লেভা গতবারের সেরা তুমিই : মেসি
ক্রীড়া ডেস্ক | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
লিওনেল মেসি অন্য সবার চেয়ে বোধহয় এ জন্যই আলাদা। দুর্দান্ত একজন ফুটবলারের সঙ্গে অসম্ভব বিনয়ী। ২০২১ সালের ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের মঞ্চে আরও একবার মিলল তার প্রমাণ। মেসি নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী রবার্ট লেভানডোস্কির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে বললেন, সম্মানের। বললেন, ২০২০ ব্যালন ডি’অর পুরস্কার লেভানডোস্কিকে দিয়ে দেওয়া উচিত ‘ফ্রান্স ফুটবলে’র।
২০২০ সালে করোনাভাইরাসের কারণে দেওয়া হয়নি ব্যালন ডি’অর। ওই বছর এই পুরস্কার জেতার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা ছিল লেভানডোস্কির। ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। এবারের ব্যালন ডি’অর হাতে নিয়ে মেসি বললেন, গত বছরের পুরস্কারটা প্রাপ্য পোলিশ এই স্ট্রাইকারের, ‘আমি লেভানডোস্কির কথা বলতে চাই। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারাটা সত্যিই সম্মানের। সবাই জানে, আমরাও একমত যে তুমিই (লেভা) গত বছর ব্যালন ডি’অর বিজয়ী হতে। আমার মনে হয় ২০২০ সালের ব্যালন ডি’অর তোমাকে দেওয়া উচিত ফ্রান্স ফুটবলের। তুমি এটা প্রাপ্য এবং তোমার ঘরে এটা থাকা উচিত।’
এবারও মেসির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন লেভানডোস্কি। গত মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে বুন্দেসলিগায় রেকর্ড ৪১ গোল করেন লেভানডোস্কি। লেভা গেল মৌসুমে বায়ার্নের হয়ে ৪০ ম্যাচে ৪৮ গোল করেন। জাতীয় দলের হয়ে ১১ ম্যাচে করেন ৯ গোল। এই বছর বর্ষসেরা স্ট্রাইকার নামে নতুন এক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। যেটি জিতেছেন লেভানডোস্কি। মেসি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় লেভানডোস্কি দারুণ একটি বছর কাটিয়েছে। বছরের পর বছর সে উন্নতি করেছে এবং দেখিয়েছে কতটা দুর্দান্ত স্ট্রাইকার। তার গোল করার সক্ষমতাও দেখিয়েছে।’ এবার ব্যালন ডি’অর ভোটে মেসি পান ৬১৩ পয়েন্ট। লেভানডোস্কি মেসির চেয়ে ৩৩ পয়েন্ট কম পান (৫৮০)। বিশ্বজুড়ে ক্রীড়া সাংবাদিকদের প্যানেলের প্রত্যেকে ৫ জন করে খেলোয়াড় বেছে ৬, ৪, ৩, ২, ১ করে পয়েন্ট দিয়েছেন। পরে সেগুলোর যোগফলে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পান মেসি।
৩৩ বছরের লেভা পরে টুইটারে মেসিকে অভিনন্দন জানান। লেভানডোস্কি তার বর্ষসেরা স্ট্রাইকারের পুরস্কার হাতে ছবিসহ লেখেন, ‘শুরুতেই আমি লিওনেল মেসিকে অভিনন্দন জানাতে চাই ব্যালন ডি’অর জয়ের জন্য। মনোনীত হওয়া সবাই অভিনন্দন। আমি বর্ষসেরা স্ট্রাইকারের পুরস্কার জিতেছি। কোনো খেলোয়াড়ই শক্তিশালী একটি দল এবং সমর্থক ছাড়া এককভাবে পুরস্কার জিততে পারে না। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ সমর্থনের জন্য।’
শেয়ার করুন
ক্রীড়া ডেস্ক | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

লিওনেল মেসি অন্য সবার চেয়ে বোধহয় এ জন্যই আলাদা। দুর্দান্ত একজন ফুটবলারের সঙ্গে অসম্ভব বিনয়ী। ২০২১ সালের ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের মঞ্চে আরও একবার মিলল তার প্রমাণ। মেসি নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী রবার্ট লেভানডোস্কির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে বললেন, সম্মানের। বললেন, ২০২০ ব্যালন ডি’অর পুরস্কার লেভানডোস্কিকে দিয়ে দেওয়া উচিত ‘ফ্রান্স ফুটবলে’র।
২০২০ সালে করোনাভাইরাসের কারণে দেওয়া হয়নি ব্যালন ডি’অর। ওই বছর এই পুরস্কার জেতার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা ছিল লেভানডোস্কির। ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। এবারের ব্যালন ডি’অর হাতে নিয়ে মেসি বললেন, গত বছরের পুরস্কারটা প্রাপ্য পোলিশ এই স্ট্রাইকারের, ‘আমি লেভানডোস্কির কথা বলতে চাই। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারাটা সত্যিই সম্মানের। সবাই জানে, আমরাও একমত যে তুমিই (লেভা) গত বছর ব্যালন ডি’অর বিজয়ী হতে। আমার মনে হয় ২০২০ সালের ব্যালন ডি’অর তোমাকে দেওয়া উচিত ফ্রান্স ফুটবলের। তুমি এটা প্রাপ্য এবং তোমার ঘরে এটা থাকা উচিত।’
এবারও মেসির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন লেভানডোস্কি। গত মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে বুন্দেসলিগায় রেকর্ড ৪১ গোল করেন লেভানডোস্কি। লেভা গেল মৌসুমে বায়ার্নের হয়ে ৪০ ম্যাচে ৪৮ গোল করেন। জাতীয় দলের হয়ে ১১ ম্যাচে করেন ৯ গোল। এই বছর বর্ষসেরা স্ট্রাইকার নামে নতুন এক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। যেটি জিতেছেন লেভানডোস্কি। মেসি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় লেভানডোস্কি দারুণ একটি বছর কাটিয়েছে। বছরের পর বছর সে উন্নতি করেছে এবং দেখিয়েছে কতটা দুর্দান্ত স্ট্রাইকার। তার গোল করার সক্ষমতাও দেখিয়েছে।’ এবার ব্যালন ডি’অর ভোটে মেসি পান ৬১৩ পয়েন্ট। লেভানডোস্কি মেসির চেয়ে ৩৩ পয়েন্ট কম পান (৫৮০)। বিশ্বজুড়ে ক্রীড়া সাংবাদিকদের প্যানেলের প্রত্যেকে ৫ জন করে খেলোয়াড় বেছে ৬, ৪, ৩, ২, ১ করে পয়েন্ট দিয়েছেন। পরে সেগুলোর যোগফলে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পান মেসি।
৩৩ বছরের লেভা পরে টুইটারে মেসিকে অভিনন্দন জানান। লেভানডোস্কি তার বর্ষসেরা স্ট্রাইকারের পুরস্কার হাতে ছবিসহ লেখেন, ‘শুরুতেই আমি লিওনেল মেসিকে অভিনন্দন জানাতে চাই ব্যালন ডি’অর জয়ের জন্য। মনোনীত হওয়া সবাই অভিনন্দন। আমি বর্ষসেরা স্ট্রাইকারের পুরস্কার জিতেছি। কোনো খেলোয়াড়ই শক্তিশালী একটি দল এবং সমর্থক ছাড়া এককভাবে পুরস্কার জিততে পারে না। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ সমর্থনের জন্য।’