কভিড পরীক্ষা ছাড়াই নামবে ৫শ অ্যাথলেট
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
কাল শুক্রবার থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের জোড়াতালির ট্র্যাকে শুরু হতে যাচ্ছে ৩৬তম জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকস। দু’দিনের এই আসরে ৬৪ জেলা, ৮ বিভাগ ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের প্রায় পাঁচ শতাধিক অ্যাথলেট অংশ নেবে। ১৪ বছর আগে বসানো ট্র্যাকের যে দশা, তাতে কিশোর-কিশোরী অ্যাথলেটদের খেলতে হবে বড় চোটের শঙ্কা নিয়ে। এর সঙ্গে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে কোনো কভিড-১৯ পরীক্ষা ছাড়াই হবে এই আসর।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠের চারপাশে ১০ কোটি টাকা খরচ করে ২০০৬ সালে বসানো হয়েছিল ট্র্যাক। যার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে আরও চার বছর আগে। পুরো ট্র্যাকে বিভিন্ন অংশ ছিঁড়ে-ফেটে একাকার। তাতে দেওয়া হয়েছিল তালি। সেগুলোও এখন আলগা হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মাঠের মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে বারবার অনুপযোগী ট্র্যাক তুলে নতুন ট্র্যাক স্থাপনের অনুরোধ করেও সুফল পায়নি বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। তাই বিকল্প না থাকায় এই ট্র্যাকেই তাদের আয়োজন করতে হয় নানা জাতীয় ও বয়সভিত্তিক আসর।
চারটি বয়সশ্রেণির ৪১ ইভেন্টের জুনিয়র মিট অবশ্য প্রথমে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে চেয়েছিল ফেডারেশন। কিন্তু নানা কারণেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে তারা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই করতে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অ্যাথলেটরা খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। করোনার বিরতির পর আমরা খেলার আয়োজন করছি। আর্মি স্টেডিয়ামে নানা কারণে আয়োজন করতে পারছি না। এখন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাক কিছুটা মেরামত করে আয়োজন করতে যাচ্ছি। যেসব জায়গা ছিঁড়ে-ফেটে গেছে সেখানে পেরেক দিয়ে লাগিয়ে নিচ্ছি। কী করব বলুন। আমাদের খেলা চালাতে হবে।’ ৫০০ অ্যাথলেটের এই আসরের আগে কভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা না করার জন্য আর্থিক সীমাবদ্ধতাকেই সামনে টেনে আনলেন মন্টু, ‘অ্যাথলেটদের করোনা পরীক্ষা করতে হলে প্রতিজনের জন্য সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে লাগবে। এখন তাদের তো পর্যাপ্ত টাকা নেই। সেই কারণে করোনা পরীক্ষা হবে না। তবে আমরা কেবল সুস্থদেরই খেলার সুযোগ দেব। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আয়োজন করব।’
অনুপযোগী ট্র্যাক আর কভিড-১৯ পরীক্ষা ছাড়া এই আসর আয়োজনের অন্যতম কারণ আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের বেঁধে দেওয়া নিয়ম পালন করা। নইলে বন্ধ হয়ে যাবে বার্ষিক অনুদান।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

কাল শুক্রবার থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের জোড়াতালির ট্র্যাকে শুরু হতে যাচ্ছে ৩৬তম জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকস। দু’দিনের এই আসরে ৬৪ জেলা, ৮ বিভাগ ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের প্রায় পাঁচ শতাধিক অ্যাথলেট অংশ নেবে। ১৪ বছর আগে বসানো ট্র্যাকের যে দশা, তাতে কিশোর-কিশোরী অ্যাথলেটদের খেলতে হবে বড় চোটের শঙ্কা নিয়ে। এর সঙ্গে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে কোনো কভিড-১৯ পরীক্ষা ছাড়াই হবে এই আসর।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠের চারপাশে ১০ কোটি টাকা খরচ করে ২০০৬ সালে বসানো হয়েছিল ট্র্যাক। যার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে আরও চার বছর আগে। পুরো ট্র্যাকে বিভিন্ন অংশ ছিঁড়ে-ফেটে একাকার। তাতে দেওয়া হয়েছিল তালি। সেগুলোও এখন আলগা হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মাঠের মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে বারবার অনুপযোগী ট্র্যাক তুলে নতুন ট্র্যাক স্থাপনের অনুরোধ করেও সুফল পায়নি বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। তাই বিকল্প না থাকায় এই ট্র্যাকেই তাদের আয়োজন করতে হয় নানা জাতীয় ও বয়সভিত্তিক আসর।
চারটি বয়সশ্রেণির ৪১ ইভেন্টের জুনিয়র মিট অবশ্য প্রথমে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে চেয়েছিল ফেডারেশন। কিন্তু নানা কারণেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে তারা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই করতে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অ্যাথলেটরা খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। করোনার বিরতির পর আমরা খেলার আয়োজন করছি। আর্মি স্টেডিয়ামে নানা কারণে আয়োজন করতে পারছি না। এখন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাক কিছুটা মেরামত করে আয়োজন করতে যাচ্ছি। যেসব জায়গা ছিঁড়ে-ফেটে গেছে সেখানে পেরেক দিয়ে লাগিয়ে নিচ্ছি। কী করব বলুন। আমাদের খেলা চালাতে হবে।’ ৫০০ অ্যাথলেটের এই আসরের আগে কভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা না করার জন্য আর্থিক সীমাবদ্ধতাকেই সামনে টেনে আনলেন মন্টু, ‘অ্যাথলেটদের করোনা পরীক্ষা করতে হলে প্রতিজনের জন্য সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে লাগবে। এখন তাদের তো পর্যাপ্ত টাকা নেই। সেই কারণে করোনা পরীক্ষা হবে না। তবে আমরা কেবল সুস্থদেরই খেলার সুযোগ দেব। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আয়োজন করব।’
অনুপযোগী ট্র্যাক আর কভিড-১৯ পরীক্ষা ছাড়া এই আসর আয়োজনের অন্যতম কারণ আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের বেঁধে দেওয়া নিয়ম পালন করা। নইলে বন্ধ হয়ে যাবে বার্ষিক অনুদান।