বাংলাদেশই ফেভারিট : সিমন্স
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
বাংলাদেশে আসার পর হোটেল রুমেই বন্দি উইন্ডিজ দল। কালকের আগে নড়ার সুযোগ নেই। এর মধ্যেই প্রথম সংবাদ সম্মেলন করল ক্যারিবিয়ানরা। কোচ ফিল সিমন্স জানিয়েছেন করোনার সময়ে খেলার অভিজ্ঞতা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে আনকোরা দলের আসার কারণ এবং এই দলের উদ্দেশ্য। অনভিজ্ঞ দল হলেও সিরিজ জয়ে নজর সিমন্সের। কিন্তু বাংলাদেশে ২০১৮ সালে গত সফরে পুরো শক্তির দল নিয়েও হেরেছিল উইন্ডিজ। নিজে সেই দলের কোচ না থাকলেও অকপটেই স্বীকার করলেন এবারও বাংলাদেশ ফেভারিট।
করোনার সময়ে কঠিন অবস্থাতেও ইংল্যান্ড সফর করে ক্যারিবীয়রা। আবার বছরের শেষদিকে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হলে নিউজিল্যান্ড সফর করেছে তারাই। কিন্তু সেই ক্রিকেটাররাই পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে আসতে নারাজ। সেরা একাদশের প্রায় ১০ জন আসেননি। সিমন্স জানালেন এটা যার-যার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে এমন সুযোগটা নাকি তাদের আগেই দেওয়া হয়েছিল, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সিরিজের সময় ক্রিকেটারদের অপশন দেওয়া হয়েছিল। কেউ কেউ এক সিরিজ বাদ দিতে পারবে। এখন তারা সবাই এই সিরিজটা বাদ দিয়েছে। অবশ্যই তারা পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখানে আমার বলার কিছু নেই।’
দলের সিংহভাগ ক্রিকেটারই তরুণ এবং আন্তর্জাতিকে অনভিজ্ঞ। এমন দলের কোথায় শক্তি-দুর্বলতা দেখছেন কোচ? ‘আমাদের অনভিজ্ঞতাটা মিডল অর্ডারে আর লেট মিডল অর্ডারে। এই জায়গাগুলোতে আমরা কীভাবে সামলে উঠব তা এখনো ঠিক করিনি। কারণ আমরা এখনো অনুশীলন শুরু করতে পারিনি। প্রস্তুতি শুরুর পর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে কীভাবে আমরা এই জায়গাগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব তা দেখব।
বাংলাদেশের মতো এই সিরিজ দিয়ে ২০২৩ ওয়ানডে সুপার লিগ শুরু করছে উইন্ডিজও। তাই এ সিরিজে তরুণদের সুযোগ কাজে লাগাতে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছি আমরা। আর এমন সময়ে দলের সদস্যরা তরুণ এবং নতুন। আমি ওদের সবাইকে বলেছি যে এখানে তারা ফাঁকা জায়গা পূরণের জন্য আসেনি। এটা সুযোগ লুফে নেওয়ার সিরিজ। ওরা সবাই এখন উদ্দীপ্ত। ভালো করতে চায় এবং এই সিরিজ দিয়ে দলে জায়গা পাকা করতে চায়।’
সাকিব আল হাসানের ফেরা এবং মুশফিকুর রহিম-তামিম ইকবালদের মতো ক্রিকেটারদের দলকে এগিয়েই রাখছেন তিনি, ‘দলে অভিজ্ঞতা থাকলে অবশ্যই তা সিরিজে প্রভাব ফেলবে। আমরা অবশ্যই পিছিয়ে। তবে শুধু এই সিরিজ নয়। যেকোনো সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ। আর সব সিরিজের মতো এই সিরিজেও আমাদের জয়ের লক্ষ্য থাকবে। আমাদের দলটা কিন্তু এত খারাপ নয়। তরুণ হলেও ভারসাম্যপূর্ণ। আমাদের ৩ জন করে স্পিনার ও পেসার আছে। তবে আমরা কোন ফরমেশনে মানে ২ স্পিনার ৩ পেসার নেব কি-না তা ঠিক হয়নি। এটা অনুশীলন ও প্রস্তুতি ম্যাচের পর ঠিক করব।’
শেয়ার করুন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

বাংলাদেশে আসার পর হোটেল রুমেই বন্দি উইন্ডিজ দল। কালকের আগে নড়ার সুযোগ নেই। এর মধ্যেই প্রথম সংবাদ সম্মেলন করল ক্যারিবিয়ানরা। কোচ ফিল সিমন্স জানিয়েছেন করোনার সময়ে খেলার অভিজ্ঞতা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে আনকোরা দলের আসার কারণ এবং এই দলের উদ্দেশ্য। অনভিজ্ঞ দল হলেও সিরিজ জয়ে নজর সিমন্সের। কিন্তু বাংলাদেশে ২০১৮ সালে গত সফরে পুরো শক্তির দল নিয়েও হেরেছিল উইন্ডিজ। নিজে সেই দলের কোচ না থাকলেও অকপটেই স্বীকার করলেন এবারও বাংলাদেশ ফেভারিট।
করোনার সময়ে কঠিন অবস্থাতেও ইংল্যান্ড সফর করে ক্যারিবীয়রা। আবার বছরের শেষদিকে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হলে নিউজিল্যান্ড সফর করেছে তারাই। কিন্তু সেই ক্রিকেটাররাই পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে আসতে নারাজ। সেরা একাদশের প্রায় ১০ জন আসেননি। সিমন্স জানালেন এটা যার-যার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে এমন সুযোগটা নাকি তাদের আগেই দেওয়া হয়েছিল, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সিরিজের সময় ক্রিকেটারদের অপশন দেওয়া হয়েছিল। কেউ কেউ এক সিরিজ বাদ দিতে পারবে। এখন তারা সবাই এই সিরিজটা বাদ দিয়েছে। অবশ্যই তারা পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখানে আমার বলার কিছু নেই।’
দলের সিংহভাগ ক্রিকেটারই তরুণ এবং আন্তর্জাতিকে অনভিজ্ঞ। এমন দলের কোথায় শক্তি-দুর্বলতা দেখছেন কোচ? ‘আমাদের অনভিজ্ঞতাটা মিডল অর্ডারে আর লেট মিডল অর্ডারে। এই জায়গাগুলোতে আমরা কীভাবে সামলে উঠব তা এখনো ঠিক করিনি। কারণ আমরা এখনো অনুশীলন শুরু করতে পারিনি। প্রস্তুতি শুরুর পর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে কীভাবে আমরা এই জায়গাগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব তা দেখব।
বাংলাদেশের মতো এই সিরিজ দিয়ে ২০২৩ ওয়ানডে সুপার লিগ শুরু করছে উইন্ডিজও। তাই এ সিরিজে তরুণদের সুযোগ কাজে লাগাতে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছি আমরা। আর এমন সময়ে দলের সদস্যরা তরুণ এবং নতুন। আমি ওদের সবাইকে বলেছি যে এখানে তারা ফাঁকা জায়গা পূরণের জন্য আসেনি। এটা সুযোগ লুফে নেওয়ার সিরিজ। ওরা সবাই এখন উদ্দীপ্ত। ভালো করতে চায় এবং এই সিরিজ দিয়ে দলে জায়গা পাকা করতে চায়।’
সাকিব আল হাসানের ফেরা এবং মুশফিকুর রহিম-তামিম ইকবালদের মতো ক্রিকেটারদের দলকে এগিয়েই রাখছেন তিনি, ‘দলে অভিজ্ঞতা থাকলে অবশ্যই তা সিরিজে প্রভাব ফেলবে। আমরা অবশ্যই পিছিয়ে। তবে শুধু এই সিরিজ নয়। যেকোনো সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ। আর সব সিরিজের মতো এই সিরিজেও আমাদের জয়ের লক্ষ্য থাকবে। আমাদের দলটা কিন্তু এত খারাপ নয়। তরুণ হলেও ভারসাম্যপূর্ণ। আমাদের ৩ জন করে স্পিনার ও পেসার আছে। তবে আমরা কোন ফরমেশনে মানে ২ স্পিনার ৩ পেসার নেব কি-না তা ঠিক হয়নি। এটা অনুশীলন ও প্রস্তুতি ম্যাচের পর ঠিক করব।’