বিবর্ণ রিয়ালকে চমকে দিল শাখতার
ক্রীড়া ডেস্ক | ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০
চ্যাম্পিয়নস লিগের শুরুতেই বিশাল হোঁচট খেল রিয়াল মাদ্রিদ। ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা হেরে গেছে দ্বিতীয় শক্তির শাখতার দোনেৎস্কের কাছে। করোনাভাইরাস ও ইনজুরি আক্রান্ত ইউক্রেনের দলটি সেরা একাদশের ১০ জনকে ছাড়াই রিয়ালের বিকল্প মাঠ আলফ্রেডো ডি স্টেফানো মাঠে খেলতে নেমেছিল। কিন্তু মাত্র ১৩ মিনিটে ৩ গোল হজম করে মাদ্রিদ জায়ান্টরা। শেষ পর্যন্ত হেরেছে অবশেষে ঘরের মাঠে তাদের হার ৩-২ গোলে। কোচ জিনেদিন জিদানের মতে আত্মবিশ্বাসের অভাব তাদের টানা দুটি ম্যাচে হারের কারণ। চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচের আগে লা লিগায় কাদিজের কাছে হেরেছিল মাদ্রিদ। সামনের শনিবার এল ক্লাসিকোর আগে টানা দুই হার রিয়ালকে আরও সমস্যায় ফেলছে।
মাত্র তিন মাস আগে রক্ষণের শক্তি ও জয়ের অদম্য ইচ্ছা রিয়ালকে লা লিগা শিরোপা এনে দিয়েছিল। কিন্তু সেই দলটাই এখন কেমন ভঙ্গুর। গত মৌসুমে ৩৮ ম্যাচে ২৫টি গোল হজম করেছিল রিয়াল। সেই দলটির রক্ষণকে নিয়ে নিজেদের মতো খেলেছিল কাদিজ। এবার শাখতারও একই কাজ করল। মাত্র তিনটি ৩-২ গোলে। অথচ করোনার বিরতি শেষে লা লিগা শুরুর পর ৯ ম্যাচে মাত্র ৩টি গোল হজম করেছিল রিয়াল। দুর্বল পারফরম্যান্স, ভুল পাসের ছড়াছড়ি বলে দিচ্ছে জুন-জুলাইয়ের ছন্দে নেই রিয়াল। কোচ জিদানও স্বীকার করেছেন আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে তাদের, ‘আমাদের সব কিছুই হারিয়ে গেছে, সবচেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাস, যা একটি দলের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এখন আমাদের শান্ত থাকতে হবে। মাথা ঠা-া রাখতে হবে। খুবই খারাপ একটি রাত কেটেছে। এখান থেকে দ্রুত ভালো কিছু করতে হবে আমাদের।’
সবার হিসাবেই ‘বি’ গ্রুপের দুর্বল প্রতিপক্ষ ভাবা হচ্ছিল গত চারবারের ইউক্রেনের চ্যাম্পিয়ন শাখতার দোনেৎস্ককে। কিন্তু তারাই মাত্র ১৩ মিনিটে রিয়ালকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। অধিনায়ক সার্জিও রামোসের অনুপস্থিতি রিয়ালের হারের অন্যতম কারণ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিদায়ের পর রামোস দ্যুতিতেই বেশিরভাগ ম্যাচে নির্ভর করতে হয়েছে রিয়ালকে। চ্যাম্পিয়নস লিগে রামোসকে ছাড়া জিততেই পারছে না মাদ্রিদ জায়ান্টরা। আসরে রামোসহীন খেলতে নেমে শেষ ৮ ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছে তারা। পরশু হারের শুরু ২৯ মিনিটে তেতের গোলে। মাত্র ৪ মিনিট পর রাফায়েল ভারানের আত্মঘাতী গোলে আবারও পিছিয়ে যায় রিয়াল। এখানে দুর্ভাগ্য রিয়ালের। তেতের জোরালো পাঞ্চ করে ফেরান থিবো কর্তুয়া। বল উড়ে যাচ্ছিল সামনের দিকে। সেখানে শাখতারের এক ফুটবলারের সঙ্গে ছিলেন ভারানে। বল ফেরাতে গিয়ে শট নেন, কিন্তু বল অন্যদিকে না গিয়ে চলে যায় নিজেদের জালে। তেতে রিয়ালের জন্য এদিন ত্রাসই ছিলেন বলতে হয়। কারণ ৪২ মিনিটে তার পাস থেকেই সলোমান তৃতীয় গোল করেন। বিরতির পর লুকা মদ্রিচ ও ভিনিসিউস জুনিয়র ৫ মিনিটের মধ্যে দুগোল করে ব্যবধান কমিয়ে খেলায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ইনজুরি সময়ে ফেদে ভালভার্দে সমতাসূচক গোলও করেছিলেন। কিন্তু ভিএআরে অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।
আগামীকাল বার্সেলোনার সঙ্গে এল ক্লাসিকো খেলে ২৮ অক্টোবর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলবে রিয়াল বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের মাঠে। বুধবার ‘বি’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে বুন্দেসলিগায় গতবারের চতুর্থ দল মিলানে গিয়ে ইন্তার মিলানের সঙ্গে ড্র করে এসেছে। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করে কোনোমতে ইন্তারের হার ঠেকান রোমেলু লুকাকুকে। ৪৯ মিনিটে লুকাকুই এগিয়ে নিয়েছিলেন ইন্তারকে। ৬৩ মিনিটে রামি বেনসেবাইন সমতা আনেন জার্মান ক্লাবের হয়ে। ৮৪ মিনিট আচে জোনাস হফম্যান এগিয়েও নেন তাদেরকে। কদিন আগের মিলান ডার্বি হারা ইন্তারকে টানা দুই হারের লজ্জা থেকে বাঁচান লুকাকু শেষ মিনিটে গোল করে। এই ইন্তারের সঙ্গে রিয়ালের খেলা ৩ নভেম্বর।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া ডেস্ক | ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০

চ্যাম্পিয়নস লিগের শুরুতেই বিশাল হোঁচট খেল রিয়াল মাদ্রিদ। ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা হেরে গেছে দ্বিতীয় শক্তির শাখতার দোনেৎস্কের কাছে। করোনাভাইরাস ও ইনজুরি আক্রান্ত ইউক্রেনের দলটি সেরা একাদশের ১০ জনকে ছাড়াই রিয়ালের বিকল্প মাঠ আলফ্রেডো ডি স্টেফানো মাঠে খেলতে নেমেছিল। কিন্তু মাত্র ১৩ মিনিটে ৩ গোল হজম করে মাদ্রিদ জায়ান্টরা। শেষ পর্যন্ত হেরেছে অবশেষে ঘরের মাঠে তাদের হার ৩-২ গোলে। কোচ জিনেদিন জিদানের মতে আত্মবিশ্বাসের অভাব তাদের টানা দুটি ম্যাচে হারের কারণ। চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচের আগে লা লিগায় কাদিজের কাছে হেরেছিল মাদ্রিদ। সামনের শনিবার এল ক্লাসিকোর আগে টানা দুই হার রিয়ালকে আরও সমস্যায় ফেলছে।
মাত্র তিন মাস আগে রক্ষণের শক্তি ও জয়ের অদম্য ইচ্ছা রিয়ালকে লা লিগা শিরোপা এনে দিয়েছিল। কিন্তু সেই দলটাই এখন কেমন ভঙ্গুর। গত মৌসুমে ৩৮ ম্যাচে ২৫টি গোল হজম করেছিল রিয়াল। সেই দলটির রক্ষণকে নিয়ে নিজেদের মতো খেলেছিল কাদিজ। এবার শাখতারও একই কাজ করল। মাত্র তিনটি ৩-২ গোলে। অথচ করোনার বিরতি শেষে লা লিগা শুরুর পর ৯ ম্যাচে মাত্র ৩টি গোল হজম করেছিল রিয়াল। দুর্বল পারফরম্যান্স, ভুল পাসের ছড়াছড়ি বলে দিচ্ছে জুন-জুলাইয়ের ছন্দে নেই রিয়াল। কোচ জিদানও স্বীকার করেছেন আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে তাদের, ‘আমাদের সব কিছুই হারিয়ে গেছে, সবচেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাস, যা একটি দলের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এখন আমাদের শান্ত থাকতে হবে। মাথা ঠা-া রাখতে হবে। খুবই খারাপ একটি রাত কেটেছে। এখান থেকে দ্রুত ভালো কিছু করতে হবে আমাদের।’
সবার হিসাবেই ‘বি’ গ্রুপের দুর্বল প্রতিপক্ষ ভাবা হচ্ছিল গত চারবারের ইউক্রেনের চ্যাম্পিয়ন শাখতার দোনেৎস্ককে। কিন্তু তারাই মাত্র ১৩ মিনিটে রিয়ালকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। অধিনায়ক সার্জিও রামোসের অনুপস্থিতি রিয়ালের হারের অন্যতম কারণ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিদায়ের পর রামোস দ্যুতিতেই বেশিরভাগ ম্যাচে নির্ভর করতে হয়েছে রিয়ালকে। চ্যাম্পিয়নস লিগে রামোসকে ছাড়া জিততেই পারছে না মাদ্রিদ জায়ান্টরা। আসরে রামোসহীন খেলতে নেমে শেষ ৮ ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছে তারা। পরশু হারের শুরু ২৯ মিনিটে তেতের গোলে। মাত্র ৪ মিনিট পর রাফায়েল ভারানের আত্মঘাতী গোলে আবারও পিছিয়ে যায় রিয়াল। এখানে দুর্ভাগ্য রিয়ালের। তেতের জোরালো পাঞ্চ করে ফেরান থিবো কর্তুয়া। বল উড়ে যাচ্ছিল সামনের দিকে। সেখানে শাখতারের এক ফুটবলারের সঙ্গে ছিলেন ভারানে। বল ফেরাতে গিয়ে শট নেন, কিন্তু বল অন্যদিকে না গিয়ে চলে যায় নিজেদের জালে। তেতে রিয়ালের জন্য এদিন ত্রাসই ছিলেন বলতে হয়। কারণ ৪২ মিনিটে তার পাস থেকেই সলোমান তৃতীয় গোল করেন। বিরতির পর লুকা মদ্রিচ ও ভিনিসিউস জুনিয়র ৫ মিনিটের মধ্যে দুগোল করে ব্যবধান কমিয়ে খেলায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ইনজুরি সময়ে ফেদে ভালভার্দে সমতাসূচক গোলও করেছিলেন। কিন্তু ভিএআরে অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।
আগামীকাল বার্সেলোনার সঙ্গে এল ক্লাসিকো খেলে ২৮ অক্টোবর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলবে রিয়াল বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের মাঠে। বুধবার ‘বি’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে বুন্দেসলিগায় গতবারের চতুর্থ দল মিলানে গিয়ে ইন্তার মিলানের সঙ্গে ড্র করে এসেছে। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করে কোনোমতে ইন্তারের হার ঠেকান রোমেলু লুকাকুকে। ৪৯ মিনিটে লুকাকুই এগিয়ে নিয়েছিলেন ইন্তারকে। ৬৩ মিনিটে রামি বেনসেবাইন সমতা আনেন জার্মান ক্লাবের হয়ে। ৮৪ মিনিট আচে জোনাস হফম্যান এগিয়েও নেন তাদেরকে। কদিন আগের মিলান ডার্বি হারা ইন্তারকে টানা দুই হারের লজ্জা থেকে বাঁচান লুকাকু শেষ মিনিটে গোল করে। এই ইন্তারের সঙ্গে রিয়ালের খেলা ৩ নভেম্বর।