ভয় পেয়েছিলেন ইয়াসির
সাকিবের বাড়তি ব্যাটিং অনুশীলন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
আড়াই বছর পর পাওয়া টেস্ট অভিষেক অমøমধুর হলো ইয়াসির আলির জন্য। একই সঙ্গে ঘটনাবহুলও। পাকিস্তানের সঙ্গে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে একটি চার মেরেই আউট হন ইয়াসির। পরের ইনিংসে দারুণ খেলছিলেন। ৩৬ রান করে বিপদে পড়া দলকে টেনে তুলছিলেন। লিটন দাশের সঙ্গে ৭৭ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ওই সময়েই বিপত্তি, শাহিন শাহ আফ্রিদির একটি নিচু বাউন্সারে হেলমেটে বল লাগে ইয়াসিরের। পরে কনকাশন বদলি হন। হেলমেটে বল লাগায় খুব ভয় লেগেছিল এই ব্যাটসম্যানের। নিজের জন্য দুর্ভাবনার পাশাপাশি দলের জন্য খারাপ লেগেছিল। কারণ ওই সময় ওভাবে না ফিরলে দলকে অনেকদূর টেনে নিতেন ইয়াসির।
সুস্থ হয়ে ওঠা ইয়াসির মিরপুর টেস্টের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাকিব আল হাসান ফেরায় একাদশে থাকবেন কিনা জানেন না। তাই আপাতত অভিষেক টেস্টের আনন্দ স্মৃতি রোমন্থন করছেন। ইয়াসিরের কাছে খারাপ লেগেছে প্রথম ইনিংসে ভালো করতে না পারায়। একই সঙ্গে খুশি দ্বিতীয় ইনিংসে দলের প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে পেরে, ‘আলহামদুলিল্লাহ। প্রথম টেস্ট খেলেছি এটা নতুন অভিজ্ঞতা। এর আগে ফিল্ডিং করেছি, কিন্তু কখনো একাদশে থাকা হয়নি। এটা দারুণ অভিজ্ঞতা আমার জন্য। চাপের ভেতর ব্যাটিং করাটা, ঘরোয়া ক্রিকেটে যতই হোক না কেন আন্তর্জাতিক পর্যায়টা অন্যরকম। এটা নতুন চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ দলকে এমন একটা পরিস্থিতি থেকে তুলে আনা। যখন আমি কাজটা করতে পেরেছি। এটা খুব ভালো অনুভূতি।’
কিন্তু ৩৬ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংসটা আরও দূরে নিতে না পারার আক্ষেপ ইয়াসিরের। নিজে ফেরার পরই দল খুব বেশি এগোতে পারেনি। সেই খবর হাসপাতালে বসেই পেয়েছেন ইয়াসির। দলের হতাশায় কষ্টও বেশি হয়েছে তার, ‘এটা অনেক হতাশাজনক ছিল। আমি যেভাবে ব্যাট করছিলাম, এভাবে যদি করে যেতে পারতাম। তাহলে দল আরেকটু ভালো অবস্থায় থাকত। কষ্ট লেগেছেই যখন দেখেছি আমি আউট হওয়ার পর ওভাবে কেউ ব্যাটিং করতে পারেনি। আসলে ওই বলটা হেলমেটে লাগায় একটু ভয় পেয়েছিলাম। মাথায় বল লেগেছিল। আবার কষ্টও পাচ্ছিলাম আমার ডেব্যু ম্যাচ। টিমকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু শেষ করতে পারিনি। এটা ভয় ও কষ্টের মিশ্র অনুভূতি।’
মিরপুর টেস্টের জন্য কাল অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দিন দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু দুপুর দেড়টায় নির্ধারিত অনুশীলন শুরুর অনেক আগে থেকেই মিরপুরে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সকাল ১১টা থেকে মিরপুরের ইনডোর নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেন। নিজের অ্যাকাডেমি থেকে স্পিন ও পেস বোলার এনে দীর্ঘ সময় ছন্দে ফেরার চেষ্টা সাকিবের। পরে করোনা টেস্ট দিয়ে নেগেটিভ হয়েই দেড়টায় দলের সঙ্গে যোগ দেন। তাতে প্রায় অর্ধেক দিনই অনুশীলনে কেটেছে সাকিবের। সাকিব পরে ২০ মিনিটের মতো রানিং করেছেন মিরপুর স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপে উইন্ডিজ ম্যাচের পর মাঠের বাইরে থাকায় ফিটনেসের ঘাটতি হয়েছে তার। হারানো ফিটনেস যত দ্রুত সম্ভব ফেরাতে চান সাকিব। সেই চেষ্টাতেই বাড়তি ব্যাটিং-রানিং। অবশ্য এদিন বোলিং করেননি সাকিব। দীর্ঘ সময় ব্যাটিং করায় বল করার চাপ নেননি। এদিকে সকালে পাকিস্তান দলের মাত্র ৫ সদস্য ঐচ্ছিক অনুশীলন করেন।
শেয়ার করুন
সাকিবের বাড়তি ব্যাটিং অনুশীলন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

আড়াই বছর পর পাওয়া টেস্ট অভিষেক অমøমধুর হলো ইয়াসির আলির জন্য। একই সঙ্গে ঘটনাবহুলও। পাকিস্তানের সঙ্গে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে একটি চার মেরেই আউট হন ইয়াসির। পরের ইনিংসে দারুণ খেলছিলেন। ৩৬ রান করে বিপদে পড়া দলকে টেনে তুলছিলেন। লিটন দাশের সঙ্গে ৭৭ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ওই সময়েই বিপত্তি, শাহিন শাহ আফ্রিদির একটি নিচু বাউন্সারে হেলমেটে বল লাগে ইয়াসিরের। পরে কনকাশন বদলি হন। হেলমেটে বল লাগায় খুব ভয় লেগেছিল এই ব্যাটসম্যানের। নিজের জন্য দুর্ভাবনার পাশাপাশি দলের জন্য খারাপ লেগেছিল। কারণ ওই সময় ওভাবে না ফিরলে দলকে অনেকদূর টেনে নিতেন ইয়াসির।
সুস্থ হয়ে ওঠা ইয়াসির মিরপুর টেস্টের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাকিব আল হাসান ফেরায় একাদশে থাকবেন কিনা জানেন না। তাই আপাতত অভিষেক টেস্টের আনন্দ স্মৃতি রোমন্থন করছেন। ইয়াসিরের কাছে খারাপ লেগেছে প্রথম ইনিংসে ভালো করতে না পারায়। একই সঙ্গে খুশি দ্বিতীয় ইনিংসে দলের প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে পেরে, ‘আলহামদুলিল্লাহ। প্রথম টেস্ট খেলেছি এটা নতুন অভিজ্ঞতা। এর আগে ফিল্ডিং করেছি, কিন্তু কখনো একাদশে থাকা হয়নি। এটা দারুণ অভিজ্ঞতা আমার জন্য। চাপের ভেতর ব্যাটিং করাটা, ঘরোয়া ক্রিকেটে যতই হোক না কেন আন্তর্জাতিক পর্যায়টা অন্যরকম। এটা নতুন চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ দলকে এমন একটা পরিস্থিতি থেকে তুলে আনা। যখন আমি কাজটা করতে পেরেছি। এটা খুব ভালো অনুভূতি।’
কিন্তু ৩৬ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংসটা আরও দূরে নিতে না পারার আক্ষেপ ইয়াসিরের। নিজে ফেরার পরই দল খুব বেশি এগোতে পারেনি। সেই খবর হাসপাতালে বসেই পেয়েছেন ইয়াসির। দলের হতাশায় কষ্টও বেশি হয়েছে তার, ‘এটা অনেক হতাশাজনক ছিল। আমি যেভাবে ব্যাট করছিলাম, এভাবে যদি করে যেতে পারতাম। তাহলে দল আরেকটু ভালো অবস্থায় থাকত। কষ্ট লেগেছেই যখন দেখেছি আমি আউট হওয়ার পর ওভাবে কেউ ব্যাটিং করতে পারেনি। আসলে ওই বলটা হেলমেটে লাগায় একটু ভয় পেয়েছিলাম। মাথায় বল লেগেছিল। আবার কষ্টও পাচ্ছিলাম আমার ডেব্যু ম্যাচ। টিমকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু শেষ করতে পারিনি। এটা ভয় ও কষ্টের মিশ্র অনুভূতি।’
মিরপুর টেস্টের জন্য কাল অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দিন দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু দুপুর দেড়টায় নির্ধারিত অনুশীলন শুরুর অনেক আগে থেকেই মিরপুরে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সকাল ১১টা থেকে মিরপুরের ইনডোর নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেন। নিজের অ্যাকাডেমি থেকে স্পিন ও পেস বোলার এনে দীর্ঘ সময় ছন্দে ফেরার চেষ্টা সাকিবের। পরে করোনা টেস্ট দিয়ে নেগেটিভ হয়েই দেড়টায় দলের সঙ্গে যোগ দেন। তাতে প্রায় অর্ধেক দিনই অনুশীলনে কেটেছে সাকিবের। সাকিব পরে ২০ মিনিটের মতো রানিং করেছেন মিরপুর স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপে উইন্ডিজ ম্যাচের পর মাঠের বাইরে থাকায় ফিটনেসের ঘাটতি হয়েছে তার। হারানো ফিটনেস যত দ্রুত সম্ভব ফেরাতে চান সাকিব। সেই চেষ্টাতেই বাড়তি ব্যাটিং-রানিং। অবশ্য এদিন বোলিং করেননি সাকিব। দীর্ঘ সময় ব্যাটিং করায় বল করার চাপ নেননি। এদিকে সকালে পাকিস্তান দলের মাত্র ৫ সদস্য ঐচ্ছিক অনুশীলন করেন।