জেমির অভাব দল অনুভব করবেই : সালাউদ্দিন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
করোনায় আক্রান্ত কোচ জেমি ডে’র দলের সঙ্গে কাতারে না থাকাটা বড় ক্ষতি বলে মনে করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। কাতারের মতো এশীয় পরাশক্তির মোকাবিলার প্রস্তুতিটা জাতীয় দলকে সারতে হচ্ছে সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিসের অধীনে। নেপালের বিপক্ষে সিরিজ চলাবস্থায় কভিড পজিটিভ হন হেড কোচ জেমি ডে। এরপর চারবার পরীক্ষা করিয়েও সুখবর মিলেনি। ৪ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের আগে করোনামুক্ত হয়ে জেমির দলের সঙ্গে যোগ দেওয়াটা তাই এখন অনিশ্চিত। হেড কোচের অনুপস্থিতিতে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তাই প্রশ্ন আছে বাফুফে প্রধানের মনেই।
বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার করোনা জয় করে স্থানীয় লিগ শুরু করে দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও কোস্টারিকার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলে নিজেদের ঝালিয়েও নিয়েছে তারা। গত অক্টোবরে ঢাকায় বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারানো কাতার এবার দেশের মাটিতে চাইবে জয়ের ব্যবধানটা বড় করতে। সালাউদ্দিন তাই বলছেন, বাংলাদেশের জন্য কঠিন এক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, ‘কাতার এশিয়ার নাম্বার ওয়ান দল। কোনো তুলনা হয় না তাদের। আমাদের আশা কম। তিন সপ্তাহ আগে আট মাস বিরতির পর আমাদের ছেলেরা ফুটবল শুরু করেছে। নেপালের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের আগে জেমি পজিটিভ হয়েছিল। তার না থাকার প্রভাব নেপাল ম্যাচে সেভাবে পড়েনি। তবে কাতারের বিপক্ষে ম্যাচে প্রভাব পড়বে জেমির না থাকাটা।’ সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘নেপালের বিপক্ষে যে স্টাইলে খেলা হয়েছে, কাতারের বিপক্ষে খেলতে হবে ভিন্ন স্টাইলে। সহকারী কোচ সেই প্ল্যানে খেলাতে পারবে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। জেমির অভাবটা টিম অনুভব করবেই।’
কাতারের বিপক্ষে ম্যাচটা নিয়ে বড় আশা না করলেও সালাউদ্দিন ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ নিয়ে উচ্চাশা প্রকাশ করেছেন। এই দুটি ম্যাচই বাংলাদেশ খেলবে নিজেদের মাটিতে। ‘ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারতে চাই না। দুইটা ম্যাচে ভালো ফল করতে পারলে তাহলে আমি খুশি হব।’ কাতার ম্যাচের পর জাতীয় দলের জন্য নিয়মিত প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের কথা জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। তার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলেছেন তিনি।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

করোনায় আক্রান্ত কোচ জেমি ডে’র দলের সঙ্গে কাতারে না থাকাটা বড় ক্ষতি বলে মনে করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। কাতারের মতো এশীয় পরাশক্তির মোকাবিলার প্রস্তুতিটা জাতীয় দলকে সারতে হচ্ছে সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিসের অধীনে। নেপালের বিপক্ষে সিরিজ চলাবস্থায় কভিড পজিটিভ হন হেড কোচ জেমি ডে। এরপর চারবার পরীক্ষা করিয়েও সুখবর মিলেনি। ৪ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের আগে করোনামুক্ত হয়ে জেমির দলের সঙ্গে যোগ দেওয়াটা তাই এখন অনিশ্চিত। হেড কোচের অনুপস্থিতিতে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তাই প্রশ্ন আছে বাফুফে প্রধানের মনেই।
বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার করোনা জয় করে স্থানীয় লিগ শুরু করে দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও কোস্টারিকার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলে নিজেদের ঝালিয়েও নিয়েছে তারা। গত অক্টোবরে ঢাকায় বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারানো কাতার এবার দেশের মাটিতে চাইবে জয়ের ব্যবধানটা বড় করতে। সালাউদ্দিন তাই বলছেন, বাংলাদেশের জন্য কঠিন এক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, ‘কাতার এশিয়ার নাম্বার ওয়ান দল। কোনো তুলনা হয় না তাদের। আমাদের আশা কম। তিন সপ্তাহ আগে আট মাস বিরতির পর আমাদের ছেলেরা ফুটবল শুরু করেছে। নেপালের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের আগে জেমি পজিটিভ হয়েছিল। তার না থাকার প্রভাব নেপাল ম্যাচে সেভাবে পড়েনি। তবে কাতারের বিপক্ষে ম্যাচে প্রভাব পড়বে জেমির না থাকাটা।’ সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘নেপালের বিপক্ষে যে স্টাইলে খেলা হয়েছে, কাতারের বিপক্ষে খেলতে হবে ভিন্ন স্টাইলে। সহকারী কোচ সেই প্ল্যানে খেলাতে পারবে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। জেমির অভাবটা টিম অনুভব করবেই।’
কাতারের বিপক্ষে ম্যাচটা নিয়ে বড় আশা না করলেও সালাউদ্দিন ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ নিয়ে উচ্চাশা প্রকাশ করেছেন। এই দুটি ম্যাচই বাংলাদেশ খেলবে নিজেদের মাটিতে। ‘ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারতে চাই না। দুইটা ম্যাচে ভালো ফল করতে পারলে তাহলে আমি খুশি হব।’ কাতার ম্যাচের পর জাতীয় দলের জন্য নিয়মিত প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের কথা জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। তার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলেছেন তিনি।