেই হওয়া উচিত।’ ম্যাচ ফি বেশি থাকায় ভারতের ক্রিকেটাররা টেস্টের প্রতি ভীষণ আগ্রহী। টেস্ট দলে জায়গা পেতে সবাই থাকেন উন্মুখ। কোহলির মতে, এটাই নাকি সার্বিক খেলার মানকে নিয়ে যায় আরও উঁচুতে।