‘লেভারই পাওয়া উচিত ছিল’
| ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
টানা দুই মৌসুম বিপক্ষের পোস্টে গোল উৎসব করেছেন রবার্ট লেভানডোস্কি। ফিফা দা বেস্ট স্বীকৃতি পেয়েছেন ২০১৯-২০’র পারফরম্যান্সে। করোনার কারণে দেওয়া হয়নি বলে পাননি ২০২০-এর ব্যালন ডি’অর। পরের মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার ৪২ ম্যাচে করেছেন ৫৩ গোল। ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগের যে কোনো ফুটবলারের চেয়ে যা ১৫ গোল বেশি। ভেঙেছেন বুন্দেসলিগায় এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের জার্মান কিংবদন্তি জার্ড মুলারের ৪৯ বছর পুরনো রেকর্ড। প্রতি ৬৭ মিনিটে তার পা থেকে এসেছে একটি করে গোল। জিতেছেন জার্মান লিগ, কাপ, সুপার কাপ চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। তাই এবার ব্যালন ডি’অর জয়ে অন্যতম ফেভারিট ছিলেন লেভা। কিন্তু পুরস্কারের দিনে লিওনেল মেসির পেছনে থেকে গেলেন। এতে অসন্তুষ্ট বায়ার্নের আরেক কিংবদন্তি, জার্মানির ৯০-এর বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লোথার ম্যাথিউস। হতাশ কণ্ঠে বলেছেন, বিশ্বকে বিশ্বাস করা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
বায়ার্নে নিজের উত্তরসূরির ব্যালন ডি’অর না পাওয়াটা মানতেই পারছেন না ম্যাথিউস। ১৯৯০ বিশ্বকাপ জিতে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারজয়ী এই মিডফিল্ডার বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘সত্যি বলছি, এই ভোটের পর আমি বিশ্বকাপে আর বিশ্বাস করছি না, বুঝছি না। মেসি এবং মনোনয়ন পাওয়া অন্য সব ফুটবলারদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, লেভানডোস্কির চেয়ে বেশি কেউ এবারের পুরস্কারের যোগ্য ছিল না।’ অপর বায়ার্ন অধিনায়ক ও কিংবদন্তির গোলকিপার অলিভার কানও বিস্ময় প্রকাশ করেন ব্যালন ডি’অর বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে, ‘লেভানডোস্কি অবশ্যই এবারের ব্যালন ডি’অরের যোগ্য ছিল, যেমনটা সে গতবার দ্য বেস্টের জন্য ছিল। কারণ সে বছর জুড়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সবার চেয়ে ভালো পারফর্ম করেছে। যাই হোক মেসিকে অভিনন্দন। ব্যালন ডি’অর ছাড়াও লেভা ফুটবলের সেরাদের কাতারের একজন এবং সামনের বছরগুলোয় অবশ্যই সে এই পুরস্কারের যোগ্য হবে।’ তবে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি মনে করেন, যোগ্য হিসেবেই মেসি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। ‘মেসি এখনো দুর্দান্ত এক খেলোয়াড়। এই বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। খেলোয়াড়দের জন্য ব্যক্তিগত পুরস্কার গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তারা এটি জিততে না পারলেও কোনো সমস্যা নয়’ বলেছেন এই ইতালীয় কোচ। ইন্টারনেট।
শেয়ার করুন
| ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

টানা দুই মৌসুম বিপক্ষের পোস্টে গোল উৎসব করেছেন রবার্ট লেভানডোস্কি। ফিফা দা বেস্ট স্বীকৃতি পেয়েছেন ২০১৯-২০’র পারফরম্যান্সে। করোনার কারণে দেওয়া হয়নি বলে পাননি ২০২০-এর ব্যালন ডি’অর। পরের মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার ৪২ ম্যাচে করেছেন ৫৩ গোল। ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগের যে কোনো ফুটবলারের চেয়ে যা ১৫ গোল বেশি। ভেঙেছেন বুন্দেসলিগায় এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের জার্মান কিংবদন্তি জার্ড মুলারের ৪৯ বছর পুরনো রেকর্ড। প্রতি ৬৭ মিনিটে তার পা থেকে এসেছে একটি করে গোল। জিতেছেন জার্মান লিগ, কাপ, সুপার কাপ চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। তাই এবার ব্যালন ডি’অর জয়ে অন্যতম ফেভারিট ছিলেন লেভা। কিন্তু পুরস্কারের দিনে লিওনেল মেসির পেছনে থেকে গেলেন। এতে অসন্তুষ্ট বায়ার্নের আরেক কিংবদন্তি, জার্মানির ৯০-এর বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লোথার ম্যাথিউস। হতাশ কণ্ঠে বলেছেন, বিশ্বকে বিশ্বাস করা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
বায়ার্নে নিজের উত্তরসূরির ব্যালন ডি’অর না পাওয়াটা মানতেই পারছেন না ম্যাথিউস। ১৯৯০ বিশ্বকাপ জিতে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারজয়ী এই মিডফিল্ডার বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘সত্যি বলছি, এই ভোটের পর আমি বিশ্বকাপে আর বিশ্বাস করছি না, বুঝছি না। মেসি এবং মনোনয়ন পাওয়া অন্য সব ফুটবলারদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, লেভানডোস্কির চেয়ে বেশি কেউ এবারের পুরস্কারের যোগ্য ছিল না।’ অপর বায়ার্ন অধিনায়ক ও কিংবদন্তির গোলকিপার অলিভার কানও বিস্ময় প্রকাশ করেন ব্যালন ডি’অর বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে, ‘লেভানডোস্কি অবশ্যই এবারের ব্যালন ডি’অরের যোগ্য ছিল, যেমনটা সে গতবার দ্য বেস্টের জন্য ছিল। কারণ সে বছর জুড়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সবার চেয়ে ভালো পারফর্ম করেছে। যাই হোক মেসিকে অভিনন্দন। ব্যালন ডি’অর ছাড়াও লেভা ফুটবলের সেরাদের কাতারের একজন এবং সামনের বছরগুলোয় অবশ্যই সে এই পুরস্কারের যোগ্য হবে।’ তবে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি মনে করেন, যোগ্য হিসেবেই মেসি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। ‘মেসি এখনো দুর্দান্ত এক খেলোয়াড়। এই বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। খেলোয়াড়দের জন্য ব্যক্তিগত পুরস্কার গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তারা এটি জিততে না পারলেও কোনো সমস্যা নয়’ বলেছেন এই ইতালীয় কোচ। ইন্টারনেট।