ফুটবলে আসক্ত করেন ম্যারাডোনা
শেখ মোহাম্মদ আসলাম | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
আমি যখন খেলি তার কিছু পরে ডিয়াগো ম্যারাডোনার বিশ্ব ফুটবলে আবির্ভাব। সত্যি বললে আমরা সে সময় তাকে অনুসরণ করে খেলতে চাইতাম। চাইতাম কিছু কিছু জিনিস রপ্ত করতে। কিন্তু হিমশিম খেয়ে যেতাম সেটা করতে গিয়ে। ম্যারাডোনা এমন কিছু জিনিস বিশ্ব ফুটবলকে দেখিয়ে গেছে, যেটা তিনি ছাড়া আর কেউ দেখাতে পারেননি। ম্যারাডোনা আমার চোখে একজন ক্ষণজন্মা খেলোয়াড়। এরকম খেলোয়াড় শতাব্দীতেও একজন পাওয়া যায়নি। ঐশ্বরিক শক্তি ছিল তার গায়ে। আর বলের ওপর দখল ছিল সহজাত। সেটা ছিল ঈশ্বর প্রদত্ত। যত রকম বিপত্তি আসুক, তিনি ঘুরেফিরে বলটা বাঁ পায়ে নিয়ে খেলতেন। একটা ফুটবলারকে পুরো ৯০ মিনিট ২৫ বার ফাউল করা হতো। এতেই বোঝা যায় ম্যারাডোনা কোন মাপের স্ট্রাইকার ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্ব ফুটবলে আসক্ত করে তুলেছিলেন ম্যারাডোনা। তার খেলা দেখেই এদেশের মানুষ ফুটবলের আসল সৌন্দর্যের স্বাদ পেয়েছে। ম্যারাডোনার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল, তিনি মানুষকে তার খেলা দিয়ে, পায়ের কারুকাজ দিয়ে নেশাগ্রস্ত করে রাখতেন। হা হয়ে, তার খেলা বিশ্ববাসী উপভোগ করত। এত বড় এন্টারটেইনার আর পাওয়া যাবে না। আমার মনে হয় প্রতিভা বিবেচনায় মানুষ তার খেলা অনেক কম দেখতে পেরেছে। ম্যারাডোনা আরও বহুদিন খেলতে পারতেন, যদি তার আশপাশের মানুষ তাকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারত। বিশ্ব তারকাদের খানিকটা আইসোলেটেড করে রাখতে হয়। যেটা এ সময় আমরা মেসি, রোনালদোর ক্ষেত্রে দেখি। কিন্তু ম্যারাডোনার ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। সমাজের নানা শ্রেণিতে মিশতে গিয়ে ম্যারাডোনা কখনো কখনো হেঁটেছেন ভুল পথে। তাই একটু আগেভাগেই তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে। যাই হোক অমোঘ পরিণতি মৃত্যুকে মেনে নিতেই হয়। কিন্তু আজ গোটা ফুটবল বিশ্বের জন্য বড্ড শোকের দিন। তারা সর্বকালের সেরা এন্টারটেইনারকে হারাল। তবে এটা ঠিক যে, কীর্তি সে তার পায়ের কারুকাজে রেখে গেছেন, তার জন্য তিনি কোটি ফুটবলপ্রেমীর হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন।
শেয়ার করুন
শেখ মোহাম্মদ আসলাম | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

আমি যখন খেলি তার কিছু পরে ডিয়াগো ম্যারাডোনার বিশ্ব ফুটবলে আবির্ভাব। সত্যি বললে আমরা সে সময় তাকে অনুসরণ করে খেলতে চাইতাম। চাইতাম কিছু কিছু জিনিস রপ্ত করতে। কিন্তু হিমশিম খেয়ে যেতাম সেটা করতে গিয়ে। ম্যারাডোনা এমন কিছু জিনিস বিশ্ব ফুটবলকে দেখিয়ে গেছে, যেটা তিনি ছাড়া আর কেউ দেখাতে পারেননি। ম্যারাডোনা আমার চোখে একজন ক্ষণজন্মা খেলোয়াড়। এরকম খেলোয়াড় শতাব্দীতেও একজন পাওয়া যায়নি। ঐশ্বরিক শক্তি ছিল তার গায়ে। আর বলের ওপর দখল ছিল সহজাত। সেটা ছিল ঈশ্বর প্রদত্ত। যত রকম বিপত্তি আসুক, তিনি ঘুরেফিরে বলটা বাঁ পায়ে নিয়ে খেলতেন। একটা ফুটবলারকে পুরো ৯০ মিনিট ২৫ বার ফাউল করা হতো। এতেই বোঝা যায় ম্যারাডোনা কোন মাপের স্ট্রাইকার ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্ব ফুটবলে আসক্ত করে তুলেছিলেন ম্যারাডোনা। তার খেলা দেখেই এদেশের মানুষ ফুটবলের আসল সৌন্দর্যের স্বাদ পেয়েছে। ম্যারাডোনার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল, তিনি মানুষকে তার খেলা দিয়ে, পায়ের কারুকাজ দিয়ে নেশাগ্রস্ত করে রাখতেন। হা হয়ে, তার খেলা বিশ্ববাসী উপভোগ করত। এত বড় এন্টারটেইনার আর পাওয়া যাবে না। আমার মনে হয় প্রতিভা বিবেচনায় মানুষ তার খেলা অনেক কম দেখতে পেরেছে। ম্যারাডোনা আরও বহুদিন খেলতে পারতেন, যদি তার আশপাশের মানুষ তাকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারত। বিশ্ব তারকাদের খানিকটা আইসোলেটেড করে রাখতে হয়। যেটা এ সময় আমরা মেসি, রোনালদোর ক্ষেত্রে দেখি। কিন্তু ম্যারাডোনার ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। সমাজের নানা শ্রেণিতে মিশতে গিয়ে ম্যারাডোনা কখনো কখনো হেঁটেছেন ভুল পথে। তাই একটু আগেভাগেই তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে। যাই হোক অমোঘ পরিণতি মৃত্যুকে মেনে নিতেই হয়। কিন্তু আজ গোটা ফুটবল বিশ্বের জন্য বড্ড শোকের দিন। তারা সর্বকালের সেরা এন্টারটেইনারকে হারাল। তবে এটা ঠিক যে, কীর্তি সে তার পায়ের কারুকাজে রেখে গেছেন, তার জন্য তিনি কোটি ফুটবলপ্রেমীর হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন।