দুর্দান্ত শুরু বায়ার্নের
ক্রীড়া ডেস্ক | ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০
২৩ আগস্ট পিএসজিকে লিসবনের ফাইনালে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। সেই শিরোপা রক্ষার মিশনটা ঘরের মাঠে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে হারিয়ে দারুণভাবে শুরু করল জার্মান জায়ান্টরা। ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল আত্মঘাতী গোলে ৫৪ বছর পর আয়াক্সের সঙ্গে দেখায় তাদেরই মাঠে হারিয়েছে। অপর ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি ৩-১ গোলে হারিয়েছে পোর্তোকে। একই গ্রুপে আতালান্তা ৪-০ গোলে হারিয়েছে ডেনিশ ক্লাব মিডজিল্যান্ডকে।
এই বছর পাঁচটি শিরোপাজয়ী বায়ার্ন দুর্দান্ত খেলে বুন্দেসলিগা শিরোপা জেতে। এবারও প্রথম ম্যাচেই দেখা গেল একই রকম গতি। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে এদিন শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলতে থাকে বায়ার্ন। গতবারের ফাইনালের গোলদাতা কিংসলে কোমান ২৩ মিনিটে এগিয়ে নেন তাদের। ৪১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লেওন গোরেস্কা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আতলেতিকোর ফেলিক্স বল জালে জড়িয়েছিলেন। তবে ভিএআরে বাতিল হয় সেই গোল। ৬৬ মিনিটে প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে বল জালে জড়ান বায়ার্নের তোলিসো। এর ৮ মিনিট পর ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন কোমান। পরে তিনি বলেন, ‘আমি আমার দুই গোল নিয়ে খুশি। গেল মৌসুমে ফাইনালে জয়সূচক গোলটি ভালো অনুপ্রেরণা কিন্তু এখন তা অতীত। এই মৌসুমে নতুন করে গোল করতে হবে।’ চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি বায়ার্নের টানা ১২তম জয়। আর আতলেতিকোর ডিয়েগো সিমিওনের অধীনে সবচেয়ে বাজে হারগুলোর একটি। গ্রুপের লোকোমোটিভ মস্কো ও সালজবুর্গের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়।
জিতেও চিন্তায় গার্দিওলা
ম্যানচেস্টার সিটির অন্যতম আক্ষেপের নাম চ্যাম্পিয়নস লিগ। কাড়ি কাড়ি পাউন্ড খরচ করে খেলোয়াড় কিনে, পেপ গার্দিওলার মতো কোচ এনেও কাক্সিক্ষত সাফল্য পায়নি তারা। গতবার রিয়াল মাদ্রিদকে শেষ ষোলোতে হারিয়ে কোয়ার্টারে উঠেও ফ্রান্সে লিওঁর সঙ্গে পেরে ওঠেনি। এবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩-১ গোলে হারিয়েছে এফসি পোর্তোকে। তবে ১৪ মিনিটে পিছিয়ে পড়েছিল তারা। তবে ২০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সেই গোল শোধ দেন সার্জিও আগুয়েরো। ২৩০ দিন পর গোল পেলেন এই আর্জেন্টাইন। ৬৫ মিনিটে ইকাই গুনদোগান এবং ৭৩ মিনিটে ফেরিন তোরেসের গোলে জয় নিশ্চিত হয় সিটিজেনদের। ৮৫ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন ফার্নান্দিনহো। চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন ছয় সপ্তাহের জন্য। কেভিন ডি ব্রুইনে নেই ইনজুরির কারণে। গুনদোগান কভিড-১৯ থেকে সেরে উঠে ম্যাচ শেষে নিজেই বললেন তিনি শতভাগ ফিট নন। তাই গার্দিওলার কপালে চিন্তার ভাঁজ।
আত্মঘাতীতে জয় লিভারপুলের
৫৪ বছর পর ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় আয়াক্সের সঙ্গে প্রথম দেখায় লিভারপুল জিতেছে ১-০ গোলে। ক্রুইফ অ্যারেনায় ডি গ্রুপের খেলার ৩৫ মিনিটে সাদিও মানের শট স্বাগতিক ডিফেন্ডার নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর পায়ে লেগে জালে জড়ায়। এর আগে ১৯৬৬’র ইউরোপিয়ান কাপে এই মাঠেই প্রথম দেখায় ৫-১ সালে আয়াক্সের কাছে হেরেছিল লিভারপুল। পরে নিজেদের মাঠে ড্র করে ২-২ গোলে।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া ডেস্ক | ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০

২৩ আগস্ট পিএসজিকে লিসবনের ফাইনালে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। সেই শিরোপা রক্ষার মিশনটা ঘরের মাঠে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে হারিয়ে দারুণভাবে শুরু করল জার্মান জায়ান্টরা। ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল আত্মঘাতী গোলে ৫৪ বছর পর আয়াক্সের সঙ্গে দেখায় তাদেরই মাঠে হারিয়েছে। অপর ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি ৩-১ গোলে হারিয়েছে পোর্তোকে। একই গ্রুপে আতালান্তা ৪-০ গোলে হারিয়েছে ডেনিশ ক্লাব মিডজিল্যান্ডকে।
এই বছর পাঁচটি শিরোপাজয়ী বায়ার্ন দুর্দান্ত খেলে বুন্দেসলিগা শিরোপা জেতে। এবারও প্রথম ম্যাচেই দেখা গেল একই রকম গতি। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে এদিন শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলতে থাকে বায়ার্ন। গতবারের ফাইনালের গোলদাতা কিংসলে কোমান ২৩ মিনিটে এগিয়ে নেন তাদের। ৪১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লেওন গোরেস্কা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আতলেতিকোর ফেলিক্স বল জালে জড়িয়েছিলেন। তবে ভিএআরে বাতিল হয় সেই গোল। ৬৬ মিনিটে প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে বল জালে জড়ান বায়ার্নের তোলিসো। এর ৮ মিনিট পর ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন কোমান। পরে তিনি বলেন, ‘আমি আমার দুই গোল নিয়ে খুশি। গেল মৌসুমে ফাইনালে জয়সূচক গোলটি ভালো অনুপ্রেরণা কিন্তু এখন তা অতীত। এই মৌসুমে নতুন করে গোল করতে হবে।’ চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি বায়ার্নের টানা ১২তম জয়। আর আতলেতিকোর ডিয়েগো সিমিওনের অধীনে সবচেয়ে বাজে হারগুলোর একটি। গ্রুপের লোকোমোটিভ মস্কো ও সালজবুর্গের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়।
জিতেও চিন্তায় গার্দিওলা
ম্যানচেস্টার সিটির অন্যতম আক্ষেপের নাম চ্যাম্পিয়নস লিগ। কাড়ি কাড়ি পাউন্ড খরচ করে খেলোয়াড় কিনে, পেপ গার্দিওলার মতো কোচ এনেও কাক্সিক্ষত সাফল্য পায়নি তারা। গতবার রিয়াল মাদ্রিদকে শেষ ষোলোতে হারিয়ে কোয়ার্টারে উঠেও ফ্রান্সে লিওঁর সঙ্গে পেরে ওঠেনি। এবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩-১ গোলে হারিয়েছে এফসি পোর্তোকে। তবে ১৪ মিনিটে পিছিয়ে পড়েছিল তারা। তবে ২০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সেই গোল শোধ দেন সার্জিও আগুয়েরো। ২৩০ দিন পর গোল পেলেন এই আর্জেন্টাইন। ৬৫ মিনিটে ইকাই গুনদোগান এবং ৭৩ মিনিটে ফেরিন তোরেসের গোলে জয় নিশ্চিত হয় সিটিজেনদের। ৮৫ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন ফার্নান্দিনহো। চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন ছয় সপ্তাহের জন্য। কেভিন ডি ব্রুইনে নেই ইনজুরির কারণে। গুনদোগান কভিড-১৯ থেকে সেরে উঠে ম্যাচ শেষে নিজেই বললেন তিনি শতভাগ ফিট নন। তাই গার্দিওলার কপালে চিন্তার ভাঁজ।
আত্মঘাতীতে জয় লিভারপুলের
৫৪ বছর পর ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় আয়াক্সের সঙ্গে প্রথম দেখায় লিভারপুল জিতেছে ১-০ গোলে। ক্রুইফ অ্যারেনায় ডি গ্রুপের খেলার ৩৫ মিনিটে সাদিও মানের শট স্বাগতিক ডিফেন্ডার নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর পায়ে লেগে জালে জড়ায়। এর আগে ১৯৬৬’র ইউরোপিয়ান কাপে এই মাঠেই প্রথম দেখায় ৫-১ সালে আয়াক্সের কাছে হেরেছিল লিভারপুল। পরে নিজেদের মাঠে ড্র করে ২-২ গোলে।